মোঃ আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: জেলা পরিষদ নির্বাচনে সিলেট জেলার অন্তর্ভূক্ত ৯নং ওয়ার্ড বিশ্বনাথ উপজেলায় জেলা পরিষদ সদস্য প্রতিদ্বন্দিদের মধ্যে কে পড়বেন বিজয়ের মালা। বিশ্বনাথ উপজেলার প্রায় আড়াই লক্ষাধিক জনগণ অধির অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন। আগামীকাল বুধবার ২৮ ডিসেম্বর শেষ হবে এ আগ্রহের প্রহরগুনা। এ নির্বাচনে ভোট প্রয়োগ করবেন উপজেলার ১০৪জন জনপ্রতিনিধি। তাদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন একজন সদস্য।জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন বিশ্বনাথ উপজেলার প্রধান আলোচনা হিসাবে হাট-বাজার,অফিস-আদালতসহ ধর্মীয় উপাসনালয়ের ক্যাম্পাসে ও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। পিছিয়ে নেই মিডিয়া পাড়াও। জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিশ্বনাথ উপজেলা থেকে সদস্য পদে ৮ জন প্রতিদ্বন্দির মধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন পাঁচজন। তারা হলেন-উপজেলার দেওকলস ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম মতছিন, জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর একান্ত সচিব ময়নুল হক, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, জাপা নেতা ও এমপি ইয়াহহিয়া চৌধুরী এহিয়ার ভাই সহল আল রাজী চৌধুরী, যুবলীগ নেতা কাহার মিয়া, পাশাপাশি পাক্ষিক বিশ্বনাথ বার্তার সম্পাদক ও জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোসাদ্দেক হোসেন সাজুলও পিছিয়ে নেই।
সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ড হচ্ছে বিশ্বনাথ। এ ওয়ার্ড থেকে পুরুষ সদস্য পদে ৮জন প্রার্থী বিভিন্ন প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। আগামীকাল বুধবার ২৮শে ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বনাথের রামসুন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯নং ওয়ার্ড সদস্য প্রার্থীদের ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারনা শেষ হয়েছে সোমবার মধ্য রাতে। প্রার্থীরা নির্ঘুম প্রচার-প্রচারনায় শেষ করেছেন। এখন প্রার্থীদের নিয়ে চুলচেরা আলোচনা-সমালোচনা পাড়া-মহল্লা, অফিস-ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে চলছে। প্রার্থীদের নিয়ে ভোটাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের ঝড় চলছে। একটাই আলোচনা কে বিজয়ী হচ্ছেন জেলা পরিষদ নির্বাচনের সদস্য পদে।ভোটারদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, ৯নং ওয়ার্ডে এখন পর্যন্ত আলোচনা যারা রয়েছেন তারা হচ্ছেন তালা প্রতিক নিয়ে উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা ফখরুল ইসলাস মতছিন, হাতি প্রতিক নিয়ে জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর একান্ত সচিব মঈনুল হক, ঘুড়ি প্রতিক নিয়ে বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, বিদ্যুতিক পাখা নিয়ে স্থানীয় এমপির ভাই সহল আল রাজি চৌধুরী, ক্রিকেট ব্যাট প্রতিক নিয়ে যুবলীগ নেতা কাহার মিয়া। তবে ওই প্রার্থীর মধ্যে কে জয়ের মালা পড়বেন তা এখনও বলা মুশকিল। নির্বাচনের পূর্ব মূর্হুত পর্যন্ত পাল্টা যেতে পারে সদস্য পদে প্রার্থীদের হিসাব-নিকাশ এমটাই ধারনা করছেন এলাকার ভোটারা। এখানে অন্য প্রার্থীরা হলেন আ.লীগ নেতা কিনু মিয়া, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক শামছুল ইসলাম নির্বাচনে লড়ছেন।নামপ্রকাশে না করার অনুরোধে কয়েকজন ভোটার জানান, প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারনা শেষ হয়েছে। প্রতিদিন প্রার্থীরা ভোটাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। এখন ভোটারাও প্রার্থীদের নিয়ে হিসাব-নিকাশ করছেন। বর্তমানে বেশ কয়েকজন প্রার্থীর নাম আলোচনায় রয়েছে। তবে আগামীকাল বুধবার নির্বাচনে শেষে কে পড়বেন বিজয়ের মালা তার জন্য অপেক্ষা থাকতে হবে। এ নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি এমটাই ধারনা করছেন এলাকার ভোটারা।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2iA0vCD
December 27, 2016 at 09:49PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন