জলপাই খেলে চোখ ভলো থাকবে

জলপাই খেলে চোখ ভলো থাকবে<br /> <br /> <p style="text-align: justify;">জলপাই শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়। নিয়মিত জলপাই খেলে শরীরের প্রচুর উপকার। আর জলপাই তো এখন আর দুর্লভ নয়। কারণ শীত এসে পড়ল। বাজারে ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে জলপাই।</p> <p style="text-align: justify;">ক্যানসার প্রতিরোধে জলপাই ভালো কাজ করে। জলপাইয়ে আছে মোনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট। জলপাইয়ের ভিটামিন-ই কোষের অস্বাভাবিক গঠনে বাধা দেয়। ফলে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমে।</p> <p style="text-align: justify;">জলপাইয়ে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে। যখন মানুষের হৃত্পৃণ্ডের রক্তনালীতে চর্বি জমে, তখন হার্ট অ্যাটাক করার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। জলপাইয়ের ‌অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হার্ট ব্লক হতে বাধা দেয়। জলপাইয়ে রয়েছে মোনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা আমাদের হার্টের জন্য খুবই উপকারী। জলপাইয়ের মোনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট দেহের ভেতরের ফ্যাট সেলকে ভাঙ্গতে সাহায্য করে। জলপাইয়ের তেলে রয়েছে লো কোলেস্টেরল যা ওজন এবং ব্লাডপ্রেসার কমাতে সহায়ক। জলপাই বিশেষ করে কালো জলপাই আয়রনের উত্স। আয়রন আমাদের দেহে রক্ত সঞ্চালন চলাচল করাতে সহায়তা করে, আর প্রাকৃতিক আয়রনের জন্য জলপাই-ই সেরা।</p> <p style="text-align: justify;">জলপাই অ্যালার্জি প্রতিরোধে সহায়তা করে। জলপাইয়ে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা ত্বকের ইনফেকশন ও অন্যান্য ক্ষত সারাতে কার্যকরী ভূমিকা নেয়। জলপাইয়ে যে-ফাইভার আছে তা মানুষের দেহের পরিপাক ক্রিয়াকে সক্রিয় রাখে এবং হজমে সহায়তা করে।</p> <p style="text-align: justify;">জলপাইয়ের ভিটামিন ই ত্বকে মসৃণতা আনে। চুলের গঠনকে আরও মজবুত করে। ত্বকের ক্যানসারের হাত থেকেও বাঁচায় জলপাই। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে ত্বকের যে ক্ষতি হয় তা রোধ করে জলপাই। জলপাইয়ে ভিটামিন এ আছে। ভিটামিন এ চোখের জন্য ভালো। যাঁদের চোখের সমস্যা আছে, তাঁরা নিয়মিত জলপাই খেলে উপকার পাবেন।</p> <p><a class="a2a_button_facebook" href="http://ift.tt/2gPanYv" title="Facebook" rel="nofollow" target="_blank"></a><a class="a2a_button_twitter" href="http://ift.tt/2gCwlee" title="Twitter" rel="nofollow" target="_blank"></a><a class="a2a_button_google_plus" href="http://ift.tt/2gPdD5Z" title="Google+" rel="nofollow" target="_blank"></a><a class="a2a_button_google_gmail" href="http://ift.tt/2gCs0rh" title="Google Gmail" rel="nofollow" target="_blank"></a><a class="a2a_button_linkedin" href="http://ift.tt/2gPnj0c" title="LinkedIn" rel="nofollow" target="_blank"></a><a class="a2a_button_email" href="http://ift.tt/2gCtBgY" title="Email" rel="nofollow" target="_blank"></a><a class="a2a_button_printfriendly" href="http://ift.tt/2gPiN1O" title="PrintFriendly" rel="nofollow" target="_blank"></a><a class="a2a_dd addtoany_share_save" href="http://ift.tt/2gCtAK0" data-a2a-url="http://ift.tt/2gPajaW" data-a2a-title="জলপাই খেলে চোখ ভলো থাকবে"></a></p> <br /> <br /> from Uttarbanga Sambad http://ift.tt/2gPajaW<br /> <br /> November 28, 2016 at 11:52PM

জলপাই খেলে চোখ ভলো থাকবে

জলপাই খেলে চোখ ভলো থাকবে জলপাই শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়। নিয়মিত জলপাই খেলে শরীরের প্রচুর উপকার। আর জলপাই তো এখন আর দুর্লভ নয়। কারণ শীত এসে পড়ল। বাজারে ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে জলপাই। ক্যানসার প্রতিরোধে…

আরও পড়ুন »

পিনুর কণ্ঠে চিরকালের গানে মুগ্ধ এক সন্ধ্যা

টরন্টো, ২৮ নভেম্বর- হীরক খণ্ডে আলো না ফেললে এর বহুমাত্রিক ও বহুরঙের জ্যোতির্ময় রশ্মির প্রকাশ হয় না। নিজের বোধ-ভালোবাসাপূর্ণ ভেতরের আলো থাকলে অন্যের জ্যোতির্ময় আলোর কণা অনুধাবন করা যায়। নিজেও আরও আরও আলোকিত হওয়া যায়। পিনু সাত্তার তাঁর গানের পরিবেশনার ফাঁকে ফাঁকে সেই আলোকিত রশ্মির প্রতি তাঁর মুগ্ধতা ও বাঙালি হিসেবে গৌরবের আত্মোপলব্ধি প্রকাশ করলেন অকপটে। আমরাও তাঁর উপলব্ধি সঞ্জাত কথায় মুগ্ধ হয়ে নিজেরাও গৌরববোধ করলাম। টরন্টোর স্থানীয় মিজান কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে গতকাল রোববার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আয়োজিত পিনুর চিরকালের গানের অনুষ্ঠানে এই অভিজ্ঞতা অর্জন করলেন দর্শক-শ্রোতা সকলেই। বাংলা গানের স্তম্ভ মূল গীতিকারদের বিভিন্ন মেজাজের গান দিয়ে সাজানো এই অনুষ্ঠানে পিনু আবারও প্রমাণ করলেন তিনি একজন পরিপূর্ণ শিল্পী। যাঁর কণ্ঠের মোহন জাদুতে সুরেলা মিষ্টির প্রকাশ ঘটে সকল প্রকার বাংলা গানের। মোহাইমিন আজিম, মোহাম্মাদ মাহবুবুল হক ও সজীব চৌধুরী যন্ত্রসঙ্গীতে থেকে পিনুর গানের প্রকাশকে পূর্ণ রূপ দিতে সহায়তা করেছেন। এই অনবদ্য সন্ধ্যাটি এবার আয়োজন করেছেন শিল্পী নাহিদ কবির। টরন্টো শহরের শিল্পসাহিত্যের বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষের বিপুল উপস্থিতিতে অডিটোরিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ হলেও পিনপতন নীরবতায় সুরের মূর্ছনায় আচ্ছন্ন হয়ে সকলেই গান উপভোগ করেছেন। চিরকালের গানের বিভিন্ন গীতিকবি সম্পর্কে ধারা বর্ণনা ও সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রাশেদা মুনীর। খবর বিজ্ঞপ্তির। আর/১০:১৪/২৮ নভেম্বর<br /> <br /> <br /> <br /> from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2goMCDc<br /> November 29, 2016 at 05:49AM

পিনুর কণ্ঠে চিরকালের গানে মুগ্ধ এক সন্ধ্যা

টরন্টো, ২৮ নভেম্বর- হীরক খণ্ডে আলো না ফেললে এর বহুমাত্রিক ও বহুরঙের জ্যোতির্ময় রশ্মির প্রকাশ হয় না। নিজের বোধ-ভালোবাসাপূর্ণ ভেতরের আলো থাকলে অন্যের জ্যোতির্ময় আলোর কণা অনুধাবন করা যায়। নিজেও আরও আরও আ…

আরও পড়ুন »

মালয়েশিয়ায় সাত শতাধিক বাংলাদেশি আটক

<div><a href='http://ift.tt/2ftrte7'><img alt="মালয়েশিয়ায় সাত শতাধিক বাংলাদেশি আটক" height="133" src="//cdn.bn.ntvbd.com/site/photo-1480354348" title="porimoni" width="200" /></a><span>মালয়েশিয়ার সমুদ্রতীরের পোর্ট ডিকসনের ঝিমায় অভিযান চালিয়ে ৭৬৭ বাংলাদেশিসহ ৯৩৬ জনকে আটক করেছে দেশটি ইমিগ্রেশন পুলিশ। পুলিশের দাবি, এরা অবৈধ অভিবাসী। গতকাল রোববার দিনভর এ অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। আটকদের মধ্যে ৭৬৭ বাংলাদেশি ছাড়া আছে পাকিস্তানের ৮০ জন, ভারতের ৫০, ইন্দোনেশিয়ার ২২, শ্রীলঙ্কার ১৩, মিয়ানমারের তিন এবং নেপালের একজন। অভিযান শেষ হয় ...<a class='more_link' href='http://ift.tt/2ftrte7'>বিস্তারিত</a></span></div> <br /> <br /> <br /> <br /> from NTV Online : NTV RSS Feed http://ift.tt/2ftrte7<br /> November 28, 2016 at 11:31PM

মালয়েশিয়ায় সাত শতাধিক বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়ার সমুদ্রতীরের পোর্ট ডিকসনের ঝিমায় অভিযান চালিয়ে ৭৬৭ বাংলাদেশিসহ ৯৩৬ জনকে আটক করেছে দেশটি ইমিগ্রেশন পুলিশ। পুলিশের দাবি, এরা অবৈধ অভিবাসী। গতকাল রোববার দিনভর এ অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। আটকদে…

আরও পড়ুন »

বিক্রমপুর কেন বিখ্যাত?

বিক্রমপুর কেন বিখ্যাত?<br /> <br /> <p>রাফি আহাম্মদঃ বিক্রমপুর ছোট একটি এলাকা। বর্তমানে মুন্সীগঞ্জ জেলার ৬টি উপজেলার ৫টি বিক্রমপুর এলাকা হিসাবে পরিচিত। অথচ এখানে এতো কৃতীমানুষের জন্ম যে ভাবতে অবাক হতে হয়। অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান, বৌদ্ধধর্মে গৌতম বুদ্ধের পরেই সম্মানিত চাঁদ রায়, কেদার রায়- বারো ভূঁইয়ার অন্যতম রাজনৈতিকদের মধ্যে রয়েছেন: সরোজিনী নাইডু- শীর্ষ কংগ্রেস নেত্রী, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ- শীর্ষ কংগ্রেস নেতা, […]</p> <p>The post <a rel="nofollow" href="http://ift.tt/2goHK0C">বিক্রমপুর কেন বিখ্যাত?</a> appeared first on <a rel="nofollow" href="http://ift.tt/2fu50t8">Munshiganj Times</a>.</p> <br /> <br /> from Munshiganj Times http://ift.tt/2goHK0C<br /> <br /> November 28, 2016 at 10:57PM

বিক্রমপুর কেন বিখ্যাত?

বিক্রমপুর কেন বিখ্যাত? রাফি আহাম্মদঃ বিক্রমপুর ছোট একটি এলাকা। বর্তমানে মুন্সীগঞ্জ জেলার ৬টি উপজেলার ৫টি বিক্রমপুর এলাকা হিসাবে পরিচিত। অথচ এখানে এতো কৃতীমানুষের জন্ম যে ভাবতে অবাক হতে হয়। অতীশ দীপঙ্ক…

আরও পড়ুন »

ফুলবাড়িয়া উত্তাল ॥ ১৪৪ ধারা জারি

ফুলবাড়িয়া উত্তাল ॥ ১৪৪ ধারা জারি<br /> <br /> ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজ সরকারিকরণের দাবিতে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। গত সোমবার সকাল ৯টা থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। ফুলবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লীরা তরফদার। তিনি জানান, জনগণের ...<img alt="" height="1" src="http://ift.tt/2gySyfN" width="1" /><br /> <br /> from The Daily Sangram http://ift.tt/2fFa79s<br /> November 28, 2016 at 09:51PM

ফুলবাড়িয়া উত্তাল ॥ ১৪৪ ধারা জারি

ফুলবাড়িয়া উত্তাল ॥ ১৪৪ ধারা জারি ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজ সরকারিকরণের দাবিতে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। গত…

আরও পড়ুন »

পানি নিরাপত্তায় উদ্যোগী হওয়ার এখনই সময় -শেখ হাসিনা

পানি নিরাপত্তায় উদ্যোগী হওয়ার এখনই সময় -শেখ হাসিনা<br /> <br /> বিডিনিউজ : বিশ্বজুড়ে পানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাত দফা প্রস্তাব তুলে ধরে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এখনই উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ ...<img alt="" height="1" src="http://ift.tt/2gyZ4CU" width="1" /><br /> <br /> from The Daily Sangram http://ift.tt/2fF3ELA<br /> November 28, 2016 at 09:52PM

পানি নিরাপত্তায় উদ্যোগী হওয়ার এখনই সময় -শেখ হাসিনা

পানি নিরাপত্তায় উদ্যোগী হওয়ার এখনই সময় -শেখ হাসিনা বিডিনিউজ : বিশ্বজুড়ে পানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাত দফা প্রস্তাব তুলে ধরে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এখনই উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদে…

আরও পড়ুন »

ক্ষমতা হাতছাড়া হবার ভয়ে সরকার অত্যাচারের মহোৎসবে মেতে উঠেছে -মির্জা ফখরুল

ক্ষমতা হাতছাড়া হবার ভয়ে সরকার অত্যাচারের মহোৎসবে মেতে উঠেছে -মির্জা ফখরুল<br /> <br /> স্টাফ রিপোর্টার : রাষ্ট্রক্ষমতা হাতছাড়া হয়ে যাবার ভয়ে ক্ষমতাসীন আলীগ দেশব্যাপী বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার নিপীড়নের ভয়াবহ মহোৎসবে মেতে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় সাতক্ষীরা জেলাধীন কলারোয়া ...<img alt="" height="1" src="http://ift.tt/2gyWdtY" width="1" /><br /> <br /> from The Daily Sangram http://ift.tt/2fF0NST<br /> November 28, 2016 at 09:52PM

ক্ষমতা হাতছাড়া হবার ভয়ে সরকার অত্যাচারের মহোৎসবে মেতে উঠেছে -মির্জা ফখরুল

ক্ষমতা হাতছাড়া হবার ভয়ে সরকার অত্যাচারের মহোৎসবে মেতে উঠেছে -মির্জা ফখরুল স্টাফ রিপোর্টার : রাষ্ট্রক্ষমতা হাতছাড়া হয়ে যাবার ভয়ে ক্ষমতাসীন আলীগ দেশব্যাপী বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার নিপীড়নের ভ…

আরও পড়ুন »

প্রধানমন্ত্রীর বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি তদন্তে দুই কমিটি

প্রধানমন্ত্রীর বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি তদন্তে দুই কমিটি<br /> <br /> স্টাফ রিপোর্টার : যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান তুর্কমেনিস্তানের আশখাবাদ বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। রোববার ...<img alt="" height="1" src="http://ift.tt/2goGLO2" width="1" /><br /> <br /> from The Daily Sangram http://ift.tt/2fJddfV<br /> November 28, 2016 at 09:53PM

প্রধানমন্ত্রীর বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি তদন্তে দুই কমিটি

প্রধানমন্ত্রীর বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি তদন্তে দুই কমিটি স্টাফ রিপোর্টার : যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান তুর্কমেনিস্তানের আশখাবাদ বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের ঘটনা তদন্ত…

আরও পড়ুন »

ইসলাম গ্রহণ করায় ভারতে যুবককে হত্যা

ইসলাম গ্রহণ করায় ভারতে যুবককে হত্যা<br /> <br /> পার্স টুডে : ভারতের কেরালা রাজ্যের মালাপ্পুরমে ফয়সাল (৩২) নামে এক যুবককে হত্যা করার অভিযোগে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি ও আরএসএসের আট কর্মী গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার গণমাধ্যমে প্রকাশ, ফয়সাল ওরফে অনিল কুমার ছয় মাস আগে সৌদি আরবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। সেখানে তিনি গাড়ি চালকের কাজ করতেন। পরবর্তীতে ...<img alt="" height="1" src="http://ift.tt/2goKKdA" width="1" /><br /> <br /> from The Daily Sangram http://ift.tt/2fJaZ05<br /> November 28, 2016 at 09:53PM

ইসলাম গ্রহণ করায় ভারতে যুবককে হত্যা

ইসলাম গ্রহণ করায় ভারতে যুবককে হত্যা পার্স টুডে : ভারতের কেরালা রাজ্যের মালাপ্পুরমে ফয়সাল (৩২) নামে এক যুবককে হত্যা করার অভিযোগে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি ও আরএসএসের আট কর্মী গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল সোম…

আরও পড়ুন »

দলনিরপেক্ষ শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

দলনিরপেক্ষ শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র<br /> <br /> ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিজ মার্শা ব্লুম বার্নিকাট জানিয়েছেন, বাংলাদেশে দল নিরপেক্ষ, শক্তিশালী পরবর্তী নির্বাচন কমিশন (ইসি) দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। যারা বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে। গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে কূটনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ডিপ্লোমেটিক ...<img alt="" height="1" src="http://ift.tt/2goIcvW" width="1" /><br /> <br /> from The Daily Sangram http://ift.tt/2fJ5LRY<br /> November 28, 2016 at 09:54PM

দলনিরপেক্ষ শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

দলনিরপেক্ষ শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিজ মার্শা ব্লুম বার্নিকাট জানিয়েছেন, বাংলাদেশে দল নিরপেক্ষ, শক্তিশালী পরবর্তী নির্বাচন কমিশন (ইসি) দেখতে চা…

আরও পড়ুন »

ড. ইউনূস দম্পতির ব্যাংক হিসাব তলব

ড. ইউনূস দম্পতির ব্যাংক হিসাব তলব<br /> <br /> স্টাফ রিপোর্টার: এবার নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার স্ত্রী আফরোজী ইউনূসের ব্যাংক একাউন্ট তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এদিকে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডও (এনবিআর) এই দুইজনের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে। রোববার সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে চিঠি দিয়ে এনবিআর বলেছে, ...<img alt="" height="1" src="http://ift.tt/2goIzH1" width="1" /><br /> <br /> from The Daily Sangram http://ift.tt/2fJ8v1G<br /> November 28, 2016 at 09:54PM

ড. ইউনূস দম্পতির ব্যাংক হিসাব তলব

ড. ইউনূস দম্পতির ব্যাংক হিসাব তলব স্টাফ রিপোর্টার: এবার নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার স্ত্রী আফরোজী ইউনূসের ব্যাংক একাউন্ট তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এদিকে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডও (এনবিআর) এই দুইজনের …

আরও পড়ুন »

মিয়ানমার সরকার রাখাইন প্রদেশে নৃশংসতম গণহত্যা চালাচ্ছে

মিয়ানমার সরকার রাখাইন প্রদেশে নৃশংসতম গণহত্যা চালাচ্ছে<br /> <br /> মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের অধিবাসী রোহিঙ্গা মুসলমানদের জাতিগতভাবে নির্মূল করার ভয়ংকর পরিকল্পনা নিয়ে দেশটির সেনাবাহিনী, ধর্মৌন্মাদ বৌদ্ধ ভিক্ষু, পুলিশ ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সদস্যরা নিষ্ঠুর গণহত্যায় মেতে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছে শত নাগরিক জাতীয় কমিটি। গতকাল সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ...<img alt="" height="1" src="http://ift.tt/2goHija" width="1" /><br /> <br /> from The Daily Sangram http://ift.tt/2fJdHlZ<br /> November 28, 2016 at 09:54PM

মিয়ানমার সরকার রাখাইন প্রদেশে নৃশংসতম গণহত্যা চালাচ্ছে

মিয়ানমার সরকার রাখাইন প্রদেশে নৃশংসতম গণহত্যা চালাচ্ছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের অধিবাসী রোহিঙ্গা মুসলমানদের জাতিগতভাবে নির্মূল করার ভয়ংকর পরিকল্পনা নিয়ে দেশটির সেনাবাহিনী, ধর্মৌন্মাদ বৌদ্ধ ভিক্ষু, প…

আরও পড়ুন »

পরিবারের আট সদস্য কোথায় আছে জানে না মোহাম্মদ রশিদ

পরিবারের আট সদস্য কোথায় আছে জানে না মোহাম্মদ রশিদ<br /> <br /> কামাল হোসেন আজাদ, কক্সবাজার : মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর এখনও দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে সেদেশের সামরিক জান্তাসহ বৌদ্ধ ধর্মানুসারির উগ্রপন্থিরা। প্রাণে বাঁচতে প্রতিদিন নাফ নদী পেরিয়ে নতুন করে বংলাদেশে ঢুকে পড়ছে নির্যাতিত রোহিঙ্গারা। মিয়ানমারে নতুন করে সৃষ্ট ঘটনার পর থেকে অনুপ্রবেশকারী ...<img alt="" height="1" src="http://ift.tt/2goEpPn" width="1" /><br /> <br /> from The Daily Sangram http://ift.tt/2fJ6Ed9<br /> November 28, 2016 at 09:55PM

পরিবারের আট সদস্য কোথায় আছে জানে না মোহাম্মদ রশিদ

পরিবারের আট সদস্য কোথায় আছে জানে না মোহাম্মদ রশিদ কামাল হোসেন আজাদ, কক্সবাজার : মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর এখনও দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে সেদেশের সামরিক জান্তাসহ বৌদ্ধ ধর্মানুসারির উগ্রপন্থিরা। প্…

আরও পড়ুন »

মান্নার কারামুক্তিতে বাধা নেই

মান্নার কারামুক্তিতে বাধা নেই<br /> <br /> স্টাফ রিপোর্টার : নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে রাষ্ট্রদ্রোহ ও বিদ্রোহে উস্কানির দুই মামলায় হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করা পর্যন্ত তার জামিন বহাল থাকবে। জামিন বহাল থাকায় কারাবন্দী মাহমুদুর রহমান মান্নার মুক্তি পেতে আর ...<img alt="" height="1" src="http://ift.tt/2goGLh0" width="1" /><br /> <br /> from The Daily Sangram http://ift.tt/2fJax1I<br /> November 28, 2016 at 09:56PM

মান্নার কারামুক্তিতে বাধা নেই

মান্নার কারামুক্তিতে বাধা নেই স্টাফ রিপোর্টার : নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে রাষ্ট্রদ্রোহ ও বিদ্রোহে উস্কানির দুই মামলায় হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।…

আরও পড়ুন »

রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে বাধা না দিতে রিট

রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে বাধা না দিতে রিট<br /> <br /> স্টাফ রিপোর্টার : মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে বাধা না দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রিটে স্বরাষ্ট্র্রসচিব, পুলিশের আইজি, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কোস্টগার্ডের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ...<img alt="" height="1" src="http://ift.tt/2goJIhr" width="1" /><br /> <br /> from The Daily Sangram http://ift.tt/2fJdH5t<br /> November 28, 2016 at 09:56PM

রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে বাধা না দিতে রিট

রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে বাধা না দিতে রিট স্টাফ রিপোর্টার : মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে বাধা না দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে…

আরও পড়ুন »

কুবির ভর্তি পরীক্ষা সামনে রেখে ব্যস্ততায় আঞ্চলিক সংঘঠনগুলো

কুবির ভর্তি পরীক্ষা সামনে রেখে ব্যস্ততায় আঞ্চলিক সংঘঠনগুলো<br /> <br /> <p><strong>নাহিদ ইকবাল</strong> ● কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ সেশনের ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক, আইটি সোসাইটি, জেলা, উপজেলা ভিত্তিক আঞ্চলিক সংঘঠনগুলো। আগামী ২ ও ৩ ডিসেম্বর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।</p> <p>জাগ্রত চেীরঙ্গী স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, গাজীপুরের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, গাজীপুর জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য আমরা প্রস্তুত। সাধারণত তাদের আমরা তথ্য দিয়ে এবং থাকার ব্যবস্থা করে থাকি।</p> <p>এক্রস নটরডেমিয়ান কুবির সভাপতি হাসিবুজ্জামান বলেন, আমরা পরীক্ষার দিন কাম্প্যাসে ভর্তি তথ্য এবং যারা রোল দিয়ে যান তাদের আমরা এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানিয়ে থাকি।</p> <p>কিশোরগঞ্জ স্টুডেন্টস ফোরামের সভাপতি রাসেল মিয়া বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য আমরাও প্রস্তুত। একই প্রকার সহযোগিতা করার কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সংঘঠনগুলো।</p> <p>The post <a rel="nofollow" href="http://ift.tt/2gCor4A">কুবির ভর্তি পরীক্ষা সামনে রেখে ব্যস্ততায় আঞ্চলিক সংঘঠনগুলো</a> appeared first on <a rel="nofollow" href="http://ift.tt/2ftOZ6z">Comillar Barta™</a>.</p> <br /> <br /> from Comillar Barta™ http://ift.tt/2gCor4A<br /> <br /> November 28, 2016 at 11:19PM

কুবির ভর্তি পরীক্ষা সামনে রেখে ব্যস্ততায় আঞ্চলিক সংঘঠনগুলো

কুবির ভর্তি পরীক্ষা সামনে রেখে ব্যস্ততায় আঞ্চলিক সংঘঠনগুলো নাহিদ ইকবাল ● কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ সেশনের ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক, আইটি সোসাইটি…

আরও পড়ুন »

৩ পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন ৫২ জন

৩ পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন ৫২ জন<br /> <br /> <p>নিজস্ব প্রতিবেদক ● জেলা পরিষদ নির্বাচনে কুমিল্লায় সোমবার পর্যন্ত ৩টি পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ৫২ জন। রোববার ও সোমবার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দুইদিনে চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ডে সদস্য পদে ৫০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।</p> <p>জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত জেলার বরুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও নৌ-বাহিনীর সাবেক প্রধান রিয়ার এডমিরাল মো. আবু তাহের এবং কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বুড়িচং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন স্বপন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।</p> <p>এদের মধ্যে সোমবার দুপুরে সাজ্জাদ হোসেন স্বপন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে তার মনোনয়ন পত্রটি জমা দেন। এ সময় সাজ্জাদ হোসেন স্বপনের অনুসারী দলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।</p> <p>অপরদিকে গত দুই দিনে সংরক্ষিত ওয়ার্ডে সদস্য পদে ৫ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে সদস্য পদে ৪৫ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম।</p> <p>The post <a rel="nofollow" href="http://ift.tt/2gozDBr">৩ পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন ৫২ জন</a> appeared first on <a rel="nofollow" href="http://ift.tt/2ftOZ6z">Comillar Barta™</a>.</p> <br /> <br /> from Comillar Barta™ http://ift.tt/2gozDBr<br /> <br /> November 28, 2016 at 10:57PM

৩ পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন ৫২ জন

৩ পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন ৫২ জন নিজস্ব প্রতিবেদক ● জেলা পরিষদ নির্বাচনে কুমিল্লায় সোমবার পর্যন্ত ৩টি পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ৫২ জন। রোববার ও সোমবার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্…

আরও পড়ুন »

‘ফজলে রাব্বী ছিলেন একজন নির্ভিক ও আদর্শবান সাংবাদিক’

‘ফজলে রাব্বী ছিলেন একজন নির্ভিক ও আদর্শবান সাংবাদিক’<br /> <br /> <p><strong>নিজস্ব প্রতিবেদক</strong> ● কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাংগীর আলম বলেছেন- সাপ্তাহিক আমোদ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী ছিলেন একজন নির্ভিক, সাহসিক, আদর্শবান ও প্রথিতযশা সাংবাদিক। তিনি বলেন- ফজলে রাব্বী কারো সন্তুষ্টি বা বিরক্তির প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে যা সঠিক তা অকপটে সত্যকে তুলে ধরেছেন।</p> <p>সোমবার বিকেলে কুমিল্লা নজরুল ইন্সটিটিউট কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী সংসদ কর্তৃক আয়োজিত সাপ্তাহিক আমোদ প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী’র ২২তম মৃত্যু বার্ষিকীতে স্মারক বক্তৃতায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।</p> <p>মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী সংসদ এর সভাপতি আলহাজ্ব শাহ্ মোহাম্মদ আলমগীর খাঁনের সভাপতিত্বে ও মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী সংসদ এর সাধারণ সম্পাদক দৈনিক আমাদের কুমিল্লার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শাহাজাদা এমরানের উপস্থাপনায় মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বাংলা একাডেমি’র সাবেক পরিচালক কবি আসাদ চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের প্রাক্তণ অধ্যক্ষ প্রফেসর আমীর আলী চৌধুরী।</p> <p>এ ছাড়াও মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী’র ক্রীড়া’র উপর বক্তব্য রাখেন- মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী সংসদ এর নির্বাহী সদস্য কবি ও ছড়াকার জহিরুল হক দুলাল, সাংবাদিকতা’র উপর বক্তব্য রাখেন- ফজলে রাব্বী সংসদ এর নির্বাহী সদস্য শিরোনাম সম্পাদক নীতিশ সাহা ও  সমাজ সেবা’র উপর বক্তব্য রাখেন- গবেষক মামুন সিদ্দিকী এবং অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- ফজলে রাব্বী সংসদ এর নির্বাহী সদস্য বদরুল হুদা জেনু এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন নির্বাহী সদস্য ডাঃ ইকবাল আনোয়ার।</p> <p>ওই অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেছেন- কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত দেশের প্রাচীনতম সাপ্তাহিক সংবাদপত্র আমোদ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী ছিলেন একজন সাহসিক সাংবাদিক ও লেখক সৃষ্টির এক অমর কারিগর। এ দেশের মফস্বল সাংবাদিকতায় তিনি এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। বক্তারা বলেন, কুমিল্লা অঞ্চলের মানুষের আশা আকাঙ্খা, প্রত্যাশা, প্রাপ্তি, সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তিনি আমোদ-এ অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে তুলে ধরেছিলেন। তিনি অকপটে সত্যকে তুলে ধরেছেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন, আদর্শে নিষ্ঠাবান থেকেছেন। তাঁর কলমে ছিল তীক্ষ্ণ ধার, দৃষ্টিতে ছিল প্রখরতা, চিন্তায় ছিল প্রগতিশীলতা।</p> <p><img alt="fozla-rabbi-1" class="aligncenter wp-image-12940 size-full" data-recalc-dims="1" sizes="(max-width: 660px) 100vw, 660px" src="http://ift.tt/2ftd9lL" srcset="http://ift.tt/2goDlLa 800w, http://ift.tt/2fthi9h 300w, http://ift.tt/2gozDkV 768w" /></p> <p>বক্তারা আরো বলেন- ফজলে রাব্বী জনগণের প্রত্যাশাকে সব সময় বড় করে দেখতেন। ফজলে রাব্বী’র সম্পাদিক আমোদ পত্রিকায় জাতীয় নিউজ কখনোই স্থান পায়নি। তিনি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন এবং তাঁর কর্মজীবন ছিল বৈচিত্রময়। ফজলে রাব্বী সাংবাদিকতাকে নেশা ও পেশা হিসেবে গ্রহণ করার আগে চার বছর সৈনিক জীবন এবং তাঁরও আগে পাঁচ বছর রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। কৈশোর বয়সে তিনি বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেন। ফজলে রাব্বী ১৯৪৪ সালে মুসিলম ন্যাশনাল গার্ড বাহিনীর বৃহত্তর কুমিল্লার অধিনায়ক ছিলেন। তিনি ১৯৪৭ সালে রাজনীতি থেকে সরে এসে পাকিস্তান দেশরক্ষা বাহিনীতে যোগ দেন। তারপর নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন খেলাধুলার সঙ্গে। ফজলে রাব্বী ১৯৫৫ সালের ৫ মে হতে আমোদ সম্পাদনা ও প্রকাশনা শুরু করেন। যার আজও সমহীমায় নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। বক্তারা বলেন- অর্থের নেশা ফজলে রাব্বী’র কখনোই ছিল না, তিনি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সুখ-দুঃখের কথা আমোদ পত্রিকায় প্রকাশ করে আনন্দ পেতেন। তাঁরা আরো বলেন- ফজলে রাব্বী হলুদ সাংবাদিকতা থেকে দূরে ছিলেন। আজকের সাংবাদিকতার চিত্র একটু ভিন্ন রকম।</p> <p>এদিকে, মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী’র স্মরণ সভায় মূখ্য আলোচক ঢাকা বাংলা একাডেমী’র সাবেক পরিচালক কবি আসাদ চৌধুরী বলেছেন- বাংলাদেশের আঞ্চলিক সংবাদপত্র জগতের পুরধা’র ফজলে রাব্বী ছিলেন একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক। খেলা-ধুলা যে কি প্রয়োজন তা’ তিনি অনুভব করেছিলেন। তিনি বলেন- কুমিল্লা পথিকৃৎ হয়েছে বহু স্বনামমধন্য ব্যক্তির জন্য। তাঁদের মধ্যে মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী ছিলেন একজন। তিনি আরও বলেন- বাংলাদেশের রাজনীতি এখন অপরাজনীতিতে পরিণত হয়েছে। এই অপরাজনীতির কারণেই দেশে আজ অস্থিরতা বিরাজ করছে। ওই অপরাজনীতিকে ঠেকাতে দেশে সৃষ্টি হয়েছে “গণ জাগরণ মঞ্চ”।</p> <p>এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ ডাঃ মোসলেহ্ উদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী সংসদ কুমিল্লার নির্বাহী সদস্য অ্যাড. জহিরুল ইসলাম সেলিম, নির্বাহী সদস্য অভিবাদন সম্পাদক আবুল হাসানাত বাবুল ও নির্বাহী সদস্য বাকীন রাব্বী, কবি ও সংগঠক ফখরুল হুদা হেলাল, নজরুল গবেষক ড. আলী হোসেন চৌধুরী, বুড়িচং সোনার বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ আবুছালেক মোঃ সেলিম রেজা সৌরভ, কালচারাল কমপ্লেক্স কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন সিদ্দিক, সংগঠক বাবলু পাল, মানবাধিকারকর্মী আলী আকবর মাসুম, নাট্য ব্যক্তিত্ব শাহ্ জাহান চৌধুরী, বিশিষ্ট্য রাজনীতিবিদ আঃ রউফ চৌধুরী ফারুক, সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শেখ ফরিদ, মিসেস বাকীন রাব্বী, নারী নেত্রী চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান রাশেদা আক্তার, নারী নেত্রী রোকেয়া বেগম শিউলী, নারী নেত্রী মাহমুদা আক্তার, সাংবাদিক অশোক কুমার বড়–য়া, সাংবাদিক মোতাহার হোসেন মাহবুব, কবি ডাঃ দীনেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য্য, লেখক তপন সেনগুপ্ত, প্রথম আলো’র কুমিল্লার ষ্টাফ রিপোর্টার গাজীউল হক সোহাগ, মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী সংসদ কুমিল্লার সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক খায়রুল আহসান মানিক, কোষাধ্যক্ষ সাংবাদিক মহিউদ্দিন মোল্লা, বৈশাখী টিভি’র কুমিল্লা প্রতিনিধি আনোয়ার হোসাইন, অ্যাড. মাহাবুবুল আলম, কুমিল্লা বারের নবীন এডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার, লেখক দীপ্র আজাদ কাজল, বিএনপি নেতা আবুল হোসেন, জেলা ছাত্রদল নেতা সাজাদুল কবির সাজ্জাদ, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ ফারুক, কুমিল্লার বার্তা’র সম্পাদক সামছুল আলম রাজন, দৈনিক আমাদের কুমিল্লার লাকসাম প্রতিনিধি নাসির উদ্দিন, দৈনিক আমাদের কুমিল্লার স্টাফ রিপোর্টার সৌরভ মাহমুদ হারুন, মাহফুজ নান্টু, মাওঃ আবু হানিফ, তৈয়বুর রহমান সোহেল ও ফটোসাংবাদিক এন.কে রিপন, কবি আজিম উল্ল্যাহ হানিফ, ছাত্রদল নেতা খোরশেদ আলম, মাইন উদ্দিন মানিক ও বিল্লাল হোসেন জনি প্রমুখ।</p> <p>এর আগে সকাল ১০টায় নগরীর বিষ্ণুপুর কবরস্থানে কবর জিয়ারত ও রাজবাড়ি কম্পাউন্ড মসজিদের বাদ জোহর মিলাদ-মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়।</p> <p>The post <a rel="nofollow" href="http://ift.tt/2ftiTMz">‘ফজলে রাব্বী ছিলেন একজন নির্ভিক ও আদর্শবান সাংবাদিক’</a> appeared first on <a rel="nofollow" href="http://ift.tt/2ftOZ6z">Comillar Barta™</a>.</p> <br /> <br /> from Comillar Barta™ http://ift.tt/2ftiTMz<br /> <br /> November 28, 2016 at 10:47PM

