মোঃ আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে সুরমা নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে উপজেলার মাহতাবপুর গ্রামের প্রায় ১০টি পরিবার। নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের দূর্ভোগ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব পরিবারের বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় পুরো গ্রামের লোকজনের মধ্যে চরম আতংকের বিরাজ করছে। মাথা গোজাঁর ঠাঁই হারিয়ে এখন গৃহহারা হচ্ছেন অনেক পরিবার। নদী ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো নিয়ে গৃহকর্তারা পড়েছেন চরম বিপাকে। এসব পরিবারের কথা চিন্তা করে জরুরী ভিত্তিতে নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এদিকে, নদী ভাঙ্গনের খবর পেয়ে সোমবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিতাভ পরাগ তালুকদার এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এরপর বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক ও বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডটকম’র সম্পাদক এমদাদুর রহমান মিলাদ, প্রেসক্লাব কোষাধ্যক্ষ ও ডেইলি বিশ্বনাথ ডটকম’র সম্পাদক মোহাম্মদ আলী শিপন, প্রেসক্লাব সদস্য নূর উদ্দিন নদী ভাঙ্গন মাতহাবপুর গ্রাম পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের মাহতাবপুর গ্রামের সুরমা নদীর তীরে নতুন করে ভাঙন দেখা দেয় গত দুই তিন দিন ধরে। নদী ভাঙ্গনে তিন দিনে মাহতাবপুর গ্রামের প্রায় ১০টি পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এলাকায় নদী ভাঙন রোধে ব্লক বসানো হয়। বর্তমানে এই ব্লকের পূর্বদিকে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। অতিদ্রুত ভাঙন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে অনেকের বসতভিটা ভাঙনের ফলে নদী গর্ভে বিলীত হতে চলেছে। ২০০৯ সাল থেকে এপর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিক বাড়ি-ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। গত তিন দিনে মাহতাবপুর গ্রামের আছকর আলী, বিলাল উদ্দিন, গাবরু মিয়া, আবদুর নূর, মোহাম্মদ আলী, শহিদ মিয়া, রুশন আলী, শামছুল হক, জিয়াউল হকসহ প্রায় ১০টি পরিবার নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
পরিদর্শনকালে সোমবার বিকেলে নদী ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নদী ভাঙনের ফলে বেশ কয়েকটি পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। তাদের আর্তনাতে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সংবাদকর্মী এসেছেন শুনে এলাকার শতশত মানুষ জুড়ো হতে দেখা যায়। এসময় তারা নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লোকজনকে শান্তনা দেয়ার চেষ্ঠা করছেন।
নদী ভাঙ্গনের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিতাভ পরাগ তালুকদার সোমবার বিকেলে পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তিনি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের খোঁজ খবর নেন। পরিদর্শনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সমাজসেবক এ কে এম দুলাল, স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল মিয়া, এমপি ইয়াহইয়া চৌধুরীর একান্ত সচিব আবু বক্কর প্রমুখ।
এব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ আবদুর নূর বলেন, নদী ভাঙনে পরিবারের নিয়ে গত দুইদিন ধরে খোলা আকাশে বসবাস করছি। গ্রামের বেশ কয়েক পরিবার নদী ভাঙনে কবলে পড়েছেন।
সমাজসেবক একে এম দুলাল বলেন, নদী ভাঙ্গনে এপর্যন্ত মাহতাবপুর গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরীকে বিষয়টি অবহিত করেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিতাভ পরাগ তালুকদার নদীর ভাঙন পরিদর্শনের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্র্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলে তিনি জানান।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2hj6doh
December 19, 2016 at 10:37PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন