সিডনি, ১৬ নভেম্বর- বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক ২০১৬ সালে বিশ্বের ১৩০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২২তম। এর আগের বছর এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ২৫তম। আজ বুধবার এই বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক প্রকাশ করে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক অ্যান্ড পিস। চার বছর ধরে এ সূচক প্রকাশ করছে সংস্থাটি। ২০১৫ সালে সংঘটিত সন্ত্রাসী ঘটনার ওপর ভিত্তি করে এবারের প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, গত বছর বিশ্বের প্রায় অর্ধেক সন্ত্রাসী ঘটনাই ঘটেছে ইরাক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারতে। এ সূচকে প্রথম আছে ইরাক। গত বছর সংঘটিত সন্ত্রাসী ঘটনার ২০ শতাংশই ঘটেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশে। আফগানিস্তানে ১৪, পাকিস্তানে ৮ এবং ভারতে ঘটেছে ৭ শতাংশ ঘটনা। বাংলাদেশে সংঘটিত হয়েছে মোট ঘটনার ৪ শতাংশ সন্ত্রাসী ঘটনা। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালটি ছিল বাংলাদেশের জন্য খুবই কঠিন। বিগত দেড় দশকের মধ্যে গত বছরই বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটা চার দেশের বাইরে যে ছয়টি দেশে বেশি সংখ্যায় সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে, এর মধ্যে আছে বাংলাদেশ। অন্য দেশগুলো হলো কুয়েত, তিউনিসিয়া, সৌদি আরব, ফ্রান্স ও তুরস্ক। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালে বাংলাদেশে মোট ৪৫৯টি সন্ত্রাসী হামলা হয়। এতে নিহত হয় ৭৫ জন। বাংলাদেশে বেশির ভাগ সন্ত্রাসী ঘটনাই জামাআতুল মুজাহিদীনের মতো স্থানীয় সংগঠনের মাধ্যমে ঘটে। এই সংগঠনই এ বছরের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার জন্য অভিযুক্ত। এ হামলায় মোট ২৯ জন নিহত হয়। ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক অ্যান্ড পিসের প্রতিবেদনে গত বছর ৪৫৯টি সন্ত্রাসী হামলার কথা বলা হলেও বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী এ সংখ্যা ছিল ২৮টি। এতে নিহত হয় ৩০ জন। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠন আইএস ১১টি হামলার দায় স্বীকার করে। আর আনসার আল ইসলাম দায় স্বীকার করে ছয়টি হামলার। এ সংগঠনটি নিজেদের আল-কায়েদার ভারতীয় শাখা বলে দাবি করে। সংগঠন দুটি এসব হামলায় তাদের দায় স্বীকার করলেও বাংলাদেশ সরকার এসব হামলায় কোনো বিদেশি জঙ্গি সংগঠনের জড়িত থাকার দাবি শুরু থেকেই প্রত্যাখ্যান করে এসেছে। তবে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময় সংবাদ ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে বলেছেন, এসব সন্ত্রাসী ঘটনার বেশির ভাগের সঙ্গে নব্য জেএমবি ও আনসার আল ইসলাম বা আনসারুল্লাহ বাংলা টিম জড়িত। গত বছর সন্ত্রাসী ঘটনায় সারা বিশ্বে নিহত মানুষের সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে ১০ শতাংশ কমেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। আইএস বা বোকো হারামের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে তৎপরতার জন্যই এ সংখ্যা কমেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তারপরও যেসব সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে, তাতে ৮ হাজার ৯৬০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। এফ/২১:২০/১৬নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2ggP7dE
November 17, 2016 at 03:19AM
এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ...
রূপপুর প্রকল্পে ব্যয় ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা
01 Dec 20160টিঢাকা, ০১ ডিসেম্বর- পাবনার রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের মূল কাজ শুরু হচ্ছে।...আরও পড়ুন »
বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির ২০ ভাগ কাজ হয়েছে : প্রতিমন্ত্রী
01 Dec 20160টিডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলক জানিয়েছেন, গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গব...আরও পড়ুন »
গোবিন্দগঞ্জে শিক্ষিকা হত্যায় জড়িতদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন
01 Dec 20160টিগাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌর এলাকার বোয়ালিয়া উচ্চ বিদালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আলেমাতুন শাহী রিমিটি হত্যা ...আরও পড়ুন »
হয়রানি বন্ধে উত্তরাঞ্চলে পণ্যবাহী যানের ধর্মঘট, দুর্ভোগ
01 Dec 20160টিকাগজপত্র তল্লাশির নামে পুলিশি হয়রানি বন্ধসহ সাত দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছে ট্রাক-কাভার...আরও পড়ুন »
দোয়া নিতে আশরাফের বাসায় আইভী
01 Dec 20160টিঢাকা, ০১ ডিসেম্বর- দোয়া নিতে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলামে...আরও পড়ুন »
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.