‘ফজলে রাব্বী ছিলেন একজন নির্ভিক ও আদর্শবান সাংবাদিক’

‘ফজলে রাব্বী ছিলেন একজন নির্ভিক ও আদর্শবান সাংবাদিক’ নিজস্ব প্রতিবেদক ● কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাংগীর আলম বলেছেন- সাপ্তাহিক আমোদ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী ছিলেন একজন নির্ভ…

আরও পড়ুন »

দেশি পিস্তল উদ্ধার

দেশি পিস্তল উদ্ধার<br /> <br /> <p><a class="a2a_button_facebook" href="http://ift.tt/2ftbufU" title="Facebook" rel="nofollow" target="_blank"></a><a class="a2a_button_twitter" href="http://ift.tt/2gzYeCu" title="Twitter" rel="nofollow" target="_blank"></a><a class="a2a_button_google_plus" href="http://ift.tt/2ftdmoY" title="Google+" rel="nofollow" target="_blank"></a><a class="a2a_button_google_gmail" href="http://ift.tt/2gzWtVS" title="Google Gmail" rel="nofollow" target="_blank"></a><a class="a2a_button_linkedin" href="http://ift.tt/2ft8uQX" title="LinkedIn" rel="nofollow" target="_blank"></a><a class="a2a_button_email" href="http://ift.tt/2gzSo45" title="Email" rel="nofollow" target="_blank"></a><a class="a2a_button_printfriendly" href="http://ift.tt/2ftczoj" title="PrintFriendly" rel="nofollow" target="_blank"></a><a class="a2a_dd addtoany_share_save" href="http://ift.tt/2gzUXDl" data-a2a-url="http://ift.tt/2ftb0qb" data-a2a-title="দেশি পিস্তল উদ্ধার"></a></p> <br /> <br /> from Uttarbanga Sambad http://ift.tt/2ftb0qb<br /> <br /> November 28, 2016 at 10:20PM

দেশি পিস্তল উদ্ধার

দেশি পিস্তল উদ্ধার from Uttarbanga Sambad http://ift.tt/2ftb0qb November 28, 2016 at 10:20PM …

আরও পড়ুন »

ভারতে বিক্রি হওয়া বাংলাদেশের ১৪ তরুণীকে হস্তান্তর

<div><a href='http://ift.tt/2gyEMJO'><img alt="ভারতে বিক্রি হওয়া বাংলাদেশের ১৪ তরুণীকে হস্তান্তর" height="133" src="//cdn.bn.ntvbd.com/site/photo-1480349293" title="porimoni" width="200" /></a><span>গত দুই বছরের বিভিন্ন সময়ে পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে যৌনপল্লীতে বিক্রি হওয়া ১৪ তরুণীকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দিয়েছে ভারত। আজ সোমবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে দুই দেশের সরকারি নিয়ম-নীতি মেনে তাদের বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ পুলিশের সহায়তায় যশোর জেলার রাইট যশোর বিএনডব্লিউএলএ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হাতে তুলে ...<a class='more_link' href='http://ift.tt/2gyEMJO'>বিস্তারিত</a></span></div> <br /> <br /> <br /> <br /> from NTV Online : NTV RSS Feed http://ift.tt/2gyEMJO<br /> November 28, 2016 at 10:06PM

ভারতে বিক্রি হওয়া বাংলাদেশের ১৪ তরুণীকে হস্তান্তর

গত দুই বছরের বিভিন্ন সময়ে পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে যৌনপল্লীতে বিক্রি হওয়া ১৪ তরুণীকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দিয়েছে ভারত। আজ সোমবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে দুই দেশের সরকারি নিয়ম-…

আরও পড়ুন »

করভীতি দূর করতে পারলে তরুণরাও কর প্রদানে উৎসাহি হবে —রিপন

করভীতি দূর করতে পারলে তরুণরাও কর প্রদানে উৎসাহি হবে —রিপন<br /> <br /> <p><strong>নিজস্ব প্রতিবেদক</strong> ● দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে কর প্রদানে আগ্রহ বাড়ছে তরুণ করদাতাদের। এর মধ্যে ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এমনই একজন তরুণ করদাতা লাকসামের জহিরুল ইসলাম রিপন। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী। মাত্র ২০ বছর বয়স থেকে তিনি নিয়মিত গত ১২ বছর ধরে আয়কর দিয়ে আসছেন। তার ধারাবাহিকতায় এবার তিনি হয়েছেন কুমিল্লা জেলার সর্বোচ্চ তরুণ কর দাতা-২০১৬।</p> <p>গত শনিবার কর অঞ্চল কুমিল্লার পক্ষ থেকে সম্মাননা গ্রহণ করতে তিনি কুমিল্লায় আসেন। এসময় কুমিল্লার বার্তা ডটকমের সাথে কথা হয় রিপনের। এত অল্প বয়স থেকে আয়কর প্রদানে উৎসাহী হওয়ার বিষয় ছাড়াও তিনি জানালেন করভীতি দূর করা গেলে তরুণ বয়স থেকেই সবাইকে আয়কর প্রদানে অভ্যস্থ করা যাবে।</p> <p><img alt="fb_01000004440" class="aligncenter wp-image-12856 size-full" data-recalc-dims="1" sizes="(max-width: 660px) 100vw, 660px" src="http://ift.tt/2fXr1AT" srcset="http://ift.tt/2gbdLvH 800w, http://ift.tt/2fXjZMC 300w, http://ift.tt/2gbdSaC 768w" /></p> <p>সর্বোচ্চ তরুণ আয়কর দাতা হওয়ার অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, এটি সত্যি আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের বিষয়। আমি আমার বিভিন্ন ধরনের ব্যাবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও কখনো ভাবিনি সরকারী কোন সম্মাননা পাব বিশেষ করে আয়কর দিয়ে। অনেক ভালো লাগছে এ সম্মাননা আমাকে আগামীদিনে চলার পথে অনুপ্রেরণা দেবে।</p> <p>এতো তরুণ বয়সে আপনি কর প্রদানে উৎসাহী হলেন কিভাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে রিপন, তরুণ প্রজন্ম দেশ গড়ার হাতিয়ার। তরুণ-তরুণীরা স্বতস্ফূর্তভাবে কর পরিশোধে এগিয়ে আসলে দেশ দ্রুত উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হবে। এছাড়া আয়কর প্রদান করলে নিজ ব্যাবসা ও সম্পদের সঠিক হিসাব রাখা যায়।</p> <p>বর্তমানে বাংলাদেশের করব্যবস্থা সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? তিনি বলেন, এমন একসময় ছিল কর বিষয়টি শুনলেই মানুষ আতঙ্কে থাকত। কর সম্পর্কে কারোরই কোন সঠিক ধারণা ছিলনা। কিন্তু বর্তমানে কর ব্যাবস্থা অনেক সহজ করা হয়েছে এবং সরকারও বিভিন্ন প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে করভীতি দূর করার চেষ্টা করছে।</p> <p><img alt="15178178_1335732699778293_4512958752618134180_n" class="aligncenter wp-image-12937 size-full" data-recalc-dims="1" sizes="(max-width: 660px) 100vw, 660px" src="http://ift.tt/2fXkKVT" srcset="http://ift.tt/2gbbuk3 800w, http://ift.tt/2fXiiyG 300w, http://ift.tt/2gbbCQk 768w" /></p> <p>তরুণ করদাতাদের আরও কিভাবে কর প্রদানে উৎসাহিত করা যায় এ প্রসঙ্গে রিপন জানান, আমি মনে করি করভীতিই হলো প্রধান সমস্যা। করকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, কর দেয়া সকল নাগরিকের দায়িত্ব এ বিষয়য়ে যদি সবাইকে সচেতন করা যায় তাহলে তরুণ বয়স থেকেই সবাই কর প্রদানে অভ্যস্থ হবে। পাশাপাশি করব্যবস্থা আরও সহজ এবং এ নিয়ে ব্যাপক প্রচার ও জনসচেতনা বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে।</p> <p>The post <a rel="nofollow" href="http://ift.tt/2fXkIxf">করভীতি দূর করতে পারলে তরুণরাও কর প্রদানে উৎসাহি হবে —রিপন</a> appeared first on <a rel="nofollow" href="http://ift.tt/2ftOZ6z">Comillar Barta™</a>.</p> <br /> <br /> from Comillar Barta™ http://ift.tt/2fXkIxf<br /> <br /> November 28, 2016 at 10:30PM

• 
• 

1. 1
2. 2

• Previous
• Next

করভীতি দূর করতে পারলে তরুণরাও কর প্রদানে উৎসাহি হবে —রিপন

করভীতি দূর করতে পারলে তরুণরাও কর প্রদানে উৎসাহি হবে —রিপন নিজস্ব প্রতিবেদক ● দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে কর প্রদানে আগ্রহ বাড়ছে তরুণ করদাতাদের। এর মধ্যে ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এমন…

আরও পড়ুন »

মহানন্দা নদীর গোমস্তাপুর ঘাট থেকে নাচোলের কসবা পর্যন্ত পাইপ লাইন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

মহানন্দা নদীর গোমস্তাপুর ঘাট থেকে নাচোলের কসবা পর্যন্ত পাইপ লাইন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন<br /> <br /> <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="http://ift.tt/2gzRGUw" imageanchor="1" style="clear: left; float: left; margin-bottom: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="235" src="http://ift.tt/2ft2WGc" width="400" /></a></div> চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরস্থ মহানন্দা নদীর ঘাট থেকে নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের চন্দনা খাল পর্যন্ত পাইপ লাইন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।<br /> বরেন্দ্র এলাকায় খালে পানি সংরক্ষনের মাধ্যমে সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্পের  এই পাইপ লাইন স্থাপন করা হচ্ছে।<br /> সোমবার গোমস্তাপুরের নিমতলা কাঠাঁল মাদ্রাসা এলাকায় সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।<br /> গোমস্তাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চাঁপাইনবাবগঞ্জ রিজিয়ন নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন-অর-রশিদ, নাচোল সহকারী প্রকৌশলী শাহ মোহাম্মদ মুনজুরুল ইসলাম, গোমস্তাপুর সহকারী প্রকৌশলী জামিলুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রাশিদুল ইসলাম, সদস্য সেরাজুল ইসলাম টাইগার প্রমূখ।<br /> প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা।<br /> <br /> চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, গোমস্তাপুর/ ২৮-১১-১৬</div> <br /> <br /> from Chapainawabganjnews http://ift.tt/2gzQPmq<br /> <br /> November 28, 2016 at 05:14PM

মহানন্দা নদীর গোমস্তাপুর ঘাট থেকে নাচোলের কসবা পর্যন্ত পাইপ লাইন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

মহানন্দা নদীর গোমস্তাপুর ঘাট থেকে নাচোলের কসবা পর্যন্ত পাইপ লাইন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরস্থ মহানন্দা নদীর ঘাট থেকে নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের চন্দনা খাল পর্যন্ত পাইপ লাইন নি…

আরও পড়ুন »

মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনঃ সীমা নির্ধারণ এর চুড়ান্ত তালিকা

মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনঃ সীমা নির্ধারণ এর চুড়ান্ত তালিকা<br /> <br /> <p>হৃদয় মন্ডলঃ মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচন আগামী ২৮ ডিসেম্বর। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে মুন্সীগঞ্জ জেলার ৬টি উপজেলাকে ১৫টি ওয়ার্ডে ভাগ করা হয়েছে। সাধারণ সদস্যরা এই ১৫টি ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হতে পারবে। আর সংরক্ষিত মহিলা সদস্যদের জন্য এই ৬টি উপজেলার ১৫ ওয়ার্ডকে ৫টি ওয়ার্ডে ভাগ করা হয়েছে। অথ্যাৎ নারী সদস্য প্রার্থীরা ৫টি ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে পারবেন। […]</p> <p>The post <a rel="nofollow" href="http://ift.tt/2fER3bg">মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনঃ সীমা নির্ধারণ এর চুড়ান্ত তালিকা</a> appeared first on <a rel="nofollow" href="http://ift.tt/2fu50t8">Munshiganj Times</a>.</p> <br /> <br /> from Munshiganj Times http://ift.tt/2fER3bg<br /> <br /> November 28, 2016 at 10:24PM

মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনঃ সীমা নির্ধারণ এর চুড়ান্ত তালিকা

মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনঃ সীমা নির্ধারণ এর চুড়ান্ত তালিকা হৃদয় মন্ডলঃ মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচন আগামী ২৮ ডিসেম্বর। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে মুন্সীগঞ্জ জেলার ৬টি উপজেলাকে ১৫টি ওয়ার্ডে ভাগ …

আরও পড়ুন »

দেশি পিস্তল উদ্ধার

দেশি পিস্তল উদ্ধার<br /> <br /> <p style="text-align: justify;"><strong>শিলিগুড়ি, ২৮ নভেম্বরঃ</strong> শিয়ালদহ থেকে নিউ জলপাইগুড়িগামী দার্জিলিং মেলের সংরক্ষিত কামরায় তল্লাশি চালিয়ে দুটি দেশি পিস্তল উদ্ধার করল এনজেপি জিআরপি। তবে এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। জিআরপি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। জিআরপি সূত্রে খবর, সোমবার সকালে দার্জিলিং মেল এনজেপি-তে আসার পর জিআরপি কর্মীরা তল্লাশি শুরু করে। সেই সময় ট্রেনের সংরক্ষিত কামরা এস-৫ এ সিটের নীচে একটি কালো ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ব্যাগটির কোনো দাবিদার না থাকায় পুলিশ ব্যাগটি জিআরপি থানায় নিয়ে আসে। এরপর সেই ব্যাগটির ভেতর থেকে দুটি দেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। রেলের সাথে যোগাযোগ করে ওই কামরায় কারা ছিলেন তাদের নামের লিস্টও চেয়ে পাঠানো হয়েছে। জিআরপি আইসি স্বপন সরকার বলেন, ‘হরতাল থাকার দরুণ ট্রেনে আমাদের বিশেষ চেকিং চলছিল। সেই সময়েই দার্জিলিং মেলের এস-৫ কামরা থেকে একটি ব্যাগ পাওয়া যায়। সেখান থেকেই দুটি পিস্তল পাওয়া গিয়েছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’</p> <p><a class="a2a_button_facebook" href="http://ift.tt/2gbaEUx" title="Facebook" rel="nofollow" target="_blank"></a><a class="a2a_button_twitter" href="http://ift.tt/2gos0uF" title="Twitter" rel="nofollow" target="_blank"></a><a class="a2a_button_google_plus" href="http://ift.tt/2gb8WCz" title="Google+" rel="nofollow" target="_blank"></a><a class="a2a_button_google_gmail" href="http://ift.tt/2gonwnS" title="Google Gmail" rel="nofollow" target="_blank"></a><a class="a2a_button_linkedin" href="http://ift.tt/2gb3IXq" title="LinkedIn" rel="nofollow" target="_blank"></a><a class="a2a_button_email" href="http://ift.tt/2gos5OU" title="Email" rel="nofollow" target="_blank"></a><a class="a2a_button_printfriendly" href="http://ift.tt/2gb7RKJ" title="PrintFriendly" rel="nofollow" target="_blank"></a><a class="a2a_dd addtoany_share_save" href="http://ift.tt/2gope8N" data-a2a-url="http://ift.tt/2gb8nIT" data-a2a-title="দেশি পিস্তল উদ্ধার"></a></p> <br /> <br /> from Uttarbanga Sambad http://ift.tt/2gb8nIT<br /> <br /> November 28, 2016 at 10:18PM

দেশি পিস্তল উদ্ধার

দেশি পিস্তল উদ্ধার শিলিগুড়ি, ২৮ নভেম্বরঃ শিয়ালদহ থেকে নিউ জলপাইগুড়িগামী দার্জিলিং মেলের সংরক্ষিত কামরায় তল্লাশি চালিয়ে দুটি দেশি পিস্তল উদ্ধার করল এনজেপি জিআরপি। তবে এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হ…

আরও পড়ুন »

রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে বাধা না দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট

রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে বাধা না দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট<br /> <br /> <p style="text-align: justify;"><span style="font-size: 12pt;"><img alt="রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে বাধা না দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট" height="76" src="http://ift.tt/2fENYIk" style="max-width: 100%; float: left;" title="রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে বাধা না দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট" width="125" />মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে বাধা না দেয়ার  নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সোমবার বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি  মোহম্মদ উল্লাহর ডিভিশন বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হয়। </span></p> <br /> <br /> from প্রচ্ছদ http://ift.tt/2gyFGGn<br /> <br /> November 28, 2016 at 10:01PM

রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে বাধা না দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট

রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে বাধা না দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে বাধা না দেয়ার  নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সোম…

আরও পড়ুন »

সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে নতুন কমিশন গঠন চ্যালেঞ্জের : বার্নিকাট

সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে নতুন কমিশন গঠন চ্যালেঞ্জের : বার্নিকাট<br /> <br /> <p style="text-align: justify;"><span style="font-size: 12pt;"><img alt="সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে নতুন কমিশন গঠন চ্যালেঞ্জের : বার্নিকাট" height="77" src="http://ift.tt/2fENcuP" style="max-width: 100%; float: left;" title="সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে নতুন কমিশন গঠন চ্যালেঞ্জের : বার্নিকাট" width="128" />ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া ব্লুম বার্নিকাট বলেছেন, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জের হবে।রাজধানীতে আজ সোমবার বিকালে ডিকাব- এর এক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।</span></p> <br /> <br /> from প্রচ্ছদ http://ift.tt/2gyADpt<br /> <br /> November 28, 2016 at 10:05PM

সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে নতুন কমিশন গঠন চ্যালেঞ্জের : বার্নিকাট

সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে নতুন কমিশন গঠন চ্যালেঞ্জের : বার্নিকাট ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া ব্লুম বার্নিকাট বলেছেন, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন সরক…

আরও পড়ুন »

ব্যাটসম্যান মিরাজ দেখা দিলেন দারুণভাবেই

ঢাকা, ২২৮ নভেম্বর- ইংল্যান্ড সিরিজে মিরাজকে দেখা গেছে দুর্দান্ত বোলার হিসেবে। বিপিএলেও তাঁকে শুধু বোলার হিসেবেই দেখা যাচ্ছে। একটা প্রশ্ন গত কিছুদিনে ঘুরে-ফিরে এসেছে, ব্যাটসম্যান মিরাজ কোথায়? আজ অবশ্য সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ইংল্যান্ড সিরিজের বিস্ময়-বালক। চাপের মুখে অসাধারণ ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বিপিএলে আগের ৯ ম্যাচে ৬ ইনিংসে মিরাজের রান ২০। অবশ্য টি-টোয়েন্টিতে অনেক সময় পরিস্থিতির কারণে নিজের প্রিয় ব্যাটিং পজিশনে খেলার সুযোগ হয় না। মিরাজেরও হয়নি। নিজেদের প্রথম ম্যাচে তো তাঁকে নামতে হয়েছে দশ নম্বরে! ব্যাটিং অর্ডারে বারবার পরিবর্তন আর পরিস্থিতির কারণেই হয়তো আগের ম্যাচগুলোয় ব্যাটসম্যান মিরাজকে দেখা যায়নি। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে রাজশাহী কিংসের ব্যাটিং বিপর্যয় আজ সুযোগ করে দিয়েছে মিরাজকে! যখন ব্যাটিংয়ে নেমেছেন ৮.৪ ওভারে ৪১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে রাজশাহী। তাঁর সামনেই ফিরে যান দলের অন্যতম ভরসা ও সেট হয়ে যাওয়া সাব্বির রহমান। চ্যালেঞ্জিং স্কোর হবে কী, ৪৩ রানে ৭ উইকেট হারানো রাজশাহীর সামনে তখন অলআউট হওয়ার শঙ্কা! মিরাজ তখন ১ রানে অপরাজিত। চাপের মুখে যে তিনি অসাধারণ খেলেন সেটিই যেন আরেকবার প্রমাণ করলেন মিরাজ। শুরুর দিকে কোনো বাউন্ডারি মারার ঝুঁকিই নেননি। এক-দুই করে স্ট্রাইক রোটেট করেছেন। প্রথম বাউন্ডারিটা তৃতীয় বলে মারলেও পরেরটির জন্য অপেক্ষা করেছেন ২১ বল। মিরাজ সবচেয়ে আক্রমণাত্মক হয়েছেন রুবেল হোসেনের করা শেষ ওভারে। প্রথমে স্কুপে চার, পরের বলেই উড়িয়ে মেরেছেন লং অফ দিয়ে। শেষ পর্যন্ত রাজশাহী অলরাউন্ডার অপরাজিত ৩৩ বলে ৪১ রান। এক প্রান্তে মিরাজ তো আরেক পাশে জ্বলে উঠেছেন ফরহাদ রেজা। ৩২ বলে অপরাজিত ৪৪ রানের ইনিংসটায় চার-ছক্কা সমান, দুটি করে। মিরাজ-ফরহাদের অবিচ্ছিন্ন অষ্টম উইকেটে এসেছে ৮৫ রান। শেষ চার ওভারে ৫০ রান তোলায় রাজশাহীর স্কোরটা ১২৮ হয়েছে। এবার তো বল হাতেও কিছু করে দেখানোর সুযোগ। রাজশাহীর ব্যাটিং ধসটা হয়ে তাহলে ভালোই হলো! এফ/২২:০২/২৮ নভেম্বর<br /> <br /> <br /> <br /> from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2fXeKg2<br /> November 29, 2016 at 04:02AM

ব্যাটসম্যান মিরাজ দেখা দিলেন দারুণভাবেই

ঢাকা, ২২৮ নভেম্বর- ইংল্যান্ড সিরিজে মিরাজকে দেখা গেছে দুর্দান্ত বোলার হিসেবে। বিপিএলেও তাঁকে শুধু বোলার হিসেবেই দেখা যাচ্ছে। একটা প্রশ্ন গত কিছুদিনে ঘুরে-ফিরে এসেছে, ব্যাটসম্যান মিরাজ কোথায়? আজ অবশ্য …

আরও পড়ুন »

হোটেলে জুপিটারের রুমে নারী, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

<div><a href='http://ift.tt/2gC72ZB'><img alt="হোটেলে জুপিটারের রুমে নারী, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ" height="133" src="//cdn.bn.ntvbd.com/site/photo-1480348661" title="porimoni" width="200" /></a><span>ঠিক খেলা দিয়ে নয়, ম্যাচ ফিক্সিংয়ের বিষয় তুলে বিপিএলে আলোচনায় আছেন রংপুর রাইডার্সের ক্রিকেটার জুপিটার ঘোষ। এ জন্য দলের ম্যানেজার সানোয়ার হোসেনকে দায়ী করেছেন তিনি। আর জুপিটারের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দেগেছেন সানোয়ার। তিনি অভিযোগ তুলেছেন, জুপিটার হোটেলের রুমে নারী নিয়ে প্রবেশ করেছিলেন! ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠায় জুপিটার ও সানোয়ার উভয়কেই আসর ...<a class='more_link' href='http://ift.tt/2gC72ZB'>বিস্তারিত</a></span></div> <br /> <br /> <br /> <br /> from NTV Online : NTV RSS Feed http://ift.tt/2gC72ZB<br /> November 28, 2016 at 09:54PM

হোটেলে জুপিটারের রুমে নারী, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

ঠিক খেলা দিয়ে নয়, ম্যাচ ফিক্সিংয়ের বিষয় তুলে বিপিএলে আলোচনায় আছেন রংপুর রাইডার্সের ক্রিকেটার জুপিটার ঘোষ। এ জন্য দলের ম্যানেজার সানোয়ার হোসেনকে দায়ী করেছেন তিনি। আর জুপিটারের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দেগেছ…

আরও পড়ুন »

অলরাউন্ডার মিরাজে রাজশাহীর দারুণ জয়

<div><a href='http://ift.tt/2gOX0HG'><img alt="অলরাউন্ডার মিরাজে রাজশাহীর দারুণ জয়" height="133" src="//cdn.bn.ntvbd.com/site/photo-1480347816" title="porimoni" width="200" /></a><span>আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর বোলার হিসেবে নিজেকে ভালোমতোই চিনিয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ। আজ রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে বিপিএলের ম্যাচে দেখা গেল মিরাজের ব্যাটসম্যান সত্তাটাও। তাঁর দুর্দান্ত অলরাউন্ড নৈপুণ্যে রাজশাহী কিংসও পেল ৪৯ রানের দারুণ জয়। ব্যাট হাতে ৪১ রানের ইনিংসের পর বল হাতেও দুটি উইকেট নিয়ে মেহেদী জিতেছেন ...<a class='more_link' href='http://ift.tt/2gOX0HG'>বিস্তারিত</a></span></div> <br /> <br /> <br /> <br /> from NTV Online : NTV RSS Feed http://ift.tt/2gOX0HG<br /> November 28, 2016 at 09:43PM

অলরাউন্ডার মিরাজে রাজশাহীর দারুণ জয়

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর বোলার হিসেবে নিজেকে ভালোমতোই চিনিয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ। আজ রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে বিপিএলের ম্যাচে দেখা গেল মিরাজের ব্যাটসম্যান সত্তাটাও।…

আরও পড়ুন »

সাব্বিরকে ব্যাট দিয়ে আঘাত করলেন শেহজাদ!

<div><a href='http://ift.tt/2gaUbzo!'><img alt="সাব্বিরকে ব্যাট দিয়ে আঘাত করলেন শেহজাদ!" height="133" src="//cdn.bn.ntvbd.com/site/photo-1480346572" title="porimoni" width="200" /></a><span>রাজশাহী কিংস ও রংপুর রাইডার্সের ম্যাচে বেশ ভালোই উত্তাপ ছড়ালেন আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শেহজাদ ও সাব্বির রহমান। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে শেহজাদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছিলেন সাব্বির। সেটার রেশ দেখা গেল দ্বিতীয় ইনিংসেও। এবার আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার সময় সাব্বিরকে ব্যাট দিয়ে আঘাতই করে বসেছেন শেহজাদ। ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে ...<a class='more_link' href='http://ift.tt/2gaUbzo!'>বিস্তারিত</a></span></div> <br /> <br /> <br /> <br /> from NTV Online : NTV RSS Feed http://ift.tt/2gaUbzo!<br /> November 28, 2016 at 09:21PM

সাব্বিরকে ব্যাট দিয়ে আঘাত করলেন শেহজাদ!

রাজশাহী কিংস ও রংপুর রাইডার্সের ম্যাচে বেশ ভালোই উত্তাপ ছড়ালেন আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শেহজাদ ও সাব্বির রহমান। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে শেহজাদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছিলেন সাব্বির। সেটার রেশ দেখা গ…

আরও পড়ুন »

দুপচাঁচিয়ায় লাইট হাউসের আইনগত সহায়তা কমিটির দ্বি-মাসিক সভা

দুপচাঁচিয়ায় লাইট হাউসের আইনগত সহায়তা কমিটির দ্বি-মাসিক সভা<br /> <br /> <p style="text-align: justify;"><a href="http://ift.tt/2gakgwu"><img alt="Logo-2+++" class="alignleft size-full wp-image-67254" height="95" src="http://ift.tt/2gakgwu" width="250" /></a>বগুড়া সংবাদ ডট কম (দুপচাঁচিয়া, বগুড়া মোঃ আবু রায়হান) : সোমবার বিকেলে দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ইউএসএআইডি’র উদ্যোগে জ্যাষ্টিস ফর অল লাইট হাউসের আয়োজনে আইনগত সহায়তা প্রদান কমিটির দ্বি-মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহেদ পারভেজ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আলহাজ্ব হোসেন আলী প্রামানিক, থানার অফিসার ইনচার্জ এর পক্ষে এসআই রইচ উদ্দিন, প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম ফারুক, ইউনিয়ন চেয়াম্যানদের পক্ষে গোবিন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মনোয়ার হোসেন হেলাল, লাইট হাউসের উপজেলা কোর্ডিনেটর মোছাঃ রুমি, বে-সরকারি সংস্থা সোভা’র নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার-উল-আজাদ, সাংবাদিক বাহারাম আলী আকন্দ সহ প্রমূখ। সমগ্র সভাটি পরিচালনা করেন লাইট হাউস উপজেলা কোর্ডিনেটর স্বপ্না শারমিন।</p> <br /> <br /> from বগুড়া সংবাদ http://ift.tt/2gzvqdd<br /> <br /> November 28, 2016 at 09:23PM

দুপচাঁচিয়ায় লাইট হাউসের আইনগত সহায়তা কমিটির দ্বি-মাসিক সভা

দুপচাঁচিয়ায় লাইট হাউসের আইনগত সহায়তা কমিটির দ্বি-মাসিক সভা বগুড়া সংবাদ ডট কম (দুপচাঁচিয়া, বগুড়া মোঃ আবু রায়হান) : সোমবার বিকেলে দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ইউএসএআইডি’র উদ্যোগে জ্যাষ্টিস ফর অল লাইট হাউসের আয়োজন…

আরও পড়ুন »

শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ

<div><a href='http://ift.tt/2fsJs4k'><img alt="শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ" height="133" src="//cdn.bn.ntvbd.com/site/photo-1480345609" title="porimoni" width="200" /></a><span>শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এবারের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ভর্তি কমিটির সদস্য-সচিব অধ্যাপক ড. এ এইচ এম বেলায়েত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, যতদ্রুত সম্ভব ভর্তির ...<a class='more_link' href='http://ift.tt/2fsJs4k'>বিস্তারিত</a></span></div> <br /> <br /> <br /> <br /> from NTV Online : NTV RSS Feed http://ift.tt/2fsJs4k<br /> November 28, 2016 at 09:05PM

শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এবারের ভর্ত…

আরও পড়ুন »

বার্মায় চলছে মুসলিম নিধন।

বার্মায় চলছে মুসলিম নিধন।<br /> <br /> <p>রোহিঙ্গা সমস্যাটা ব্রিটিশদের তৈরী।<br /> হিংস্র বুদ্ধরা বাঙালী ও রোহিঙ্গা মুসলমানদের তুচ্ছার্থে কালা নামে ডাকে??!<img alt="fb_img_1479772881258" class="alignnone size-medium wp-image-45215" height="450" sizes="(max-width: 339px) 100vw, 339px" src="http://ift.tt/2g7B8WT" srcset="http://ift.tt/2g7B8WT 339w, http://ift.tt/2fTN6k3 600w" width="339" /></p> <p>মুহাম্মদ নূরে আলম ।<br /> লেখক : লন্ডন প্রবাসী সাংবাদিক ও গবেষক ।</p> <p>বার্মায় চলছে মুসলিম নিধন, নিজ পৈত্রিক ভূমি থেকে বিতাড়িত বার্মার মুসলমানরা বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের প্রতিহিংসার শিকার। বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের আগ্রসী দমন নীতির ফলে আমার মুসলিম ভাইয়েরা আজ সর্বস্ব হারিয়ে পড়েছে উভয় সংকটে। যাকে বলে জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ। তারা না পারছে থাকতে না পারছে নিজেদের বসত ভিটায় ফিরতে ?? আর না পারছে একজন মানুষ হিসেবে তার মৌলিক অধিকার নিজে বাঁচতে। বার্মার মুসলমানরা গরীব বা অশিক্ষিত ছিল না। তারা শিক্ষা দীক্ষায় ব্যবসা বাণিজ্যে ছিল উন্নত । দেশের সামরিক সরকার আর হিংস্র সন্ত্রাসী বৌদ্ধরা কেড়ে নিয়েছে মুসলমানদের সব কিছুই। আজ পৃথিবীতে সবচেয়ে নির্যাতিত নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর নাম রোহিঙ্গা মুসলিম।</p> <p>দেশটিকে এক সময় আমরা বাংলায় বলতাম ব্রহ্মদেশ। আর ইংরেজিতে বলতাম বার্মা (Burma)। ফারসিতে বলা হতো বারহামা। এই বারহামা নাম থেকেই ইংরেজিতে উদ্ভব হতে পেরেছিল বার্মা নামটি। ‘ম্রনমা’ শব্দটার মানে হলো মানুষ, যাদের আমরা এক সময় বলতাম বর্মি, তারা নিজেদের বলেন ‘ম্রনমা’। মিয়ানমার নামটি এসেছে ম্রনমা নাম থেকে। ১৯৮৯ সালে ১৮ জুন থেকে বার্মার সরকারি নাম রাখা হয়েছে মিয়ানমার। ম্রনমা ভাষায় ‘র’-এর উচ্চারণ করা হয় না। যদিও তা লেখা হয়। তাই ম্রনমা ভাষায় দেশটির নাম দাঁড়ায় উচ্চারণগতভাবে মিয়ানমা।<br /> রোহিঙ্গাদের সমস্যাটা ব্রিটিশরা তৈরী করে যায়, পরিকল্পনা করে ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদেরকে মানচিত্রের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন করে যায়। যাতে দক্ষিণ এশিয়ায় মুসলমানরা শক্তিশালী না হতে পারে। তাই কৌশলে কাশ্মীর সমস্যা,পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম এলাকা ভারতের ভিতরে রেখে দেয়ার মাধ্যমে সমস্যা, সিটমহল সমস্যা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ওয়াদা করেও আরাকানকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা না করে, না বাংলাদেশ না বার্মা মাঝখানে রেখে যাওয়ার সমস্যা, অনির্ধারিত সীমান্ত রেখে যাওয়ার সমস্যা, এইরকম অসংখ্য সমস্যার মূলে ব্রিটিশরা।</p> <p>জাতিতে জাতিতে বিভাজন ইংরেজরা তৈরী করে গেছে। আর ঐক্যবদ্ধ মুসলমানদেরকে করে গেছে বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন। ওয়াদা অনুযায়ী স্বাধীনতা তো দেয়নি বরং বার্মার নৃ গোষ্ঠীর তালিকা তৈরী করার সময়ে ইংরেজরা ১৩৯ জনগোষ্ঠীর তালিকা থেকে আরাকানের ( রোহিঙ্গা) মুসলমানদের বাদ দেয়?! আর এতে সুযোগ পেয়ে যায় অতি হিংস্র বর্ণবাদী বুদ্ধরা বাঙালী ও রোহিঙ্গা মুসলমানদের তুচ্ছার্থে ঘৃণা বরে কালা নামে ডাকে। আশা করি এবার বুঝতে পেরেছেন এই বুদ্ধরা কতো হিংস্র নরপশু।</p> <p>ইতিহাস এটা জানায় যে, ১৪৩০ থেকে ১৭৮৪ সাল পর্যন্ত ২২ হাজার বর্গমাইল আয়তনের রোহিঙ্গা স্বাধীন রাজ্য ছিল। মিয়ানমারের রাজা বোদাওফায়া এ রাজ্য দখল করার পর বৌদ্ধ আধিপত্য শুরু হয়।এক সময়ে ব্রিটিশদের দখলে আসে এ ভূখণ্ড। তখন বড় ধরনের ভুল করে তারা এবং এটা ইচ্ছাকৃত কিনা, সে প্রশ্ন জ্বলন্ত। আমাদের ‘প্রাক্তন ব্রিটিশ শাসকরা’ মিয়ানমারের ১৩৯টি জাতিগোষ্ঠীর তালিকা প্রস্তুত করে। কিন্তু তার মধ্যে রোহিঙ্গাদের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এ ধরনের কত যে গোলমাল করে গেছে ব্রিটিশরা তার হিসেবে নেই !</p> <p>১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি মিয়ানমার স্বাধীনতা অর্জন করে এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু হয়। সে সময়ে পার্লামেন্টে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। এ জনগোষ্ঠীর কয়েকজন পদস্থ সরকারি দায়িত্বও পালন করেন। কিন্তু ১৯৬২ সালে জেনারেল নে উইন সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করলে মিয়ানমারের যাত্রাপথ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হতে শুরু করে। রোহিঙ্গাদের জন্য শুরু হয় দুর্ভোগের নতুন অধ্যায়। সামরিক জান্তা তাদের বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করে। তাদের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়।</p> <p>ধর্মীয়ভাবেও অত্যাচার করা হতে থাকে। নামাজ আদায়ে বাধা দেওয়া হয়। হত্যা-ধর্ষণ হয়ে পড়ে নিয়মিত ঘটনা। সম্পত্তি জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়। বাধ্যতামূলক শ্রমে নিয়োজিত করা হতে থাকে। তাদের শিক্ষা-স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নেই। বিয়ে করার অনুমতি নেই। সন্তান হলে নিবন্ধন নেই। জাতিগত পরিচয় প্রকাশ করতে দেওয়া হয় না। সংখ্যা যাতে না বাড়ে, সে জন্য আরোপিত হয় একের পর এক বিধিনিষেধ। মিয়ানমারের মূল ভূখণ্ডের অনেকের কাছেই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ‘কালা’ নামে পরিচিত। বাঙালিদেরও তারা ‘কালা’ বলে। ভারতীয়দেরও একই পরিচিতি। এ পরিচয়ে প্রকাশ পায় সীমাহীন ঘৃণা।</p> <p>মুসলিম বসতি :<br /> আরাকান এখন মিয়ানমারের অংশ। কিন্তু আরাকান (যাকে এখন বলা হচ্ছে রাখাইন প্রদেশ) তা ছিল গৌড়ের সুলতানদের সামন্তরাজ্য। আরাকানের এক রাজা (মেং সোআম্উন) পালিয়ে আসেন গৌড়ে। কারণ দক্ষিণ বার্মার এক রাজা দখল করেন তার রাজত্ব। গৌড়ের সুলতান জালাল-উদ্দীন মুহম্মদ শাহ তাকে তার রাজ্য পুনরুদ্ধারের জন্য সৈন্যসামন্ত দিয়ে সাহায্য করেন। এবং তিনি তার রাজত্ব পুনরুদ্ধার করতে পারেন গৌড়ের প্রদত্ত সৈন্যসামন্ত দিয়ে, যাদের বলা হচ্ছে রোহিঙ্গা মুসলমান, তারা প্রধানত হলেন এদের বংশধর। আরাকানের রাজা গৌড় থেকে যাওয়া মুসলমান সৈন্যসামন্তকে তার রাজ্যের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য রেখে দেন আরাকানে। আরাকানের রাজা নতুন রাজধানী স্থাপন করেন, যার নাম দেন রোহং। রোহংকে বাংলায় বলা হতে থাকে রোসঙ্গ নগর। এক সময় গোটা আরাকানকেই বাংলায় বলা হতো রোসাঙ্গ দেশ। আরাকানের সব মুসলমানই অবশ্য রোহিঙ্গা নন। যদিও আরাকানবাসী মুসলমানেরা সাধারণভাবে এখনো রোহিঙ্গা নামেই পরিচিত। কিন্তু পুরো উত্তর আরাকানে এক সময় চলেছে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা। আরাকানের উত্তরাঞ্চলে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে বহু মুসলমান গিয়ে উপনিবিষ্ট হয়েছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আরাকানসহ পুরো বার্মা চলে যায় জাপানের দখলে।</p> <p>দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে আরাকানে মুসলমানদের সমর্থন পাওয়ার জন্য ব্রিটেন বলে, আরাকান আবার তারা ফিরে পেলে উত্তর আরাকানকে পৃথক করে গড়া হবে একটি পৃথক প্রদেশ। এবং স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করবে। কিন্তু ইংরেজরা ওয়াদা ভঙ্গ করে।<br /> আরাকানে মুসলমানদের বসতি হাজার বছরেরও বেশি পুরনো, তার পেছনে দলিল রয়েছে। সে দলিল রয়েছে খোদ মিয়ানমারে। সেখানে মুসলমান বসতির সূত্রপাত প্রসঙ্গে বিশিষ্ট ঐতিহাসিক ড. মুহাম্মদ এনামুল হক আরাকানের জাতীয় ইতিহাসবিষয়ক গ্রন্থ ‘রাজোয়াং’ থেকে নিম্নোক্ত বিবরণটি উদ্ধৃত করেছেন : “খ্রিষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীর শেষ পাদে যখন আরাকান রাজ মহতৈং চন্দয় (গধযধঃড়রহম ঞংধহফুধ- ৭৮৮-৮১০ অ.উ.) রাজত্ব করছিলেন, তখন কতকগুলো মুসলমান বণিক জাহাজ ভাঙিয়া যাওয়ার ফলে আরাকানের দক্ষিণ দিকস্থ ‘রনবী’ (আধুনিক রামরী) দ্বীপে উঠিয়া পড়েন। তাঁহারা আরাকানীগণ কর্তৃক ধৃত হইয়া রাজার সম্মুখে নীত হয়েছিলেন। রাজা তাঁহাদের দুরবস্থা দেখিয়া দয়াপরবশ হইয়া তাঁহাদিগকে স্বীয় রাজ্যে গ্রামে গিয়া বসবাস করিতে আদেশ দিয়াছিলেন।” ড. এনামুল হক মনে করেন যে, “রাজোয়াংএ উল্লিখিত এ সব মুসলমান বণিক আরব দেশীয় ছিলেন এবং চাটগাঁ থেকে উপকূল বেয়ে দক্ষিণ মুখে যাবার পথে, কিংবা দক্ষিণ উপকূল হয়ে উত্তরে চাটগাঁর দিকে এগুবার সময়ই ঝঞ্ঝাতাড়িত হয়ে সম্ভবত তারা রামরী দ্বীপে গিয়ে আশ্র্য় নিয়েছিলেন।” সুপ্রাচীন আরবীয় ঐতিহ্য অনুসারে একই সাথে জীবিকা অর্জন ও ধর্ম প্রচারের সুমহান চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মুসলমানেরা দলে দলে নৌ ও স্থলপথে এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। এরই অংশ হিসেবে খ্রিষ্টীয় নবম শতাব্দীর প্রারম্ভে বার্মায় মুসলিম উপনিবেশ গড়ে ওঠে। জীবন-জীবিকার অনিবার্য প্রয়োজনে স্থানীয় মহিলাদেরকে বিবাহ-শাদি করে তারা সেখানে ধনে-জনে বর্ধিত হতে থাকে।</p> <p>মিয়ানমারে মুসলমানদের ওপর ভয়াবহ হামলার কথা নিয়ে প্রচ্ছদ কাহিনী লেখা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক Time পত্রিকায় (১ জুলাই ২০১৩ সংখ্যায়)। টাইম পত্রিকা মুসলিমদের দিয়ে কোনোভাবেই প্রভাবিত নয়। তার প্রতিবেদনকে তাই গ্রহণ করতে হয় যথেষ্ট বস্তুনিষ্ঠ হিসেবে। শুধুমাত্র টাইম ম্যাগাজিন নয় বার্মার মুসলমানদের উপরে গণহত্যার চিত্র আল জাজিরাসহ সব মিডিয়া প্রচারিত হয়েছে এবং হচ্ছে।</p> <p>মিয়ানমার (বার্মায়) রোহিঙ্গা মুসলিম নিধনের ব্যাপারটিও রুয়ান্ডারই অনুরূপ এর একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে মুসলমানদের খতম করা। মুসলিম গণহত্যা দ্বারা মানুষরূপী এসব শয়তানের এজেন্টদের বাড়তি উদ্দেশ্য হলো, একদিকে মানুষের বংশ নিধন অপরদিকে আল্লাহর আনুগত্যকারীদের সংখ্যা হ্রাস করে শয়তানদের অধিক সন্তুষ্টি অর্জন করা।</p> <p>বিশেষ করে বার্মার রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যার প্রতি তাকালে যেসব প্রশ্ন জাগে তন্মধ্যে প্রথম প্রশ্ন হলো এই যে- বার্মার সামরিক এক নায়কত্বের ভেতর থেকে যেই গণতন্ত্র মাথা তুলে দাঁড়ালো সেখানে এই গণহত্যা সত্ত্বেও শান্তির নোবেল প্রাপ্ত বর্মী বিরোধী নেতৃত্বে কোনোরূপ প্রতিক্রিয়া নেই কেন? সারা দুনিয়ায় এই বেদনাদায়ক গণহত্যার বিষয়টিকে কেন ব্লেক আউট করে রেখেছে? মুসলিম বিশ্বের মিডিয়াগুলোর চোখ এ ব্যাপারে কেন বন্ধ হয়ে আছে? কোনো পক্ষ থেকেই ইসলাম দুনিয়ার চোখ খোলার কোনো প্রকার চেষ্টা হচ্ছে না। এ ঘটনাতো শুধু এটিই প্রথম নয়- এর আগে থেকেই রোহিঙ্গা মুসলিম নিধন ও নিপীড়নের কাজ চলে আসছে।</p> <p>বর্মী সামরিক সরকার কি এতই শক্তিশালী যে, তারা আন্তর্জাতিক নিয়ম-রীতি লঙ্ঘন করে মনে যা চাইবে তাই করতে থাকবে, কিন্তু জিজ্ঞাসা হলো, সকলের মধ্যে এই নীরবতা কেন? বিভিন্ন সরকারের চাপ ইসলামী সম্মেলন সংস্থা, সার্ক সম্মেলন এ জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সকল ফোরাম থেকে নানানভাবে কার্যকর প্রেসার আসা কর্তব্য। অন্যথায় মানবতাবিরোধী গণহত্যায় সকলের এই নীরবতার ফলে মানুষ নামের দানবদের কর্মকান্ডের পরিণতি এক সময় অন্যদেরও ভোগ করতে হবে।</p> <p>মুসলিম বিশ্ব ইসলামী সম্মেলন সংস্থা এবং গণতন্ত্র প্রিয় দুনিয়াবাসী থেকে অনেক কিছু আশা করেছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে দিনের দিন যেন সব আশা ভরসা নস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে। মানবসভ্যতা পশ্চাৎমুখী হতে চলেছে। মানবতাকে এই অন্যায় ও দুরবস্থার হাত থেকে রক্ষা করতে হলে জাতিসংঘ সনদকে কার্যকর করার জন্য বিশ্বের বিবেকবান মানুষদের অবশ্যই সক্রিয় হয়ে উঠতে হবে। অন্যথায়, বিশ্ব আবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বাবস্থার মতো অমানবিকতা ও বর্বরতার দিকে ধাবিত হওয়া অসম্ভব কিছু নয়।</p> <p>জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের নামে আবারো মানবতা ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে আরাকানে। স্থানীয় মগজনগোষ্ঠী এবং প্রশাসনের প্রকাশ্য সহায়তায় আরাকানের মংডু এবং আকিয়াব এলাকায় চলছে নির্বিচারে গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ এবং লুটতরাজ। রোহিঙ্গাদের হাজার হাজার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে বিরাণভূমিতে পরিণত করছে গ্রামের পর গ্রাম। রোহিঙ্গা যুবতি নারীদের অপহরণ করা হচ্ছে নির্দ্বিধায়। ইতোমধ্যে প্রায় পাঁচ হাজারের অধিক যুবতি নারীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। খাল, বিল এবং জঙ্গলাকীর্ণ এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে মহিলাদের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ধর্ষণ শেষে নির্মমভাবে তাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে। মুসলমানদেরকে হত্যা করে তাদের দাড়ি গোঁফ মুড়িয়ে গেরুয়া পোশাক পরিয়ে বৌদ্ধলাশ সাজিয়ে মিডিয়ার সামনে মুসলমানদেরকেই দাঙ্গা সৃষ্টিকারী এবং ঘাতক হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।</p> <p>মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে সেখানে। মানবিক বিপর্যয়ের এক জলন্ত জাহান্নামে পরিণত হয়েছে রোহিঙ্গাদের বসতভিটে। এমন নির্মমতায় প্রাণ হারাচ্ছে অসহায় নারী শিশু ও বৃদ্ধসহ সেখানকার খেটে খাওয়া অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত সমগ্র রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠী। সর্বস্ব হারিয়ে নিজেদের প্রাণটুকু বাঁচানোর তাগিদে তারা পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছে পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে। কিন্তু বাংলাদেশ তাদেরকে আশ্রয় দিতে সক্ষম কিনা কিংবা আশ্রয় দিলেই এ সমস্যার সমাধান হবে কি না এসব বিতর্কের কারণে বাংলাদেশ সরকারও ভীষণভাবে কঠোরতা অবলস্বন করে তাদেরকে আশ্রয়ের কোনো সুযোগ দিচ্ছে না। বরং আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের দৃঢ়চেতা বক্তব্যে জাতি আশাহত হয়েছে। এমনকি যারা মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিল, নদীর অথৈ জলে অসহায় মানুষদের খাবার পানীয় সরবরাহ করছিল তাদের দিকে জাতিগত দাঙ্গার মদতদাতার অভিযোগ তুলে বিবেকবান মানুষকে হতবাক করেছে।</p> <p>নির্যাতিত নিষ্পেষিত অসহায় রোহিঙ্গাদের জন্য কিছু করা তো দূরের কথা বরং যারা কিছু করার চেষ্টা করছেন তাদের দিকেও অযাচিত ও অনাকাক্সিক্ষত সন্দেহের আঙ্গুল উচ্চকিত করা হচ্ছে। ফলে আহত ও নির্যাতিত অসহায় মানুষগুলোকে অবর্ণনীয় কষ্টের মাধ্যমে নদী আর সাগর জলেই মৃত্যুমুখে গমন করতে হচ্ছে।</p> <p>বিশ্বায়ন, তথ্যপ্রযুক্তি ও মানবিক উৎকর্ষতার এ উন্নত যুগে সকলের চোখের সামনে এমন মানবিক বিপর্যয় ঘটে যাচ্ছে নির্বিঘে। কেউ যেন নেই দেখবার, সাহায্যের হাত বাড়াবার কিংবা ন্যূনতম সহানুভূতি প্রকাশ করবার। চোখের সামনে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে রাখাইন রাজ্য নামে পরিচিত আরাকানরাজ্যের ঐতিহ্যবাহী একটি মুসলিম জনগোষ্ঠী। অথচ তারা আরাকানেরই মূল জনগোষ্ঠী, জন্মগতভাবেই আরাকানের নাগরিক, তাদের হাতেই পরিপুষ্টি অর্জন করেছে আরাকানের ইতিহাস ঐতিহ্য। শুধুমাত্র মুসলিম হবার অপরাধেই তাদের উপর চলছে এ অমানবিক নির্যাতন।</p> <p>অথচ রোহিঙ্গারাই আরাকানের প্রথম বসতি স্থাপনকারী মূল ধারার সুন্নী আরব মুসলমান। আরাকান রাজ্যের মুসলিম সংস্কৃতি ও ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হিসেবে রোহিঙ্গাদের ভূমিকাই ছিল প্রধান। কিন্তু মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের নৃতাত্বিক অস্তিত্বকে অস্বীকার করার মধ্য দিয়ে আরাকান অঞ্চল থেকে মুসলিম সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যকে স্মৃতিপট থেকে মুছে ফেলতে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।</p> <p>ফলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বর্তমানে নিজ দেশে নাগরিকত্বহীন অবস্থায় পরবাসী হয়ে জীবন যাপন করছে। অথচ রোহিঙ্গাদের কেউ হাজার বছর, কেউ পাঁচ শতাধিক বছর আর কেউবা কয়েকশত বছর ধরে সেখানে বসবাস করছে। মূলত বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে বিশেষত ব্রিটিশ বিদায়ের শেষপর্বে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের বিষয়ে অমীমাংসিত ও প্রশ্নবোধক অধ্যায়ের সূচনা হয়; যার ফলে অদ্যাবধি রোহিঙ্গাদেরকে আরাকানের অভিবাসী আশ্রিত মানুষ হিসেবে জীবন যাপন করতে হচ্ছে এবং বারবার তাদেরকে স্বদেশভূমির ভিটেমাটি ত্যাগ করে বাংলাদেশে শরণার্থীর জীবন বেছে নিতে হয়েছে।</p> <p>রোহিঙ্গা সঙ্কটের প্রেক্ষাপট:<br /> আরাকান এককালে স্বাধীন রাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত থাকলেও অধুনাকালে মিয়ানমারের একটি প্রদেশ। অনুরূপভাবে রোহিঙ্গারাও এক সময় স্বাধীন আরাকানের অমাত্যসভা থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থেকে নিজেদের প্রাধান্য বজায় রাখলেও বর্তমানে তারা আরাকানের সবচেয়ে নিগৃহীত জাতিগোষ্ঠী। ১৭৮৪ সালে বর্মীরাজ বোধপায়া কর্তৃক আরাকান দখলের মধ্যদিয়েই মূলত রোহিঙ্গাদের নিগৃহীত জীবনের সূচনা হয়। অতঃপর ব্রিটিশ শাসনের সমাপ্তিলগ্নে ব্রিটিশ কূটকৌশলের ফলে তাদের জীবনে দ্বিতীয়বারের মত অনিশ্চয়তা নেমে আসে। স্বাধীনতা-উত্তর বার্মায় ১৯৬২ সালে সামরিক জান্তা নে উইন কর্তৃক ক্ষমতা দখলের পর হতে রোহিঙ্গারা ক্রমশ নাগরিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত হতে থাকে। অবশেষে ১৯৮২ সালে প্রণীত নাগরিকত্ব আইনের নামে তাদেরকে বহিরাগত হিসেবে চিহ্নিত করে কল্লা বা বিদেশী আখ্যা দিয়ে দেশ থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে। রোহিঙ্গারা জন্মসূত্রে আরাকানের নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও তাদের জীবনে এ দুর্ভোগের পিছনে নিম্নোক্ত কারণ উল্লেখ করা যায় –</p> <p>প্রথমত, রোহিঙ্গারা দীর্ঘ হাজার বছরের পথ পরিক্রমায় আরাকানের অমাত্যসভাসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে সমাসীন থাকলেও তারা নেতৃত্বের ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র কোনো ধারা সৃষ্টি করতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে বর্মীরাজ বোধপায়া কর্তৃক ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে আরাকান দখলের পর আরাকানের সর্বময় ক্ষমতা বর্মীদের হাতে চলে যায়। তারা পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গাসহ আরাকানি নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদেরকে হত্যা করে। অবশিষ্টদের অনেকেই প্রাণ ভয়ে বাংলায় পালিয়ে আসে এবং ১৮২৬ সালে প্রথম ইঙ্গ-বর্মী যুদ্ধের মাধ্যমে আরাকান দখল পর্যন্ত এ দীর্ঘ সময়ে দেশের বাইরে অবস্থান করে। এ সময়ে সিন পিয়ানসহ অনেক আরাকানি নেতা স্বদেশ পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম পরিচালনা করলেও বিভিন্ন কারণে তারা ব্যর্থ হয়। ফলে বাংলায় আশ্রিত রোহিঙ্গাসহ আরাকানে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা নেতৃত্বের দিক থেকে আরো পিছিয়ে পড়ে।</p> <p>দ্বিতীয়ত, ১৮২৬ সালে আরাকানে ব্রিটিশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হলে তারা রোহিঙ্গাদেরকে বাহ্যিক কিছু সুযোগ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতার ভিত্তি মজবুত করে। শাসকগোষ্ঠী নিজেদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রয়োজনেই আরাকানের প্রশাসনের বিভিন্ন ক্ষেত্র ছাড়াও কৃষি, ব্যবসায় প্রভৃতি কাজের জন্য বাংলায় আশ্রিত রোহিঙ্গাসহ আরাকানিদেরকে স্বদেশে বসবাসের সুযোগ প্রদান করে। এ সময় রোহিঙ্গাদের নেতৃস্থানীয় শিক্ষিত শ্রেণীর অনেকেই আরাকানে ফিরে না গিয়ে বাংলার কক্সবাজার ও বান্দরবান অঞ্চলে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে।</p> <p>মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণীসহ কিছু সংখ্যক নেতৃস্থানীয় রোহিঙ্গা স্বদেশে ফিরে গেলেও নেতেৃত্বের ক্ষেত্রে নতুন করে কোনো অবস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়নি। পক্ষান্তরে ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানরা ব্রিটিশের কর্তৃত্বকে সহজে মেনে না নেবার কারণে বরাবরই তারা মুসলমানদেরকে শক্র মনে করতো। ফলে বার্মায় পুরোপুরিভাবে ব্রিটিশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবার পর রোহিঙ্গারা যাতে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে না পারে সেজন্য তাদেরকে রাষ্ট্রের বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত না করে স্থানীয় মগদের প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এমনকি ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ বার্মাকে স্বাধীনতা প্রদানের পূর্বে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব বিষয়ে মগদের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করে। স্বাধীনতা উত্তর মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন বর্মী ও স্থানীয় মগরা সে ইস্যুকে ক্রমশ শক্তিশালী করে তোলে; যার সর্বশেষ পরিণতি হিসেবে রোহিঙ্গারা কল্লা বা ভিনদেশী চিহ্নিত হয়ে স্বদেশ থেকে বিতাড়িত হয়।</p> <p>ব্রিটিশ শাসিত বার্মাকে মুক্ত করার আন্দোলনে রোহিঙ্গারা স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা অং সানকে সমর্থন দিয়ে বার্মাকে ব্রিটিশ শাসন মুক্ত করলেও তারা তাদের অধিকার ফিরে পায়নি। স্বাধীনতাউত্তর বার্মার শাসক গোষ্ঠী বিভিন্ন অজুহাতে তাদেরকে মিয়ানমার বা আরাকানের নাগরিক হিসেবে গ্রহণ না করে শুধুমাত্র আরাকানের বাসিন্দা হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকে।</p> <p>রোহিঙ্গারা আরাকানের স্বাধিকার আন্দোলন শুরু করলে রাজনৈতিক কৌশলে তাদের এ পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। অতঃপর তাদের উপর চালানো হয় ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যা। এ প্রেক্ষাপটে ১৯৭৮-৭৯ সালে প্রায় তিন লক্ষ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বালাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে। আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের চাপ ও বাংলাদেশের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কূটনৈতিক তৎপরতায় বিষয়টির বাহ্যিক সমাধান নিশ্চিত হয়। তাই রোহিঙ্গাদের নিঃশেষ করে দেবার জন্য কৌশল অবলম্বন করে ১৯৮২ সালে বিতর্কিত বর্ণবাদী নাগরিকত্ব আইন ঘোষণা করেন।</p> <p>এ আইনে নাগরিকদের Citizen, Associate এবং Naturalized শ্রেণীতে ভাগ করে ১৮২৩ সালের পরে আগত বলে Associate কিংবা ১৯৮২ সালে নতুনভাবে দরখাস্ত করে Naturalized Citizen ঘোষণা করার ব্যবস্থা করে। উক্ত আইনের ৪নং প্রভিশনে আরো শর্ত দেয়া হয়, কোনো জাতিগোষ্ঠী রাষ্ট্রের নাগরিক কিনা তা নির্ধারণ করবে আইন-আদালত নয়; সরকারের নীতি-নির্ধারণী সংস্থা Council of State. এ আইনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ভাসমান নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। রোহিঙ্গাদের কাছে কালো আইন হিসেবে বিবেচিত এ আইন তাদের সহায়-সম্পত্তি অর্জন, ব্যবসায়-বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা সার্ভিসে যোগদান, নির্বাচনে অংশ গ্রহণ কিংবা সভা-সমিতির অধিকারসহ সার্বিক নাগরিক অধিকার কেড়ে নেয়। বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকাসহ প্রচার মাধ্যমগুলো তাদেরকে সেখানকার স্থায়ী নাগরিক হিসেবে সম্বোধন করে।</p> <p>১৯৭৮ এবং ১৯৯১ সালে রোহিঙ্গাদেরকে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মিয়ানমার সরকার বিভিন্ন অপারেশনের নামে আরাকানে এক অমানবিক নির্যাতন চালায়। তবে তাদের এ অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এ অপারেশনে তারা হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে নির্মমভাবে হত্যা করে এবং দুইপর্বে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে তাদের পৈতৃক বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদের মাধ্যমে প্রতিবেশী বাংলাদেশে তাড়িয়ে দেয়। বাংলাদেশ সরকার সীমিত সামর্থ নিয়েই অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে ত্রাণ কার্যক্রমসহ আশ্রায়ন ক্যাম্প তৈরি করে আন্তর্জাতিক সাহায্য-সহযোগিতায় বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবার আপ্রাণ চেষ্টা করে। তথাপিও রোগ-শোক, অনাহার-অর্ধাহারে নাফ নদী পেরিয়ে আসা অসংখ্য লোক প্রাণ হারায়; যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী, শিশু ও বৃদ্ধ। বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া ও কৌশল অবলম্বন করে দ্বি-পক্ষীয় ভিত্তিতে এ সমস্যার সমাধান করেন।</p> <p>জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে কাজ করলেও রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে শধুমাত্র শরণার্থীদের অস্থায়ী পুনর্বাসন, ভরণ-পোষণ তথা শরণার্থী জীবন যাপনে সার্বিক সহযোগিতা করছে কিন্তু নাগরিক অধিকার দেবার ক্ষেত্রে তেমন কোনো ভূমিকা পালন করছে না। তাছাড়া মিয়ানমারের মিলিটারি শাসকরা বিশ্ব মতামতের খুব একটা ধার ধারে বলে মনে হয় না। সে দেশের বিরোধী নেত্রী, নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপ্ত অংসান সুকি দীর্ঘদিন যাবৎ বন্দী অবস্থায় জীবন যাপন করেছেন। তাকে বন্দী রাখার প্রতিবাদে বিশ্বের সর্বত্র তীব্র প্রতিক্রিয়া হলেও State Law And Order Restoration Council (SLORC) তার প্রতি কর্ণপাত না করে তাদের ইচ্ছামত পদ্ধতিতে নামে মাত্র মুক্তির পথ উন্মুক্ত করছে।</p> <p>যেহেতু রোহিঙ্গা সমস্যার প্রেক্ষাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশ। তাই রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য বাংলাদেশকেই উদ্যোগ নিতে হবে। আরাকানি মুসলমানদের সাথে বাংলাদেশের সহস্র বছরের বন্ধন ও ঐতিহ্যকে সামনে রেখে ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, পারিবারিক ও ধর্মীয়সহ বহুমাত্রিক বন্ধনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে দেশের স্বার্থে; মানবতার জন্য বাংলাদেশেরই এগিয়ে আসা উচিৎ। রোহিঙ্গা সমস্যাকে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিশ্বের নিকট গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরতে হবে; এক্ষেত্রে বিশ্বের মুসলিম রাষ্ট্রগুলিকে সমস্যা সমাধানের জন্য উৎসাহিত করে ওআইসিসহ আন্তর্জাতিক মুসলিম সংস্থাগুলো মিলে জাতিসংঘের কাছে এর গুরুত্ব তুলে ধরে চাপ সৃষ্টি করতে হবে। সেইসাথে মিয়ানমার সরকারের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা উচিৎ। ১৯৭১ সালে যদি ভারত সরকার বাংলাদেশের সাহায্যে এগিয়ে না আসতো তবে এদেশবাসীকেও বিপাকে পড়তে হত।</p> <p>মূলত আরাকানে মুসলিম জাতিস্বত্ত্বা বিনাশ করে এককভাবে মগ প্রাধান্য প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়েই রোহিঙ্গাদেরকে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে দেশের বিভন্ন স্থান থেকে মগদের এনে প্রত্যাবাসন করা হয়। এ প্রেক্ষাপটে স্বাধীন আবাসভূমি ছাড়া রোহিঙ্গাদের মুক্তির বিকল্প কোনো পথ খোলা নেই বলে অনেকে মনে করেন।</p> <p>কিন্তু স্বাধীকার আন্দোলনের নিমিত্তে কিছু কিছু সংগঠন কাজ করলেও মিয়ানমার সরকারের রোহিঙ্গানীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার মত সাংগঠনিক ও বৈপ্লবিক শক্তি কোনোটিই তাদের নেই। এমতাবস্থায় মিয়ানমারের নিয়মিত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তিন লক্ষাধিক সেনাসদস্য ও অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রের মুখে তাদের মুক্তি বাহিনী বা রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষে গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করা যেমন কঠিন তার চেয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাওয়া আরো কঠিনতর হয়ে পড়েছে। এ প্রেক্ষিতে অসহনীয় নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্যে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহকে মানবাধিকারের মমত্ববোধ নিয়ে এগিয়ে এসে রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিক সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।</p> <p>মিয়ানমারে ১৯৬২ সাল থেকে চলেছে সামরিক শাসন। সেখানে নেই কোনো গণতন্ত্র। মিয়ানমারের সামরিক শাসকেরা বৌদ্ধ পুরোহিতদের সমর্থনে চালাতে চেয়েছেন দেশকে। উগ্র বৌদ্ধবাদীদের এরা দিয়েছেন আশকারা। যার ফলে বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পেরেছে। এতে মিয়ানমারের হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছেন না। কারণ তাহলে তাদের পড়তে হবে ভারতের আক্রোশে। কিন্তু মুসলমানদের হত্যাসহ বৌদ্ধ ধর্মের জয়গান করে বার্মার সামরিক জান্তা যেন পেতে চাচ্ছে সে দেশের বিরাট জনসমর্থন। মুসলমানেরা সে দেশে হয়ে উঠেছেন বিশেষ ঘৃণাবস্তু। রাজনৈতিক পরিভাষায় ইংরেজিতে যাকে বলে Hate-object এমন ঘৃণাবস্তু সৃষ্টি করে রাজনীতি করার ঘটনা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মোটেও বিরল নয়। বলা হয়, বৌদ্ধ ধর্মের মূল কথা হলো, অহিংসা পরম ধর্ম। কিন্তু ধর্মের নামে বৌদ্ধরা হয়ে উঠছেন যথেষ্ট হিংস্র। বৌদ্ধ ধর্মের মর্মবাণী বৌদ্ধদের হাতে হতে পারছে অস্বীকৃত।</p> <br /> <br /> from প্রবাস – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2g7xRqv<br /> <br /> November 28, 2016 at 01:48AM

বার্মায় চলছে মুসলিম নিধন।

বার্মায় চলছে মুসলিম নিধন। রোহিঙ্গা সমস্যাটা ব্রিটিশদের তৈরী। হিংস্র বুদ্ধরা বাঙালী ও রোহিঙ্গা মুসলমানদের তুচ্ছার্থে কালা নামে ডাকে??! মুহাম্মদ নূরে আলম । লেখক : লন্ডন প্রবাসী সাংবাদিক ও গবেষক । বার্মা…

আরও পড়ুন »

বার্মায় চলছে মুসলিম নিধন।

বার্মায় চলছে মুসলিম নিধন।<br /> <br /> <p>রোহিঙ্গা সমস্যাটা ব্রিটিশদের তৈরী।<br /> হিংস্র বুদ্ধরা বাঙালী ও রোহিঙ্গা মুসলমানদের তুচ্ছার্থে কালা নামে ডাকে??!<img alt="fb_img_1479772881258" class="alignnone size-medium wp-image-45215" height="450" sizes="(max-width: 339px) 100vw, 339px" src="http://ift.tt/2g7B8WT" srcset="http://ift.tt/2g7B8WT 339w, http://ift.tt/2fTN6k3 600w" width="339" /></p> <p>মুহাম্মদ নূরে আলম ।<br /> লেখক : লন্ডন প্রবাসী সাংবাদিক ও গবেষক ।</p> <p>বার্মায় চলছে মুসলিম নিধন, নিজ পৈত্রিক ভূমি থেকে বিতাড়িত বার্মার মুসলমানরা বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের প্রতিহিংসার শিকার। বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের আগ্রসী দমন নীতির ফলে আমার মুসলিম ভাইয়েরা আজ সর্বস্ব হারিয়ে পড়েছে উভয় সংকটে। যাকে বলে জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ। তারা না পারছে থাকতে না পারছে নিজেদের বসত ভিটায় ফিরতে ?? আর না পারছে একজন মানুষ হিসেবে তার মৌলিক অধিকার নিজে বাঁচতে। বার্মার মুসলমানরা গরীব বা অশিক্ষিত ছিল না। তারা শিক্ষা দীক্ষায় ব্যবসা বাণিজ্যে ছিল উন্নত । দেশের সামরিক সরকার আর হিংস্র সন্ত্রাসী বৌদ্ধরা কেড়ে নিয়েছে মুসলমানদের সব কিছুই। আজ পৃথিবীতে সবচেয়ে নির্যাতিত নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর নাম রোহিঙ্গা মুসলিম।</p> <p>দেশটিকে এক সময় আমরা বাংলায় বলতাম ব্রহ্মদেশ। আর ইংরেজিতে বলতাম বার্মা (Burma)। ফারসিতে বলা হতো বারহামা। এই বারহামা নাম থেকেই ইংরেজিতে উদ্ভব হতে পেরেছিল বার্মা নামটি। ‘ম্রনমা’ শব্দটার মানে হলো মানুষ, যাদের আমরা এক সময় বলতাম বর্মি, তারা নিজেদের বলেন ‘ম্রনমা’। মিয়ানমার নামটি এসেছে ম্রনমা নাম থেকে। ১৯৮৯ সালে ১৮ জুন থেকে বার্মার সরকারি নাম রাখা হয়েছে মিয়ানমার। ম্রনমা ভাষায় ‘র’-এর উচ্চারণ করা হয় না। যদিও তা লেখা হয়। তাই ম্রনমা ভাষায় দেশটির নাম দাঁড়ায় উচ্চারণগতভাবে মিয়ানমা।<br /> রোহিঙ্গাদের সমস্যাটা ব্রিটিশরা তৈরী করে যায়, পরিকল্পনা করে ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদেরকে মানচিত্রের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন করে যায়। যাতে দক্ষিণ এশিয়ায় মুসলমানরা শক্তিশালী না হতে পারে। তাই কৌশলে কাশ্মীর সমস্যা,পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম এলাকা ভারতের ভিতরে রেখে দেয়ার মাধ্যমে সমস্যা, সিটমহল সমস্যা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ওয়াদা করেও আরাকানকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা না করে, না বাংলাদেশ না বার্মা মাঝখানে রেখে যাওয়ার সমস্যা, অনির্ধারিত সীমান্ত রেখে যাওয়ার সমস্যা, এইরকম অসংখ্য সমস্যার মূলে ব্রিটিশরা।</p> <p>জাতিতে জাতিতে বিভাজন ইংরেজরা তৈরী করে গেছে। আর ঐক্যবদ্ধ মুসলমানদেরকে করে গেছে বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন। ওয়াদা অনুযায়ী স্বাধীনতা তো দেয়নি বরং বার্মার নৃ গোষ্ঠীর তালিকা তৈরী করার সময়ে ইংরেজরা ১৩৯ জনগোষ্ঠীর তালিকা থেকে আরাকানের ( রোহিঙ্গা) মুসলমানদের বাদ দেয়?! আর এতে সুযোগ পেয়ে যায় অতি হিংস্র বর্ণবাদী বুদ্ধরা বাঙালী ও রোহিঙ্গা মুসলমানদের তুচ্ছার্থে ঘৃণা বরে কালা নামে ডাকে। আশা করি এবার বুঝতে পেরেছেন এই বুদ্ধরা কতো হিংস্র নরপশু।</p> <p>ইতিহাস এটা জানায় যে, ১৪৩০ থেকে ১৭৮৪ সাল পর্যন্ত ২২ হাজার বর্গমাইল আয়তনের রোহিঙ্গা স্বাধীন রাজ্য ছিল। মিয়ানমারের রাজা বোদাওফায়া এ রাজ্য দখল করার পর বৌদ্ধ আধিপত্য শুরু হয়।এক সময়ে ব্রিটিশদের দখলে আসে এ ভূখণ্ড। তখন বড় ধরনের ভুল করে তারা এবং এটা ইচ্ছাকৃত কিনা, সে প্রশ্ন জ্বলন্ত। আমাদের ‘প্রাক্তন ব্রিটিশ শাসকরা’ মিয়ানমারের ১৩৯টি জাতিগোষ্ঠীর তালিকা প্রস্তুত করে। কিন্তু তার মধ্যে রোহিঙ্গাদের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এ ধরনের কত যে গোলমাল করে গেছে ব্রিটিশরা তার হিসেবে নেই !</p> <p>১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি মিয়ানমার স্বাধীনতা অর্জন করে এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু হয়। সে সময়ে পার্লামেন্টে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। এ জনগোষ্ঠীর কয়েকজন পদস্থ সরকারি দায়িত্বও পালন করেন। কিন্তু ১৯৬২ সালে জেনারেল নে উইন সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করলে মিয়ানমারের যাত্রাপথ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হতে শুরু করে। রোহিঙ্গাদের জন্য শুরু হয় দুর্ভোগের নতুন অধ্যায়। সামরিক জান্তা তাদের বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করে। তাদের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়।</p> <p>ধর্মীয়ভাবেও অত্যাচার করা হতে থাকে। নামাজ আদায়ে বাধা দেওয়া হয়। হত্যা-ধর্ষণ হয়ে পড়ে নিয়মিত ঘটনা। সম্পত্তি জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়। বাধ্যতামূলক শ্রমে নিয়োজিত করা হতে থাকে। তাদের শিক্ষা-স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নেই। বিয়ে করার অনুমতি নেই। সন্তান হলে নিবন্ধন নেই। জাতিগত পরিচয় প্রকাশ করতে দেওয়া হয় না। সংখ্যা যাতে না বাড়ে, সে জন্য আরোপিত হয় একের পর এক বিধিনিষেধ। মিয়ানমারের মূল ভূখণ্ডের অনেকের কাছেই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ‘কালা’ নামে পরিচিত। বাঙালিদেরও তারা ‘কালা’ বলে। ভারতীয়দেরও একই পরিচিতি। এ পরিচয়ে প্রকাশ পায় সীমাহীন ঘৃণা।</p> <p>মুসলিম বসতি :<br /> আরাকান এখন মিয়ানমারের অংশ। কিন্তু আরাকান (যাকে এখন বলা হচ্ছে রাখাইন প্রদেশ) তা ছিল গৌড়ের সুলতানদের সামন্তরাজ্য। আরাকানের এক রাজা (মেং সোআম্উন) পালিয়ে আসেন গৌড়ে। কারণ দক্ষিণ বার্মার এক রাজা দখল করেন তার রাজত্ব। গৌড়ের সুলতান জালাল-উদ্দীন মুহম্মদ শাহ তাকে তার রাজ্য পুনরুদ্ধারের জন্য সৈন্যসামন্ত দিয়ে সাহায্য করেন। এবং তিনি তার রাজত্ব পুনরুদ্ধার করতে পারেন গৌড়ের প্রদত্ত সৈন্যসামন্ত দিয়ে, যাদের বলা হচ্ছে রোহিঙ্গা মুসলমান, তারা প্রধানত হলেন এদের বংশধর। আরাকানের রাজা গৌড় থেকে যাওয়া মুসলমান সৈন্যসামন্তকে তার রাজ্যের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য রেখে দেন আরাকানে। আরাকানের রাজা নতুন রাজধানী স্থাপন করেন, যার নাম দেন রোহং। রোহংকে বাংলায় বলা হতে থাকে রোসঙ্গ নগর। এক সময় গোটা আরাকানকেই বাংলায় বলা হতো রোসাঙ্গ দেশ। আরাকানের সব মুসলমানই অবশ্য রোহিঙ্গা নন। যদিও আরাকানবাসী মুসলমানেরা সাধারণভাবে এখনো রোহিঙ্গা নামেই পরিচিত। কিন্তু পুরো উত্তর আরাকানে এক সময় চলেছে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা। আরাকানের উত্তরাঞ্চলে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে বহু মুসলমান গিয়ে উপনিবিষ্ট হয়েছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আরাকানসহ পুরো বার্মা চলে যায় জাপানের দখলে।</p> <p>দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে আরাকানে মুসলমানদের সমর্থন পাওয়ার জন্য ব্রিটেন বলে, আরাকান আবার তারা ফিরে পেলে উত্তর আরাকানকে পৃথক করে গড়া হবে একটি পৃথক প্রদেশ। এবং স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করবে। কিন্তু ইংরেজরা ওয়াদা ভঙ্গ করে।<br /> আরাকানে মুসলমানদের বসতি হাজার বছরেরও বেশি পুরনো, তার পেছনে দলিল রয়েছে। সে দলিল রয়েছে খোদ মিয়ানমারে। সেখানে মুসলমান বসতির সূত্রপাত প্রসঙ্গে বিশিষ্ট ঐতিহাসিক ড. মুহাম্মদ এনামুল হক আরাকানের জাতীয় ইতিহাসবিষয়ক গ্রন্থ ‘রাজোয়াং’ থেকে নিম্নোক্ত বিবরণটি উদ্ধৃত করেছেন : “খ্রিষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীর শেষ পাদে যখন আরাকান রাজ মহতৈং চন্দয় (গধযধঃড়রহম ঞংধহফুধ- ৭৮৮-৮১০ অ.উ.) রাজত্ব করছিলেন, তখন কতকগুলো মুসলমান বণিক জাহাজ ভাঙিয়া যাওয়ার ফলে আরাকানের দক্ষিণ দিকস্থ ‘রনবী’ (আধুনিক রামরী) দ্বীপে উঠিয়া পড়েন। তাঁহারা আরাকানীগণ কর্তৃক ধৃত হইয়া রাজার সম্মুখে নীত হয়েছিলেন। রাজা তাঁহাদের দুরবস্থা দেখিয়া দয়াপরবশ হইয়া তাঁহাদিগকে স্বীয় রাজ্যে গ্রামে গিয়া বসবাস করিতে আদেশ দিয়াছিলেন।” ড. এনামুল হক মনে করেন যে, “রাজোয়াংএ উল্লিখিত এ সব মুসলমান বণিক আরব দেশীয় ছিলেন এবং চাটগাঁ থেকে উপকূল বেয়ে দক্ষিণ মুখে যাবার পথে, কিংবা দক্ষিণ উপকূল হয়ে উত্তরে চাটগাঁর দিকে এগুবার সময়ই ঝঞ্ঝাতাড়িত হয়ে সম্ভবত তারা রামরী দ্বীপে গিয়ে আশ্র্য় নিয়েছিলেন।” সুপ্রাচীন আরবীয় ঐতিহ্য অনুসারে একই সাথে জীবিকা অর্জন ও ধর্ম প্রচারের সুমহান চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মুসলমানেরা দলে দলে নৌ ও স্থলপথে এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। এরই অংশ হিসেবে খ্রিষ্টীয় নবম শতাব্দীর প্রারম্ভে বার্মায় মুসলিম উপনিবেশ গড়ে ওঠে। জীবন-জীবিকার অনিবার্য প্রয়োজনে স্থানীয় মহিলাদেরকে বিবাহ-শাদি করে তারা সেখানে ধনে-জনে বর্ধিত হতে থাকে।</p> <p>মিয়ানমারে মুসলমানদের ওপর ভয়াবহ হামলার কথা নিয়ে প্রচ্ছদ কাহিনী লেখা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক Time পত্রিকায় (১ জুলাই ২০১৩ সংখ্যায়)। টাইম পত্রিকা মুসলিমদের দিয়ে কোনোভাবেই প্রভাবিত নয়। তার প্রতিবেদনকে তাই গ্রহণ করতে হয় যথেষ্ট বস্তুনিষ্ঠ হিসেবে। শুধুমাত্র টাইম ম্যাগাজিন নয় বার্মার মুসলমানদের উপরে গণহত্যার চিত্র আল জাজিরাসহ সব মিডিয়া প্রচারিত হয়েছে এবং হচ্ছে।</p> <p>মিয়ানমার (বার্মায়) রোহিঙ্গা মুসলিম নিধনের ব্যাপারটিও রুয়ান্ডারই অনুরূপ এর একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে মুসলমানদের খতম করা। মুসলিম গণহত্যা দ্বারা মানুষরূপী এসব শয়তানের এজেন্টদের বাড়তি উদ্দেশ্য হলো, একদিকে মানুষের বংশ নিধন অপরদিকে আল্লাহর আনুগত্যকারীদের সংখ্যা হ্রাস করে শয়তানদের অধিক সন্তুষ্টি অর্জন করা।</p> <p>বিশেষ করে বার্মার রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যার প্রতি তাকালে যেসব প্রশ্ন জাগে তন্মধ্যে প্রথম প্রশ্ন হলো এই যে- বার্মার সামরিক এক নায়কত্বের ভেতর থেকে যেই গণতন্ত্র মাথা তুলে দাঁড়ালো সেখানে এই গণহত্যা সত্ত্বেও শান্তির নোবেল প্রাপ্ত বর্মী বিরোধী নেতৃত্বে কোনোরূপ প্রতিক্রিয়া নেই কেন? সারা দুনিয়ায় এই বেদনাদায়ক গণহত্যার বিষয়টিকে কেন ব্লেক আউট করে রেখেছে? মুসলিম বিশ্বের মিডিয়াগুলোর চোখ এ ব্যাপারে কেন বন্ধ হয়ে আছে? কোনো পক্ষ থেকেই ইসলাম দুনিয়ার চোখ খোলার কোনো প্রকার চেষ্টা হচ্ছে না। এ ঘটনাতো শুধু এটিই প্রথম নয়- এর আগে থেকেই রোহিঙ্গা মুসলিম নিধন ও নিপীড়নের কাজ চলে আসছে।</p> <p>বর্মী সামরিক সরকার কি এতই শক্তিশালী যে, তারা আন্তর্জাতিক নিয়ম-রীতি লঙ্ঘন করে মনে যা চাইবে তাই করতে থাকবে, কিন্তু জিজ্ঞাসা হলো, সকলের মধ্যে এই নীরবতা কেন? বিভিন্ন সরকারের চাপ ইসলামী সম্মেলন সংস্থা, সার্ক সম্মেলন এ জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সকল ফোরাম থেকে নানানভাবে কার্যকর প্রেসার আসা কর্তব্য। অন্যথায় মানবতাবিরোধী গণহত্যায় সকলের এই নীরবতার ফলে মানুষ নামের দানবদের কর্মকান্ডের পরিণতি এক সময় অন্যদেরও ভোগ করতে হবে।</p> <p>মুসলিম বিশ্ব ইসলামী সম্মেলন সংস্থা এবং গণতন্ত্র প্রিয় দুনিয়াবাসী থেকে অনেক কিছু আশা করেছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে দিনের দিন যেন সব আশা ভরসা নস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে। মানবসভ্যতা পশ্চাৎমুখী হতে চলেছে। মানবতাকে এই অন্যায় ও দুরবস্থার হাত থেকে রক্ষা করতে হলে জাতিসংঘ সনদকে কার্যকর করার জন্য বিশ্বের বিবেকবান মানুষদের অবশ্যই সক্রিয় হয়ে উঠতে হবে। অন্যথায়, বিশ্ব আবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বাবস্থার মতো অমানবিকতা ও বর্বরতার দিকে ধাবিত হওয়া অসম্ভব কিছু নয়।</p> <p>জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের নামে আবারো মানবতা ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে আরাকানে। স্থানীয় মগজনগোষ্ঠী এবং প্রশাসনের প্রকাশ্য সহায়তায় আরাকানের মংডু এবং আকিয়াব এলাকায় চলছে নির্বিচারে গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ এবং লুটতরাজ। রোহিঙ্গাদের হাজার হাজার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে বিরাণভূমিতে পরিণত করছে গ্রামের পর গ্রাম। রোহিঙ্গা যুবতি নারীদের অপহরণ করা হচ্ছে নির্দ্বিধায়। ইতোমধ্যে প্রায় পাঁচ হাজারের অধিক যুবতি নারীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। খাল, বিল এবং জঙ্গলাকীর্ণ এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে মহিলাদের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ধর্ষণ শেষে নির্মমভাবে তাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে। মুসলমানদেরকে হত্যা করে তাদের দাড়ি গোঁফ মুড়িয়ে গেরুয়া পোশাক পরিয়ে বৌদ্ধলাশ সাজিয়ে মিডিয়ার সামনে মুসলমানদেরকেই দাঙ্গা সৃষ্টিকারী এবং ঘাতক হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।</p> <p>মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে সেখানে। মানবিক বিপর্যয়ের এক জলন্ত জাহান্নামে পরিণত হয়েছে রোহিঙ্গাদের বসতভিটে। এমন নির্মমতায় প্রাণ হারাচ্ছে অসহায় নারী শিশু ও বৃদ্ধসহ সেখানকার খেটে খাওয়া অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত সমগ্র রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠী। সর্বস্ব হারিয়ে নিজেদের প্রাণটুকু বাঁচানোর তাগিদে তারা পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছে পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে। কিন্তু বাংলাদেশ তাদেরকে আশ্রয় দিতে সক্ষম কিনা কিংবা আশ্রয় দিলেই এ সমস্যার সমাধান হবে কি না এসব বিতর্কের কারণে বাংলাদেশ সরকারও ভীষণভাবে কঠোরতা অবলস্বন করে তাদেরকে আশ্রয়ের কোনো সুযোগ দিচ্ছে না। বরং আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের দৃঢ়চেতা বক্তব্যে জাতি আশাহত হয়েছে। এমনকি যারা মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিল, নদীর অথৈ জলে অসহায় মানুষদের খাবার পানীয় সরবরাহ করছিল তাদের দিকে জাতিগত দাঙ্গার মদতদাতার অভিযোগ তুলে বিবেকবান মানুষকে হতবাক করেছে।</p> <p>নির্যাতিত নিষ্পেষিত অসহায় রোহিঙ্গাদের জন্য কিছু করা তো দূরের কথা বরং যারা কিছু করার চেষ্টা করছেন তাদের দিকেও অযাচিত ও অনাকাক্সিক্ষত সন্দেহের আঙ্গুল উচ্চকিত করা হচ্ছে। ফলে আহত ও নির্যাতিত অসহায় মানুষগুলোকে অবর্ণনীয় কষ্টের মাধ্যমে নদী আর সাগর জলেই মৃত্যুমুখে গমন করতে হচ্ছে।</p> <p>বিশ্বায়ন, তথ্যপ্রযুক্তি ও মানবিক উৎকর্ষতার এ উন্নত যুগে সকলের চোখের সামনে এমন মানবিক বিপর্যয় ঘটে যাচ্ছে নির্বিঘে। কেউ যেন নেই দেখবার, সাহায্যের হাত বাড়াবার কিংবা ন্যূনতম সহানুভূতি প্রকাশ করবার। চোখের সামনে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে রাখাইন রাজ্য নামে পরিচিত আরাকানরাজ্যের ঐতিহ্যবাহী একটি মুসলিম জনগোষ্ঠী। অথচ তারা আরাকানেরই মূল জনগোষ্ঠী, জন্মগতভাবেই আরাকানের নাগরিক, তাদের হাতেই পরিপুষ্টি অর্জন করেছে আরাকানের ইতিহাস ঐতিহ্য। শুধুমাত্র মুসলিম হবার অপরাধেই তাদের উপর চলছে এ অমানবিক নির্যাতন।</p> <p>অথচ রোহিঙ্গারাই আরাকানের প্রথম বসতি স্থাপনকারী মূল ধারার সুন্নী আরব মুসলমান। আরাকান রাজ্যের মুসলিম সংস্কৃতি ও ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হিসেবে রোহিঙ্গাদের ভূমিকাই ছিল প্রধান। কিন্তু মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের নৃতাত্বিক অস্তিত্বকে অস্বীকার করার মধ্য দিয়ে আরাকান অঞ্চল থেকে মুসলিম সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যকে স্মৃতিপট থেকে মুছে ফেলতে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।</p> <p>ফলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বর্তমানে নিজ দেশে নাগরিকত্বহীন অবস্থায় পরবাসী হয়ে জীবন যাপন করছে। অথচ রোহিঙ্গাদের কেউ হাজার বছর, কেউ পাঁচ শতাধিক বছর আর কেউবা কয়েকশত বছর ধরে সেখানে বসবাস করছে। মূলত বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে বিশেষত ব্রিটিশ বিদায়ের শেষপর্বে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের বিষয়ে অমীমাংসিত ও প্রশ্নবোধক অধ্যায়ের সূচনা হয়; যার ফলে অদ্যাবধি রোহিঙ্গাদেরকে আরাকানের অভিবাসী আশ্রিত মানুষ হিসেবে জীবন যাপন করতে হচ্ছে এবং বারবার তাদেরকে স্বদেশভূমির ভিটেমাটি ত্যাগ করে বাংলাদেশে শরণার্থীর জীবন বেছে নিতে হয়েছে।</p> <p>রোহিঙ্গা সঙ্কটের প্রেক্ষাপট:<br /> আরাকান এককালে স্বাধীন রাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত থাকলেও অধুনাকালে মিয়ানমারের একটি প্রদেশ। অনুরূপভাবে রোহিঙ্গারাও এক সময় স্বাধীন আরাকানের অমাত্যসভা থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থেকে নিজেদের প্রাধান্য বজায় রাখলেও বর্তমানে তারা আরাকানের সবচেয়ে নিগৃহীত জাতিগোষ্ঠী। ১৭৮৪ সালে বর্মীরাজ বোধপায়া কর্তৃক আরাকান দখলের মধ্যদিয়েই মূলত রোহিঙ্গাদের নিগৃহীত জীবনের সূচনা হয়। অতঃপর ব্রিটিশ শাসনের সমাপ্তিলগ্নে ব্রিটিশ কূটকৌশলের ফলে তাদের জীবনে দ্বিতীয়বারের মত অনিশ্চয়তা নেমে আসে। স্বাধীনতা-উত্তর বার্মায় ১৯৬২ সালে সামরিক জান্তা নে উইন কর্তৃক ক্ষমতা দখলের পর হতে রোহিঙ্গারা ক্রমশ নাগরিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত হতে থাকে। অবশেষে ১৯৮২ সালে প্রণীত নাগরিকত্ব আইনের নামে তাদেরকে বহিরাগত হিসেবে চিহ্নিত করে কল্লা বা বিদেশী আখ্যা দিয়ে দেশ থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে। রোহিঙ্গারা জন্মসূত্রে আরাকানের নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও তাদের জীবনে এ দুর্ভোগের পিছনে নিম্নোক্ত কারণ উল্লেখ করা যায় –</p> <p>প্রথমত, রোহিঙ্গারা দীর্ঘ হাজার বছরের পথ পরিক্রমায় আরাকানের অমাত্যসভাসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে সমাসীন থাকলেও তারা নেতৃত্বের ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র কোনো ধারা সৃষ্টি করতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে বর্মীরাজ বোধপায়া কর্তৃক ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে আরাকান দখলের পর আরাকানের সর্বময় ক্ষমতা বর্মীদের হাতে চলে যায়। তারা পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গাসহ আরাকানি নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদেরকে হত্যা করে। অবশিষ্টদের অনেকেই প্রাণ ভয়ে বাংলায় পালিয়ে আসে এবং ১৮২৬ সালে প্রথম ইঙ্গ-বর্মী যুদ্ধের মাধ্যমে আরাকান দখল পর্যন্ত এ দীর্ঘ সময়ে দেশের বাইরে অবস্থান করে। এ সময়ে সিন পিয়ানসহ অনেক আরাকানি নেতা স্বদেশ পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম পরিচালনা করলেও বিভিন্ন কারণে তারা ব্যর্থ হয়। ফলে বাংলায় আশ্রিত রোহিঙ্গাসহ আরাকানে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা নেতৃত্বের দিক থেকে আরো পিছিয়ে পড়ে।</p> <p>দ্বিতীয়ত, ১৮২৬ সালে আরাকানে ব্রিটিশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হলে তারা রোহিঙ্গাদেরকে বাহ্যিক কিছু সুযোগ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতার ভিত্তি মজবুত করে। শাসকগোষ্ঠী নিজেদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রয়োজনেই আরাকানের প্রশাসনের বিভিন্ন ক্ষেত্র ছাড়াও কৃষি, ব্যবসায় প্রভৃতি কাজের জন্য বাংলায় আশ্রিত রোহিঙ্গাসহ আরাকানিদেরকে স্বদেশে বসবাসের সুযোগ প্রদান করে। এ সময় রোহিঙ্গাদের নেতৃস্থানীয় শিক্ষিত শ্রেণীর অনেকেই আরাকানে ফিরে না গিয়ে বাংলার কক্সবাজার ও বান্দরবান অঞ্চলে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে।</p> <p>মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণীসহ কিছু সংখ্যক নেতৃস্থানীয় রোহিঙ্গা স্বদেশে ফিরে গেলেও নেতেৃত্বের ক্ষেত্রে নতুন করে কোনো অবস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়নি। পক্ষান্তরে ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানরা ব্রিটিশের কর্তৃত্বকে সহজে মেনে না নেবার কারণে বরাবরই তারা মুসলমানদেরকে শক্র মনে করতো। ফলে বার্মায় পুরোপুরিভাবে ব্রিটিশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবার পর রোহিঙ্গারা যাতে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে না পারে সেজন্য তাদেরকে রাষ্ট্রের বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত না করে স্থানীয় মগদের প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এমনকি ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ বার্মাকে স্বাধীনতা প্রদানের পূর্বে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব বিষয়ে মগদের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করে। স্বাধীনতা উত্তর মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন বর্মী ও স্থানীয় মগরা সে ইস্যুকে ক্রমশ শক্তিশালী করে তোলে; যার সর্বশেষ পরিণতি হিসেবে রোহিঙ্গারা কল্লা বা ভিনদেশী চিহ্নিত হয়ে স্বদেশ থেকে বিতাড়িত হয়।</p> <p>ব্রিটিশ শাসিত বার্মাকে মুক্ত করার আন্দোলনে রোহিঙ্গারা স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা অং সানকে সমর্থন দিয়ে বার্মাকে ব্রিটিশ শাসন মুক্ত করলেও তারা তাদের অধিকার ফিরে পায়নি। স্বাধীনতাউত্তর বার্মার শাসক গোষ্ঠী বিভিন্ন অজুহাতে তাদেরকে মিয়ানমার বা আরাকানের নাগরিক হিসেবে গ্রহণ না করে শুধুমাত্র আরাকানের বাসিন্দা হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকে।</p> <p>রোহিঙ্গারা আরাকানের স্বাধিকার আন্দোলন শুরু করলে রাজনৈতিক কৌশলে তাদের এ পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। অতঃপর তাদের উপর চালানো হয় ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যা। এ প্রেক্ষাপটে ১৯৭৮-৭৯ সালে প্রায় তিন লক্ষ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বালাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে। আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের চাপ ও বাংলাদেশের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কূটনৈতিক তৎপরতায় বিষয়টির বাহ্যিক সমাধান নিশ্চিত হয়। তাই রোহিঙ্গাদের নিঃশেষ করে দেবার জন্য কৌশল অবলম্বন করে ১৯৮২ সালে বিতর্কিত বর্ণবাদী নাগরিকত্ব আইন ঘোষণা করেন।</p> <p>এ আইনে নাগরিকদের Citizen, Associate এবং Naturalized শ্রেণীতে ভাগ করে ১৮২৩ সালের পরে আগত বলে Associate কিংবা ১৯৮২ সালে নতুনভাবে দরখাস্ত করে Naturalized Citizen ঘোষণা করার ব্যবস্থা করে। উক্ত আইনের ৪নং প্রভিশনে আরো শর্ত দেয়া হয়, কোনো জাতিগোষ্ঠী রাষ্ট্রের নাগরিক কিনা তা নির্ধারণ করবে আইন-আদালত নয়; সরকারের নীতি-নির্ধারণী সংস্থা Council of State. এ আইনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ভাসমান নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। রোহিঙ্গাদের কাছে কালো আইন হিসেবে বিবেচিত এ আইন তাদের সহায়-সম্পত্তি অর্জন, ব্যবসায়-বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা সার্ভিসে যোগদান, নির্বাচনে অংশ গ্রহণ কিংবা সভা-সমিতির অধিকারসহ সার্বিক নাগরিক অধিকার কেড়ে নেয়। বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকাসহ প্রচার মাধ্যমগুলো তাদেরকে সেখানকার স্থায়ী নাগরিক হিসেবে সম্বোধন করে।</p> <p>১৯৭৮ এবং ১৯৯১ সালে রোহিঙ্গাদেরকে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মিয়ানমার সরকার বিভিন্ন অপারেশনের নামে আরাকানে এক অমানবিক নির্যাতন চালায়। তবে তাদের এ অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এ অপারেশনে তারা হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে নির্মমভাবে হত্যা করে এবং দুইপর্বে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে তাদের পৈতৃক বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদের মাধ্যমে প্রতিবেশী বাংলাদেশে তাড়িয়ে দেয়। বাংলাদেশ সরকার সীমিত সামর্থ নিয়েই অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে ত্রাণ কার্যক্রমসহ আশ্রায়ন ক্যাম্প তৈরি করে আন্তর্জাতিক সাহায্য-সহযোগিতায় বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবার আপ্রাণ চেষ্টা করে। তথাপিও রোগ-শোক, অনাহার-অর্ধাহারে নাফ নদী পেরিয়ে আসা অসংখ্য লোক প্রাণ হারায়; যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী, শিশু ও বৃদ্ধ। বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া ও কৌশল অবলম্বন করে দ্বি-পক্ষীয় ভিত্তিতে এ সমস্যার সমাধান করেন।</p> <p>জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে কাজ করলেও রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে শধুমাত্র শরণার্থীদের অস্থায়ী পুনর্বাসন, ভরণ-পোষণ তথা শরণার্থী জীবন যাপনে সার্বিক সহযোগিতা করছে কিন্তু নাগরিক অধিকার দেবার ক্ষেত্রে তেমন কোনো ভূমিকা পালন করছে না। তাছাড়া মিয়ানমারের মিলিটারি শাসকরা বিশ্ব মতামতের খুব একটা ধার ধারে বলে মনে হয় না। সে দেশের বিরোধী নেত্রী, নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপ্ত অংসান সুকি দীর্ঘদিন যাবৎ বন্দী অবস্থায় জীবন যাপন করেছেন। তাকে বন্দী রাখার প্রতিবাদে বিশ্বের সর্বত্র তীব্র প্রতিক্রিয়া হলেও State Law And Order Restoration Council (SLORC) তার প্রতি কর্ণপাত না করে তাদের ইচ্ছামত পদ্ধতিতে নামে মাত্র মুক্তির পথ উন্মুক্ত করছে।</p> <p>যেহেতু রোহিঙ্গা সমস্যার প্রেক্ষাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশ। তাই রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য বাংলাদেশকেই উদ্যোগ নিতে হবে। আরাকানি মুসলমানদের সাথে বাংলাদেশের সহস্র বছরের বন্ধন ও ঐতিহ্যকে সামনে রেখে ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, পারিবারিক ও ধর্মীয়সহ বহুমাত্রিক বন্ধনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে দেশের স্বার্থে; মানবতার জন্য বাংলাদেশেরই এগিয়ে আসা উচিৎ। রোহিঙ্গা সমস্যাকে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিশ্বের নিকট গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরতে হবে; এক্ষেত্রে বিশ্বের মুসলিম রাষ্ট্রগুলিকে সমস্যা সমাধানের জন্য উৎসাহিত করে ওআইসিসহ আন্তর্জাতিক মুসলিম সংস্থাগুলো মিলে জাতিসংঘের কাছে এর গুরুত্ব তুলে ধরে চাপ সৃষ্টি করতে হবে। সেইসাথে মিয়ানমার সরকারের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা উচিৎ। ১৯৭১ সালে যদি ভারত সরকার বাংলাদেশের সাহায্যে এগিয়ে না আসতো তবে এদেশবাসীকেও বিপাকে পড়তে হত।</p> <p>মূলত আরাকানে মুসলিম জাতিস্বত্ত্বা বিনাশ করে এককভাবে মগ প্রাধান্য প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়েই রোহিঙ্গাদেরকে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে দেশের বিভন্ন স্থান থেকে মগদের এনে প্রত্যাবাসন করা হয়। এ প্রেক্ষাপটে স্বাধীন আবাসভূমি ছাড়া রোহিঙ্গাদের মুক্তির বিকল্প কোনো পথ খোলা নেই বলে অনেকে মনে করেন।</p> <p>কিন্তু স্বাধীকার আন্দোলনের নিমিত্তে কিছু কিছু সংগঠন কাজ করলেও মিয়ানমার সরকারের রোহিঙ্গানীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার মত সাংগঠনিক ও বৈপ্লবিক শক্তি কোনোটিই তাদের নেই। এমতাবস্থায় মিয়ানমারের নিয়মিত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তিন লক্ষাধিক সেনাসদস্য ও অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রের মুখে তাদের মুক্তি বাহিনী বা রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষে গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করা যেমন কঠিন তার চেয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাওয়া আরো কঠিনতর হয়ে পড়েছে। এ প্রেক্ষিতে অসহনীয় নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্যে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহকে মানবাধিকারের মমত্ববোধ নিয়ে এগিয়ে এসে রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিক সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।</p> <p>মিয়ানমারে ১৯৬২ সাল থেকে চলেছে সামরিক শাসন। সেখানে নেই কোনো গণতন্ত্র। মিয়ানমারের সামরিক শাসকেরা বৌদ্ধ পুরোহিতদের সমর্থনে চালাতে চেয়েছেন দেশকে। উগ্র বৌদ্ধবাদীদের এরা দিয়েছেন আশকারা। যার ফলে বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পেরেছে। এতে মিয়ানমারের হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছেন না। কারণ তাহলে তাদের পড়তে হবে ভারতের আক্রোশে। কিন্তু মুসলমানদের হত্যাসহ বৌদ্ধ ধর্মের জয়গান করে বার্মার সামরিক জান্তা যেন পেতে চাচ্ছে সে দেশের বিরাট জনসমর্থন। মুসলমানেরা সে দেশে হয়ে উঠেছেন বিশেষ ঘৃণাবস্তু। রাজনৈতিক পরিভাষায় ইংরেজিতে যাকে বলে Hate-object এমন ঘৃণাবস্তু সৃষ্টি করে রাজনীতি করার ঘটনা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মোটেও বিরল নয়। বলা হয়, বৌদ্ধ ধর্মের মূল কথা হলো, অহিংসা পরম ধর্ম। কিন্তু ধর্মের নামে বৌদ্ধরা হয়ে উঠছেন যথেষ্ট হিংস্র। বৌদ্ধ ধর্মের মর্মবাণী বৌদ্ধদের হাতে হতে পারছে অস্বীকৃত।</p> <br /> <br /> from প্রবাস – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2g7xRqv<br /> <br /> November 28, 2016 at 01:48AM

বার্মায় চলছে মুসলিম নিধন।

বার্মায় চলছে মুসলিম নিধন। রোহিঙ্গা সমস্যাটা ব্রিটিশদের তৈরী। হিংস্র বুদ্ধরা বাঙালী ও রোহিঙ্গা মুসলমানদের তুচ্ছার্থে কালা নামে ডাকে??! মুহাম্মদ নূরে আলম । লেখক : লন্ডন প্রবাসী সাংবাদিক ও গবেষক । বার্মা…

আরও পড়ুন »

৬ মাসে নিষ্পত্তি না হলে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ

৬ মাসে নিষ্পত্তি না হলে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ<br /> <br /> <p style="text-align: justify;"><span style="font-size: 10pt;"><strong>নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা</strong></span><br /> <strong><span style="font-size: 12pt;">৬ মাসে নিষ্পত্তি না হলে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ</span></strong></p> <p style="text-align: justify;"></p> <p style="text-align: justify;"><span style="font-size: 12pt;"><img alt="৬ মাসে নিষ্পত্তি না হলে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ" height="61" src="http://ift.tt/2g7yY9x" style="max-width: 100%; float: left;" title="৬ মাসে নিষ্পত্তি না হলে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ" width="100" />নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির বিধান রয়েছে। তবে এ সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি না হলে কেন হয়নি তার কারণ উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারককে এক মাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টে প্রেরণের বিধান রয়েছে।</span></p> <br /> <br /> from প্রচ্ছদ http://ift.tt/2fTDPIB<br /> <br /> November 28, 2016 at 01:06AM

৬ মাসে নিষ্পত্তি না হলে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ

৬ মাসে নিষ্পত্তি না হলে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা ৬ মাসে নিষ্পত্তি না হলে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির বিধান রয়েছে। ত…

আরও পড়ুন »

চলচ্চিত্র নির্ভর গেম ‘ডিটেক্টিভ’

<div><a href='http://ift.tt/2gMxFhl%E2%80%99'><img alt="চলচ্চিত্র নির্ভর গেম ‘ডিটেক্টিভ’" height="133" src="//cdn.bn.ntvbd.com/site/photo-1480261484" title="porimoni" width="200" /></a><span>নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র অবলম্বনে নতুন একটি মোবাইল গেম ডিটেক্টিভ দ্য গেম। জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত ডিটেক্টিভ ছবিটি অবলম্বনে গেমটি তৈরি করা হয়েছে। গেমটির মূল চরিত্র একজন গোয়েন্দা। গেমটিতে গেমারকে সেই গোয়েন্দার চরিত্রে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের বাধা অতিক্রম করে রহস্যের সমাধান করতে হবে। কয়েন সংগ্রহ করার মাধ্যমে অধিক পরিমাণ পয়েন্ট অর্জন ...<a class='more_link' href='http://ift.tt/2gMxFhl%E2%80%99'>বিস্তারিত</a></span></div> <br /> <br /> <br /> <br /> from NTV Online : NTV RSS Feed http://ift.tt/2gMxFhl’<br /> November 27, 2016 at 09:36PM

চলচ্চিত্র নির্ভর গেম ‘ডিটেক্টিভ’

নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র অবলম্বনে নতুন একটি মোবাইল গেম ডিটেক্টিভ দ্য গেম। জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত ডিটেক্টিভ ছবিটি অবলম্বনে গেমটি তৈরি করা হয়েছে। গেমটির মূল চরিত্র একজন গোয়েন্দা। গেমটিতে গেমারকে সেই গ…

আরও পড়ুন »

বাম-বন্‌ধ ব্যর্থ করতে তত্‍‌পর রাজ্য সরকার

বাম-বন্‌ধ ব্যর্থ করতে তত্‍‌পর রাজ্য সরকার<br /> <br /> <img src="http://ift.tt/2gvEeEy" />মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, সরকারি অফিসে কাজে যোগ না দিলে কাটা যাবে বেতন।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, সরকারি অফিসে কাজে যোগ না দিলে কাটা যাবে বেতন।<br /> <br /> from City News: Latest News Kolkata | Breaking News Calcutta | শহরের খবর, কলকাতার সাম্প্রতিক খবর, ক্যালকাটার ব্রেকিং নিউজ http://ift.tt/2fBNjHq<br /> <br /> November 27, 2016 at 11:00PM

বাম-বন্‌ধ ব্যর্থ করতে তত্‍‌পর রাজ্য সরকার

বাম-বন্‌ধ ব্যর্থ করতে তত্‍‌পর রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, সরকারি অফিসে কাজে যোগ না দিলে কাটা যাবে বেতন।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছেন,…

আরও পড়ুন »

স্থায়ী নয়, এক বছরের জন্য চুক্তিতে নিয়োগ রাজ্যে

স্থায়ী নয়, এক বছরের জন্য চুক্তিতে নিয়োগ রাজ্যে<br /> <br /> <p>কলকাতা, ২৭ নভেম্বরঃ স্থায়ী কর্মী নয়, এক বছরের চুক্তিতে কর্মী নিয়োগ হবে, এমন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। তবে বেকার যুবক-যুবতি নয়, রাজ্য সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদেরই চুক্তির ভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগ করা হবে বলে অর্থ দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে। শূন্যপদের সংখ্যা দিনদিন বাড়তে থাকলেও সেই ফাঁকা জায়গা পূরণে আর্থিক সামর্থ নেই সরকারের। তাই এই সিদ্ধান্ত। অর্থ দপ্তরের নোটিশ অনুসারে রাজ্য সরকারের প্রাক্তন কর্মীদেরই শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। তবে তাদের বেতন হবে নির্দিষ্ট। এছাড়া স্থায়ী কর্মীদের মতো চুক্তিভিত্তিকরা সব সুবিধা পাবেন না। অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর বয়স ৬৪ বছরের নীচে হলে তবেই পুনরায় চুক্তিভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে।</p> <p><a class="a2a_button_facebook" href="http://ift.tt/2fTsvfH" title="Facebook" rel="nofollow" target="_blank"></a><a class="a2a_button_twitter" href="http://ift.tt/2g7i6Qd" title="Twitter" rel="nofollow" target="_blank"></a><a class="a2a_button_google_plus" href="http://ift.tt/2fTxw7H" title="Google+" rel="nofollow" target="_blank"></a><a class="a2a_button_google_gmail" href="http://ift.tt/2g7nvqx" title="Google Gmail" rel="nofollow" target="_blank"></a><a class="a2a_button_linkedin" href="http://ift.tt/2fTqkss" title="LinkedIn" rel="nofollow" target="_blank"></a><a class="a2a_button_email" href="http://ift.tt/2g7nrr5" title="Email" rel="nofollow" target="_blank"></a><a class="a2a_button_printfriendly" href="http://ift.tt/2fTtAns" title="PrintFriendly" rel="nofollow" target="_blank"></a><a class="a2a_dd addtoany_share_save" href="http://ift.tt/2g7lACu" data-a2a-url="http://ift.tt/2fTqEXZ" data-a2a-title="স্থায়ী নয়, এক বছরের জন্য চুক্তিতে নিয়োগ রাজ্যে"></a></p> <br /> <br /> from Uttarbanga Sambad http://ift.tt/2fTqEXZ<br /> <br /> November 28, 2016 at 12:08AM

স্থায়ী নয়, এক বছরের জন্য চুক্তিতে নিয়োগ রাজ্যে

স্থায়ী নয়, এক বছরের জন্য চুক্তিতে নিয়োগ রাজ্যে কলকাতা, ২৭ নভেম্বরঃ স্থায়ী কর্মী নয়, এক বছরের চুক্তিতে কর্মী নিয়োগ হবে, এমন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। তবে বেকার যুবক-যুবতি নয়, রাজ্য সরকারের অবসর…

আরও পড়ুন »