কুমিল্লা, ১৯ নভেম্বর- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৭১-এ হানাদার বাহিনী যেভাবে জ্বালাও-পোড়াও এবং অগ্নিসংযোগ করেছে তেমনটি বিএনপি ২০১৩ সালে করেছে। গুলশানের কার্যালয়ে বসে খালেদা জিয়া বিরিয়ানি খেয়েছেন এবং বাইরে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছেন। এটাই ছিল তার আন্দোলন। তারা নির্বাচনে আসে নাই। এটা ছিল খালেদা জিয়া ও তার দলের সিদ্ধান্ত। আজকে তারা তো অফিসিয়ালি বিরোধী দলও নয়। নির্বাচনে না আসলে সে দায় জনগণ নেবে কেন? শনিবার গণভবন থেকে চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা জেলার ভিডিও কনফারন্সে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন বাংলা ভাই ও শায়খ আবদুর রহমানকে বানিয়েছিল। বাংলাদেশকে সন্ত্রাসীদের চারণভূমি করে দিয়েছিল। সম্মিলিত উদ্যোগে আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে কাজ করে যাচ্ছি। আগামীতে এ কাজে আরও সফল হব। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। কারও ক্ষমতা নেই বাংলাদেশকে পিছিয়ে রাখার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আন্দোলন মানে জ্বালাও-পোড়াও, সন্ত্রাস আর মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা। বিএনপির আন্দোলন মানেই জনগণকে পুড়িয়ে মারা এবং খুন-খারাবি করা। আসলে তারা এদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। তাই তারা উন্নয়ন ও অগ্রগগিতেও বিশ্বাস করে না। কুমিল্লা টাউন হল মাঠের কনফারেন্স থেকে একজন কৃষক ও মৃৎশিল্পী বক্তব্য রাখেন। এরা হলেন আবিদুর রহমান রীয়াদ, তাপস পাল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করছেন বলেও তিনি জানান। বলেন, বাংলাদেশের একটি মানুষও দরিদ্র ও অবহেলিত থাকবে না। সমাজের পিছিয়ে থাকা মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি আমরা। নিজের ভাগ্য নয়, মানুষের ভাগ্য গড়ার ব্রত নিয়ে কাজ করছি আমরা। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের স্থান বাংলাদেশে হবে না। এ পথ শান্তির নয়, কল্যাণেরও নয়। এগুলো মোকাবিলার জন্য সমাজের সবার প্রতি আহ্বান জানন তিনি। এদেশকে শান্তির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। অভিভাবকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছেলেমেয়ের সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন। তারা কোথায় কী করে খেয়াল রাখবেন। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপি ঐক্যমতের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি নিজে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ফোন করেছিলাম। সকাল ১০টায় ফোন করি, তিনি ধরেননি। তার সময় হয়নি, ফোন ধরার! যারা একদিন আমাদের বাসায় এসে মোড়া পেতে বসে থাকতো, ফোন করলে তারা এখন ফোন ধরেন না! শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনের সময় ফোন করেছিলাম কারণ, একসঙ্গে নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছিলাম। তবে তিনি সেই আহ্বান বর্জন করেছেন, নির্বাচন বর্জন করেছেন। সকাল ১১ টা ৩৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে সরাসরি যুক্ত হয়ে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে কুমিল্লার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী কর্মকর্তা, বীরমুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণের সাথে দেশের উন্নয়নের অগ্রগতি ও জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবিরোধী বিষয়ে মতবিনিময় করেন। কুমিল্লা টাউন হল মাঠে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন- পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল), সদর আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী আকম বাহাউদ্দিন বাহার, জেলা প্রশাসক জাহাংগীর আলম, পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন, কুমিল্লা জেলা সিনিয়র তথ্য অফিসার মীর আহসান কবীর, জেলা পরিষদের প্রশাসক আলহাজ মো: ওমর ফারুক, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম সরকার, কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক অধ্যক্ষ আফজল খান, সাবেক সংসদ সদস্য যোবেদা খাতুন পারুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সফিকুল ইসলাম শিকদার, কুমিল্লা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শফিউল আহমেদ বাবুল। এফ/২০:৩৩/১৯ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2faKwVE
November 20, 2016 at 02:32AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন