রাগীব আলীর অজানা অধ্যায়-অজানা আতংকে সহযোগীরা

22স্টাফ রির্পোটার :: দানব থেকে বনে যাওয়া দানবীর রাগীব আলীকে নিয়ে সিলেটে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন।অজানা আতংকে দিনা যাপন করছেন তার সমস্থ অপকর্মের হোতারা।‘মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক’১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রবাসে থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন জানিয়ে এ দাবী।কিন্তু এব্যাপারে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন একাত্তরের বীর মুক্তিযুদ্ধারা। তারা বলছেন, পক্ষে নয়, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে কাজ করেছেন রাগীব আলী। মুক্তিযোদ্ধাদের কথার প্রতিধ্বনি বিশ্বের ২৬১টি ভাষায় প্রকাশিত ইন্টারনেট ভিত্তিক মুক্ত বিশ্বকোট উইকিপিডিয়াতে ও এর বাংলা সংস্করণ বলছে, ‘রাগীব আলী সম্পর্কে বেশ কিচু অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশে থেকে দেশের বিরুদ্ধে কাজ করা, যুদ্ধাপরাধীদের সহায়তা করা ও হিন্দুদের দেবোত্তর সম্পত্তি দখল করা প্রভৃতি।
এক অনুসন্ধানে দেখা যায়, জামায়াতের সংগঠক আঞ্জুমানে আল-ইসলাহ’র প্রধান পৃষ্টপোষক রাগীব আলী। যুদ্ধপরাধ, মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযুক্ত মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে, ( হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ) সরকারের সময়ে সিলেটে অবঞ্চিত ঘোষনা করে প্রতিরোধের ডাক দেয়া হয় ওই সময় রাগীব আলীকে সিলেটে গণ-দুশমন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধারা সহ প্রগতিশীল শক্তির নেতৃত্বে সর্বস্থরের সিলেটবাসীর এই প্রতিরোধ কর্মসূচী মোকাবেলা করার সাহস পায়নি জামায়াত-শিবির। কিন্তু ওই সময় রাগীব আলী সিলেটবাসীকে চ্যালেঞ্জ করে মাঠে নামেন। অবঞ্চিত দেলোয়ার হোসেন সাঈদিকে বিমানে সিলেট নিয়ে আসা, দক্ষিণ সুরমার কামাল বাজারে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা এবং নিজ মালিকানাধীন মালনী ছড়ায় ব্যস্থা করেন রাগীব আলী। মুক্তিযোদ্ধা সহ সিলেবাসীকে বৃদ্দাঙ্গুলী প্রদর্শন করে ‘মাজিকের ঘোড়া’ হিসেবে ব্যবহৃত হন স্বাধীনতা বিরোধীদের।
সেই রাগীব আলীর মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মুক্তিযোদ্ধাসহ। সেই কথিত ‘দানবীর’ রাগীব আলীর মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক দাবী করা নিয়ে বিস্মিত মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মুক্তিযোদ্ধাসহ বাংলার সচেতন মহল। সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার, একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবু সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল বলেন, ‘রাগীব আলী আপাতমস্তক একজন স্বাধীনতা বিরোধী। মুক্তিযুদ্ধে ছিলেন দেশ বিরোধী ও রাজাকার-আলবদরদের সহযোগী। দেশ স্বাধীনহওয়ার পরেও সিলেট এবং বিলেতে দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীকে তিনিই পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, পৃষ্টপোষক দূরের কথা, রাগীব আলী জামায়াত-শিবির ছাড়াও জঙ্গিদের অর্থ যোগানদাতা। সঠিক তদন্ত হলে আরো অনেক চ্যলেঞ্জকর তথ্য বেরিয়ে আসবে।
ক্ষমতার ¯্রােতমুখী এবং দ্রুত বদলাতে অভ্যস্ত রাগীব আলী, নিজের অপরাধ ঢাকতে স্বাধীনতা পরবর্তীতে দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগীতা ও পুনর্বাসনে কিছু কাজ করেন। তখনই তিনি তার নামের পূর্বে যোগ করেন নতুন বিশেষন ‘মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক’। আর এই বিশেষ থেকে বিশেষন প্রায়ই প্রতিদিন ছাপা হতে থাকে তারই মালিকানাধীন স্থানীয় দৈনিক সিলেটের ডাকে। এমনকি দ্রুত বদলে যাওয়ায় বিশ্বাসী রাগীব আলী গ্রামবাসীর বিরোধীতার মুখে নিজ গ্রামের নাম ‘তালিবপুর’ বদলে নিয়েছেন।
2খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ২০১৫ সালের প্রথমার্ধ থেকে রাগীব আলী নামের পূর্বে ‘সৈয়দ’ পদবি ব্যবহার করছেন। এর পূর্বে তিনি নামের সংঙ্গে যুক্ত করেন ‘ড.’। যুদ্ধপরাধ. মানবতা বিরোধীদের বিচার নিয়ে তোড়জোড় শুরু হলে সু-চতুর, ধনকুওে রাগীব আলী তিনি তার নামের পূর্বে ‘মুক্তিযুদ্ধেও সংগঠক ব্যবহার করতে থাকেন।
নিজের মালিকানাধীন স্থানীয় পতিকা দৈনিক সিলেটের ডাকে ‘যুগশ্রেষ্ট দানবীর’ উপমহাদেশের শ্রেষ্ট দানবীর’ ‘মানব সেবায় কিংবদন্তি’ এসব বিশেষন ব্যবহার হয় অহরহ তার আগে, পিছে সর্বত্রই দেখা যায় একে শ্রেনী টাউট প্রকৃতির সাংবাদিক, লেখক, কবি। তারাই থাকেকালো টাকার বিনিময়ে বিশেষ থেকে বিশেষনে অভিশিক্ত করেছে। রাগীব আলীর মালিকানাধীন দৈনিক সিলেটের ডাক ঘেঁটে এমন বাহারী বিশেষনের সন্ধান মিলে।
দৈনিক সিলেটের ডাকে মুক্তিযুদ্ধের ভূয়া সংগঠক রাগীব আলীকে আখ্যা দেয়া হয় ‘সমাজ নেবা মূলক অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতাও চেয়ারম্যান, বরেণ্য শিল্পপতি, প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, শিল্প সাহিত্য ও সাংবাদিকতার পৃষ্টপোষক, মানব কল্যানে নিবেদিত প্রতিষ্ঠান রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, দানবীর, সিলেটের প্রথম বেসরকারী বিশ্ব বিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সির প্রতিষ্ঠা ও চেয়ারম্যান, দেশের প্রথম বেসরকারী বিশ্ব বিদ্যালয় নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক চেয়ারম্যান, দেশের ব্যাজ্যিক ব্যাংক সাউথ-ইস্ট ব্যংকের অন্যতম উদ্যোগক্তা ও সাবেক চেয়ারম্যান, শিক্ষানুরাগী, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, সফল চা শিল্প উদ্যোক্তা,সিলেটের প্রথম বেসরকারী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারী ক্রীড়া একাডেমী, রাগীব-রাবেয়া বাংলাদেশ স্পোর্টস একাডেমীর প্রতিষ্ঠা ও চেয়ারম্যান, এশিয়া প্যাসিফিক ইউনির্ভাসিটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক চেয়ারম্যান, রাগীব-রাবেয়া সাহিত্য পদকের প্রবর্তক, সমাজ হি-তৈষী, অসংখ মানব সেবা মুলক প্রতিষ্টানের প্রতিষ্ঠাতা বলে। সময় এবং প্রয়োজন বুঝে এসব বিশেষন ব্যবহার করা হয়ে থাকে রাগীব আলীর নামে পূর্বে।
জনশ্রুতি রয়েছে রাগীব আলী লুটপাট-দুর্নীতির মাল তিনি একা খাননি। দানবীর নামটি রক্ষা করতে গিয়ে অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন লুটপাটের একটি অংশ চামচাদের। তাই দানবীর হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্টা করা তাঁর পক্ষে অন্যায় বলে আমাদের মনে করা ঠিক না। রাগীব আলী নিজের স্তুতি বন্দনা করতে গিয়ে অনেক গ্রন্থও রচনা করিয়েছেন। এতে যেসব লেখক চামচামি করে রাগীব গীত গেয়েছেন ওইসব গ্রন্থে, এর ফলে তারা বাজারদরের চেয়ে বেশী মূল্য পেয়েছেন। যারা রাগীব আলীর এসব বই-পুস্তক প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টদের অর্থনৈতিক ভীত অনেকটা মজবুত হয়েছে।মেয়াদোত্তীর্ণ কিছু চাটুকার সামাজিক ভাবে নিজেদের সম্মান বাড়াতে রাগীব আলীর কাছ থেকে পদকও নিয়েছেন। রাগীব আলী এসব চাটুকারদের কখনো, কোনো সময় নিরাশ করেননি। যে-যা ছেয়েছেন তাই দিয়েছেন। সাম্প্রতিককালে সিলেটে রাগীব আলীকে গণসংবর্ধনা দিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। সেই সংবর্ধনায় আয়োজকদের একটি টাকা খরচও করতে দেননি রাগীব আলী। অর্থাৎ নিজের টাকায় নিজের তৈল মর্দন করা হয়েছে। সংবর্ধনা ক্রয় করার পাশাপাশি আয়োজকদের অনেককে তিনি থলে ভরে টাকা দিয়ে খরিদ করে ছিলেন। ওই সময় জনপ্রতিনিধিরা উপযুক্ত দর (মূল্য) পেয়ে তারা রাগীব আলীকে রাষ্ট্রিয় পদকে ভুষিত করার জন্য সরকারের প্রতি দাবীও জানিয়েছিলেন। দানব থেকে বীর অর্থাৎ দানবীর রাগীব আলীর মালিকানাধীন ‘সিলেটের ডাক’ কাগজে ছাপার অক্ষরে নিজেরনাম আর লাম্পট্য চেহারা, ছুরত দেখাতে সিলেটের কতো নেতা, পাতি নেতা দিন-রাত বিতর্কিত মধুবন মার্কেটের সিঁড়ি ভেঙ্গেছেন। তোষা মোদি করেছেন ‘সিলেটের ডাক’র কর্মকর্ত-কর্মচারীদের। জাল-জালিয়াতির কারিগর রাগীব আলীর হয়তো সাজা হবে, আর নির্দোষ হলে খালাস পাবেন। কিন্তু তাঁর আগে-পিছে স্তুতি বন্দনকারী, গ্রন্থ রচয়িতা, রাষ্টিয় পদকের দাবীর উত্তোলনকারী, বলিষ্ট কন্ঠস্বর ওয়ালারা রাগীব আলীর দান দক্ষিনার টাকার ভক্ষনকারীদের কি হবে?
তথাকথিত রাজনৈতিক নেতা, কবি, সাংবাদিক, লেখক, সাহিত্যিক, কল্পকার ও মুক্তিযোদ্ধা ভদ্রলোকেরা কি মুখোশের আড়ালেই থেকে যাবেন? এরা রাগীব আলীকে বুদ্ধি, পরামর্শ ও সহযোগীতার কারণে কি আইনের আওতায় আনা যায়না? সিলেটের বিজ্ঞজনরা বলছেন, দন্ডমুন্ডের কর্তাদেরকে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। রাগীব আলীর এই দু’সময়ে সিলেটবাসী জানতে চায়, পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্পদ দখল করে মধুবন মার্কেট গড়ে তোলা হয়। এই মধুবন মার্কেট আন্দোলনে কারা কি সুবিধা নিয়েছিলেন, কারা কয়টি মোটর সাইকেল পেয়েছিলেন, মার্কেটের কয়টি দোকান কোঠা কাদেরকে দেয়া হয়েছিলো, ঐতিহ্যবাহী তারাপুর বাগানে কারা ফ্রি প্লট পেয়েছিলেন, কারা নিয়েছিলেন নগদ টাকার বান্ডিল। আর এই পাইলট স্কুলের সম্পদ (মধুবন) উদ্ধার আন্দোলন করতে গিয়ে রাগীব আলীর ষড়যন্ত্রের শিকার হন তৎকালীন জাসদ ছাত্রলীগের নেতা ও বর্তমান জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দলের কেন্দ্রীয় নেতা এড. জাকির আহমদ। জাতির সামনে এইসব ইতিহাস উন্মোচিত করা হোক, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জ্ঞাত করার জন্য। সিলেটবাসীর দাবী তারাপুর বাগান তো তারাপুরবাসী ফিরে পেয়েছেন। প্রশ্ন আজ, কবে পাইলট স্কুলের সম্পদ ফিরে পাবে পাইলট স্কুল।’
অবৈধ দখল দিয়ে শুরু সম্পদের পাহাড় গড়া : স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের আমলে উত্থান ঘটে রাগীব আলীর। যুক্তরাজ্যফেরত রাগীব আলী ওইসময় সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় শুরু করেন সম্পদের পাহাড় গড়ার কাজ। সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসের জায়গা দখল করে, ছাত্রাবাস গুড়িয়ে দিয়ে গড়ে তোলেন বহুতল মধুবন মার্কেট। এনিয়ে সিলেটে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে দীর্ঘদিন আন্দোলন চলে। আন্দোলন করতে গিয়ে জেল খাটতে হয় তৎকালীন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের ছাত্রনেতাদের।
তারাপুর চা বাগান দখল : ব্রিটিশ মালিকানাধীন সিলেটের তারাপুর চা বাগান ১৮৯২ সালের ১০ জুন কিনেন বৈকুন্ঠ চন্দ্র গুপ্ত। ১৯১৫ সালে ওই বাগানটি শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ জিউ দেবতার নামে লিখে দেন তিনি। এরপর থেকে ৪২৩ একরের ওই সম্পত্তিটি দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হয়ে আসছে। ১৯৯০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে রাগীব আলী তার ছেলে আবদুল হাইয়ের নামে দেবোত্তর সম্পত্তিটি ৯৯ বছরের জন্য ইজারা নেন। ১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুসন্ধানে তারাপুর বাগান দখলে রাগীব আলীর জালিয়াতি ও প্রতারণার ভয়ঙ্কর সব তথ্য বেরিয়ে আসে। ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে দুটি মামলা দায়ের করা হয় রাগীব আলী, তার ছেলে আবদুল হাই, মেয়ে রুজিনা কাদির, জামাতা আবদুল কাদির প্রমুখদের বিরুদ্ধে। চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি আপিল বিভাগ তারাপুরে রাগীব আলীর দখলকে অবৈধ ঘোষণা করেন।
লোভাছড়া বাগান দখল : সিলেটের কানাইঘাটের লোভাছড়া চা বাগান মিথ্যা চুক্তির কথা বলে দখল করে নেন রাগীব আলী। এই বাগানের মালিক ব্রিটিশ নাগরিক জেমস লিও ফার্গুসন ওরফে নানকাকে বাগান থেকে বিতাড়ন করতে মিথ্যা অপহরণ মামলা দায়ের করে রাগীব আলী গং। ২০১৪ সালের নভেম্বরে রাগীব আলী গংয়ের লোকদের লোভাছড়া থেকে পিটিয়ে বিদায় করে বাগানের শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ। নানকা ফিরে পান তার বাগান।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2ggvrDv

November 26, 2016 at 09:09PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top