স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেট বিভাগের ইজতেমা সামনের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোলারগাঁও ইউনিয়নের সিলেট-সুনামগঞ্জ বাইপাস সড়ক সংলগ্ন লতিপুর-খিদিরপুর এলাকার হাওর মাঠে আগামী ২৯, ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। দীর্ঘ ২৫ বছর পর তৃতীয় বারের মতো সিলেটে অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাবলীগ জামাতের ইজতেমা।
দীর্ঘ ২৫ বছর পর সিলেটের পূণ্যভূমিতে ইজতেমার আয়োজনে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিলেটের খোজারখলা মারকাজ মসজিদের মুরব্বীরা। আসন্ন ইজতেমাকে সফল করে তোলার লক্ষে সিলেট বিভাগের সকল জেলা, উপজেলা পাড়া-মহলার প্রতিটি মসজিদেই তাবলীগ জামাতের সিলেট জেলার সকল হালকার ৩ চিলার সাথীসহ নতুন ও পুরাতন সাথীরা দাওয়াতী কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সিলেটে তিন দিনের অনুষ্ঠিতব্য ইজতেমায় বয়ান করবেন ভারতের দিলি ও ঢাকার কাকরাইল মসজিদের তাবলীগ জামাতের মুরুব্বীরা। বিশ্ব ইজতেমায় যারা বয়ান করে আসছেন সিলেট ইজতেমায় তাদেরই বয়ান করার কথা রয়েছে।
সিলেট বিভাগের ৪ জেলা সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার থেকে মুসল্লিগন ইজতেমার জন্য জমায়েত হবেন। ৪ লাখের অধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সমাগম যাতে হয় সেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তাবলীগের মুরব্বী ও সাথীরা।
মহিলাদের পৃথক কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ইজতেমায় মহিলাদের অংশগ্রহণ সম্পূর্ণ নিষেধ করা হয়েছে। ইজতেমার আদব রক্ষার্থে অনুরোধ জানানো হয়েছে মহিলা মা-বোনরা যেন ইজতেমার ময়দান বা তার আশেপাশে না এসে যার যার বাসস্থানেই অবস্থান করেন।
তাবলীগ জামাতের দ্বীনের কাজে নিয়োজিত চিলার সাথীদের সাথে আলাপকালে জানাযায়, টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমায় প্রতিবার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল নামায় দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা পালনের আয়োজন করা হয়। তারপরও জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বিভাগ ভিত্তিক ইজতেমার আয়োজন করার নির্দেশনা দেন তাবলীগ জামাতের প্রবীণ মুরব্বীরা।
সে মোতাবেক বিভাগ ভিত্তিক ইজতেমার আয়োজন প্রথম সিলেট থেকেই শুরু করা হচ্ছে এ বছরের ডিসেম্বর থেকে। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য বিভাগে ইজতেমার আয়োজন করা হবে বলে জানা যায়।
ডিসেম্বরে সিলেটে আয়োজিত ইজতেমার নিরাপত্তা নিয়ে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) জেদান আল মুসা গণমাধ্যমকে জানান, ঢাকা টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমায় যেভাবে নিরাপত্তা দেয়া হয় সেভাবেই সিলেট ইজতেমায়ও নিরাপত্তার চাদরে পুরো এলাকা ঢাকা থাকবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তীক্ষণ দৃষ্টি থাকবে ইজতেমা সংলগ্ন আশপাশ এলাকা ও আগত মুসলিদের যাতায়াতের স্থান সমূহে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ১৯৬৫ ও ১৯৮৪ সালে সিলেট জেলার সুরমা নদীর দক্ষিণ তীর সংলগ্ন টেকনিক্যাল মাঠে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রথমবার আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন ইউসূফ জি (রহ.) এবং দ্বিতীয়বার মোনাজাত আখেরী করেন এনামুল হাসান (রহ.)।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2fxrh9u
November 21, 2016 at 08:01PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন