টরন্টো, ০৪ ডিসেম্বর- গত ১৯ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় টরন্টোর অভিজাত চাঁদনী ব্যান্কোয়েট হলে বুয়েট এলামনাই এসোসিয়েশন কানাডার উদ্যোগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পঞ্চম পুনর্মিলনী ও বার্ষিক সাধারণ সভা বুয়েট নাইট ২০১৬ অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। এসোসিয়েশন এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম নুরুজ্জামান এর তত্ত্বাবধানে অভ্যর্থনা ও রেজিষ্ট্রেশন বুথে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী, তাদের পরিবারবর্গ ও অতিথিদের অনুষ্ঠানস্থলে স্বাগত জানানো শুরু হয়। সন্ধ্যা সাতটায় পাঁচ শতাধিক অভ্যাগতের উপস্থিতিতে মিলনায়তন কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। অনুষ্ঠান প্রস্তুতি কমিটির কনভেনর আব্দুস সালাম ও এসোসিয়েশন পরিচালনা কমিটির ডিরেক্টর (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) আমিরুল কায়েস যৌথভাবে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে এ বছরের আর্থিক ও বার্ষিক প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। এ পর্বের পর অনুষ্ঠানের সভাপতি ও অতিথিদের মঞ্চে স্বাগত জানানো হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ড: দেলোয়ার হোসাইন এবং প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন টরন্টোর রায়েরসন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড: এস আর করিম। অতিথি হিসেবে মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন আমেরিকা থেকে আগত প্রবীণ এলামনাই সদস্য ড: হাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে সংগঠনের উপদেষ্টা ও আজীবন সদস্যদের স্বাগত জানান ডিরেক্টর (মেম্বারশিপ) কামরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে এরকম একটি মানসম্পন্ন পুনর্মিলনী উপহার দেবার জন্যে এসোসিয়েশন এর নেতৃত্বকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং বলেন , সদস্যদের পেশাগত যোগাযোগের জন্য এরকম একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কানাডার বিভিন্ন শিক্ষা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বাংলাদেশের প্রকৌশলী ও স্থপতিরা অত্যন্ত মর্যাদার সাথে তাদের পেশাগত দক্ষতার মাধ্যমে বাংলাদেশকে এই বিদেশ বিভুইয়ে তুলে ধরছেন। তিনি বুয়েট এলামনাই এসোসিয়েশন কানাডার ব্যানারে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের সমবেত করবার উদ্যোগ নেবার জন্য আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন প্রস্তুতি কমিটির পক্ষ থেকে কনভেনর আব্দুস সালাম এবং সংগঠনের প্রেসিডেন্ট এবং অনুষ্ঠানের সভাপতি ড: দেলোয়ার হোসাইন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিলো মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এলামনাই সদস্য ও তাদের ছেলেমেয়েদের পরিবেশনায় কথা ও সুরের মধ্য দিয়ে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পর্বের সূচনা করা হয়। মনীষ পালের সঞ্চালনায় সূচনালগ্নে স্বরচিত কবিতা পাঠের আসরে নিজেদের লেখা কবিতা পড়ে শোনান কবি ভজন সরকার, মুস্তাফিজ রহমান , ননীগোপাল দেবনাথ এবং জামানা হাসিনা। এরপর আজিজুল হক ও ইফাত আরার প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন এলামনাই পরিবারের সদস্যদের মধ্য থেকে দিয়া সান্যাল , সাজ্জাদ বাপ্পি, ফারাহ তাহসিন বৃষ্টি , অংকুশ বণিক, মাসুদ চৌধুরী, গোলাম মহিউদ্দিন ও ইয়াসমিন খায়ের দম্পতি , তন্দ্রা চক্রবর্তী , নাসিমা দেওয়ান মোনা, মনির আকন ,মুক্তিপ্রসাদ, সুমি বর্মন এবং দীপ্তি জাহান। শিল্পীরা রবীন্দ্র সঙ্গীত থেকে শুরু করে সাঁওতালি , পুরনো দিনের গান থেকে আধুনিক, নানান ঢংয়ের সব গান পরিবেশন করে দর্শক শ্রোতাদের বিপুল প্রশংসা অর্জন করেন। অনুষ্ঠানে তবলা সংগত করেন বিশিষ্ট তবলা শিল্পী শ্রীবাস রায়। অনুষ্ঠানে অতিথি শিল্পী ছিলেন টরন্টোর জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বিজয় চক্রবর্তী। সব্যসাচী শিল্পী মান্না দের গান শুনিয়ে দর্শক শ্রোতাদের মন কেড়ে নেন I অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল স্বপ্না দাস এর অভিনয়ে ও পরিচালনায় হাসির নাটক লেটু। নাটকে আরো অভিনয় করেন টরন্টোর বিশিষ্ট মঞ্চ অভিনেতা মানিক চন্দ ও চিত্ত ভৌমিক। অনুষ্ঠানের এবার প্রথম বারের মতো ব্যান্ড এর গান পরিবেশন করেন ব্যান্ডশিল্পী তুষার ও তাঁর দল। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশে বিদেশে টিভির কর্ণধার নজরুল মিন্টো , সাপ্তাহিক আজকালের সম্পাদক বিদ্যুত সরকার , এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশী ইঞ্জিনিয়ার্স অন্টারিও এর প্রাক্তন সভাপতি রেজাউর রহমান , বিশিষ্ট ফটো সাংবাদিক বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব টরন্টোর প্রাক্তন সভাপতি মির্জা শহীদুর রহমান এবং টরন্টোর বিভিন্ন এলামনাই এসোসিয়েশন এর কর্মকর্তা বৃন্দ। পুরো অনুষ্ঠানে আগত এলামনাই সদস্য, পরিবার ও অতিথিদের আলোকচিত্র ধারণ করেন এলামনাই সদস্য তরুণ ফটোগ্রাফার সাব্বির হাসান এবং মোহাম্মদ হাসান। অনুষ্ঠান উপলক্ষে এলামনাই সদস্যদের স্মৃতিকথা ও নিবন্ধ নিয়ে একটি দৃষ্টিনন্দন স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে রহমতুল্লাহ মহি, বাদশা আলম , ইউসুফ তালুকদার , সহিদ উদ্দিন হিরণ এর সৌজন্যে অনুষ্ঠিত হয় রাফেল ড্র। শত শত উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে লটারীর মাধ্যমে দশজন বিজয়ীকে পুরস্কৃত করা হয়। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে ম্যাগাজিনের প্রধান বিজ্ঞাপনদাতা মনির ইসলাম , শান দে , গৌতম পাল, আসাব উদ্দিন খান, রাসেল সিদ্দিকী, বার্নার্ড দিলীপ মজুমদার এবং অন্যান্য বিজ্ঞাপনদাতা ও পৃষ্ঠপোষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। চাঁদনী বান্কোয়েট হলের্ বুফে খাবার দিয়ে অতিথিদের নৈশভোজে আপ্যায়িত করা হয় ।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2gVDdTZ
December 05, 2016 at 05:26AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন