ঝিনাইদহ শৈলকুপা উপজেলার ৪৩টি গ্রামে ছাগল পালনে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে গ্রাম্য মাতুব্বরগণ। এতে বিপাকে পড়েছে হত দরিদ্র মানুষেরা। গ্রামের অনেক দরিদ্র পরিবার ছাগল পালন করে বাড়তি আয় করে থাকে।
আবার অনেকে ছাগল পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে। ছাগলে ক্ষেত খায় এ অজুহাত তুলে মাতব্বরগণ গ্রামে বৈঠক করে ছাগল পালন নিষিদ্ধ করেছে। আর মাতুব্বরদের এ অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না দরিদ্র মানুষ। একটি ছাগল পালন করে বছর শেষে মহিলারা ১৫/২০ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করে থাকেন।
ব্যাংক ও এনজিও গুলো ছাগল পালনে ঋণ দেয়। ছাগল পালন দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়তা করে থাকে। বাড়িতে বেঁধে ছাগল পালন করা যায়। আবার কেউ কেউ নদী তীর ও খালের পাড়ে চড়ায়ে ছাগল পালন করে।
শৈলকুপা উপজেলার ৪৩টি গ্রাম ছাড়াও ঝিনাইদহ জেলার আরো গ্রামে ছাগল পালনে মাতুব্বরদের নিষেধাজ্ঞা আছে। আর ছাগল পালনে বাধা আসায় ছাগলের উৎপাদন কমছে। তবে বাজারে প্রভাব পড়ছে। বর্তমানে জেলার হাট-বাজারে খাসির মাংস প্রতি কেজি ৭শ থেকে ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ছাগলের মাংসের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ আসছে না।
ঝিনাইদহ জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার হাফিজুর রহমান জানান, ছাগল পালন বন্ধ করা অযৌক্তিক ব্যাপার। ছাগলে অন্যের ফসলের যাতে ক্ষতি না করে সে দিকে দৃষ্টি রাখলে সমস্যা থাকে না। বন্ধ করা ঠিক হয়নি।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2iYQqfg
January 16, 2017 at 12:10PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন