জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের টানটান উত্তেজনার অবসান ঘটেছে। বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলফলে বিজয়ের শেষ হাসিটা হাসলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মইনুদ্দীন মন্ডল। তিনি ৩০৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনের শুরু থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিল্প ও বণিক সমিতি’র সভাপতি বিএনপি নেতা আব্দুল ওয়াহেদ ২৪৯ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্থানীয় রাজনীতির নেতৃত্বের নানামুখি তৎপরতা শেষে ‘শেষ খেলায়’ এমন ফলাফল ঘটলো।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫ উপজেলার ১৫টি কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে টানা দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়। মোট ৬৫৮ জন ভোটারের মধ্যে ৬৫৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোটগ্রহণ শেষে স্থানীয়দের তথ্যানুযায়ী বিকেল সাড়ে ৩টার মধ্যেই চুড়ান্ত ফলাফল চলে আসে প্রার্থীদের কাছে। তবে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষের ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষাণা করা হয় বিকেল ৫টার দিকে।
নির্বাচনে ১৫ কেন্দ্রে মইনুদ্দীন মন্ডল পেয়েছেন ৩০৭ ভোট। আব্দুল ওয়াহেদ পেয়েছেন ২৪৯ ভোট। গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খুরশিদ আলম বাচ্চু পেয়েছেন ৬১ ভোট। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান তোতা পেয়েছেন ৩২ ভোট এবং জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি আলাউদ্দীন টিপু পেয়েছেন ৪ ভোট।
নির্বাচনী তৎপরতার শুরু থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস ছিল মইনুদ্দীন মন্ডল ও আব্দুল ওয়াহেদের মধ্যে। শেষ ফলাফলে তেমনটাই দেখা গেছে। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী দেখা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩টি সংসদীয় আসনে আব্দুল ওয়াহেদ ‘দৌড়িয়েছেন’ মন্ডলের কাছাকাছি দিয়ে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের কেন্দ্রগুলোতে (শিবগঞ্জের ঘোড়াপাখিয়াসহ) ৯৬টি ভোট পেয়েছে মইনুদ্দীন মন্ডল। আর আব্দুল ওয়াহেদ পেয়েছেন ৮৪টি ভোট। তবে, নির্বাচনের আগে শিবগঞ্জ আসনকে মন্ডলের জন্য ‘অনুর্বর’ এবং ওয়াহেদের জন্য ‘উর্বর’ এলাকা হিসেবে ভাবা হলেও ফলাফল পাল্টে গেছে। শিবগঞ্জে মইনুদ্দীন মন্ডল সম্মানজনক লাভ করেছেন। শিবগঞ্জের বিএনপি নেতা অধ্যাপক শাহজাহান মিয়ার অনুসারী হিসেবে পরিচিত আব্দুল ওয়াহেদ ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল হক ও তৌহিদুর রহমান মিয়ার এলাকায় ভাল করলেও অন্য এলাকায় ‘কাংখিত’ ভোট পাননি।
অন্য তিন প্রার্থীর মধ্যে, খুরশিদ আলম বাচ্চু গোমস্তাপুর ও তার আশেপাশের এলাকায় কিছু ভোট পেলেও অন্য এলাকায় তেমন ভোট পাননি। জিয়াউর রহমান তোতা তার প্রাপ্ত ৩২ ভোটের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে পেয়েছেন ২৬টি ভোট। আলাউদ্দীন টিপু নাচোল থেকে ২টি পেয়েছেন। আর সদর থেকে একটি এবং শিবগঞ্জ থেকে একটি ভোট পেয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপজেলায় উপজেলায় জোটের সমিকরণ না মেলায় এবং আওয়ামী লীগের আভ্যন্তরিণ গ্রুপিং-এর নতুন মেরুকরণ ঘটায় জয় হয়েছে মন্ডলের, পরাজয় ঘটেছে ওয়াহেদের।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৮-১২-১৬
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫ উপজেলার ১৫টি কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে টানা দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়। মোট ৬৫৮ জন ভোটারের মধ্যে ৬৫৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোটগ্রহণ শেষে স্থানীয়দের তথ্যানুযায়ী বিকেল সাড়ে ৩টার মধ্যেই চুড়ান্ত ফলাফল চলে আসে প্রার্থীদের কাছে। তবে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষের ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষাণা করা হয় বিকেল ৫টার দিকে।
নির্বাচনে ১৫ কেন্দ্রে মইনুদ্দীন মন্ডল পেয়েছেন ৩০৭ ভোট। আব্দুল ওয়াহেদ পেয়েছেন ২৪৯ ভোট। গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খুরশিদ আলম বাচ্চু পেয়েছেন ৬১ ভোট। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান তোতা পেয়েছেন ৩২ ভোট এবং জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি আলাউদ্দীন টিপু পেয়েছেন ৪ ভোট।
নির্বাচনী তৎপরতার শুরু থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস ছিল মইনুদ্দীন মন্ডল ও আব্দুল ওয়াহেদের মধ্যে। শেষ ফলাফলে তেমনটাই দেখা গেছে। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী দেখা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩টি সংসদীয় আসনে আব্দুল ওয়াহেদ ‘দৌড়িয়েছেন’ মন্ডলের কাছাকাছি দিয়ে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের কেন্দ্রগুলোতে (শিবগঞ্জের ঘোড়াপাখিয়াসহ) ৯৬টি ভোট পেয়েছে মইনুদ্দীন মন্ডল। আর আব্দুল ওয়াহেদ পেয়েছেন ৮৪টি ভোট। তবে, নির্বাচনের আগে শিবগঞ্জ আসনকে মন্ডলের জন্য ‘অনুর্বর’ এবং ওয়াহেদের জন্য ‘উর্বর’ এলাকা হিসেবে ভাবা হলেও ফলাফল পাল্টে গেছে। শিবগঞ্জে মইনুদ্দীন মন্ডল সম্মানজনক লাভ করেছেন। শিবগঞ্জের বিএনপি নেতা অধ্যাপক শাহজাহান মিয়ার অনুসারী হিসেবে পরিচিত আব্দুল ওয়াহেদ ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল হক ও তৌহিদুর রহমান মিয়ার এলাকায় ভাল করলেও অন্য এলাকায় ‘কাংখিত’ ভোট পাননি।
অন্য তিন প্রার্থীর মধ্যে, খুরশিদ আলম বাচ্চু গোমস্তাপুর ও তার আশেপাশের এলাকায় কিছু ভোট পেলেও অন্য এলাকায় তেমন ভোট পাননি। জিয়াউর রহমান তোতা তার প্রাপ্ত ৩২ ভোটের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে পেয়েছেন ২৬টি ভোট। আলাউদ্দীন টিপু নাচোল থেকে ২টি পেয়েছেন। আর সদর থেকে একটি এবং শিবগঞ্জ থেকে একটি ভোট পেয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপজেলায় উপজেলায় জোটের সমিকরণ না মেলায় এবং আওয়ামী লীগের আভ্যন্তরিণ গ্রুপিং-এর নতুন মেরুকরণ ঘটায় জয় হয়েছে মন্ডলের, পরাজয় ঘটেছে ওয়াহেদের।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৮-১২-১৬
from Chapainawabganjnews http://ift.tt/2hwPTV8
December 28, 2016 at 10:32PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন