মোঃ আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: হঠাৎ বিশ্বনাথে থেমে গেল জেলা পরিষদের নির্বাচনের আমেজ। এ নির্বাচন উৎসব মুখর পরিবেশ অনুষ্টিত হওয়ার কথা থাকলেও তা আর হয়নি। কারণ সাধারণ সদস্য পদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। ভোটের দিন বুধবার সকাল ৭টায় সদস্য পদের প্রার্থীরা জানতে পারেন তাদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। আবার অনেক প্রার্থী কেন্দ্র এসে জানতে পারেন ভোট স্থগিতের বিষয়টি। ভোটারাও ভোট দিতে এসে জানতে পারেন সাধারণ সদস্য পুরুষ পদের ভোটগ্রহন স্থগিত। এতে নির্বাচনী আমেজ কমে যায়। সদস্য পদে প্রার্থীদের এজেন্ডরাও প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু তারা কেন্দ্র এসে জানেন সদস্য পদের নির্বাচন স্থগিত। এমন খবর প্রার্থীরা তাদের সর্মথনকারী ও ভোটাদের মোবাইল ফোনে অবহিত করতে শুরু করেন। সদস্য পদের ভোটগ্রহন নেই শুনে অনেকেই ভোট কেন্দ্র এলাকা আসতে দেখা যায়নি। তবে কয়েকজন প্রার্থীদের ভোট কেন্দ্রের আশপাশ এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ ও মহিলা সদস্য পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও তেমন কোনো আমেজ লক্ষ করা যায়নি। ভোট কেন্দ্র ভোটারা এসে ভোট দিয়ে যেতে দেখা যায়। এ ওয়ার্ড ১০৪ জন ভোটার রয়েছেন। নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র এলাকায় আ.লীগ-বিএনপির শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা চলাচল করতে দেখা যায়।
সিলেট জেলা পরিষদের নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ড বিশ্বনাথ উপজেলা। এ ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য (পুরুষ) প্রার্থী নির্বাচন স্থগিত করেছেন নির্বাচন কমিশন। ২৭শে ডিসেম্বর একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এনিয়ে নির্বাচন স্থগিত ঘোষনা করা হয়েছে। সাধারণ সদস্য প্রার্থী মো.শামছুল ইসলাম হাই কোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন নং ১৫৮২৩/২০১৬ দায়ের করে রুল এবং অন্তবর্তিকালিন আদেশ লাভ করেছেন। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ হতে সিএমপি দায়ের করা হলে মাননীয় আপিল বিভাগ তা শুনানির জন্য আগামী ৫ জানুয়ারী ২০১৭ ইং তারিখ ধার্ষ করেন। এমতাবস্থায় সিলেট জেলার জেলা পরিষদের সাধারণ ওয়ার্ড নং ৯ এর সাধারণ সদস্য পদের ২৮ ডিসেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশন কর্তৃকপরবর্তী সিন্ধান্ত প্রদান না করা পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। এমন একটি প্রজ্ঞাপন প্রার্থীদের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।
ভোটার শামিম আহমদ বলেন, ভোট দিতে এসে জানতে পারি সাধারণ সদস্য পদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
সাধারণ সদস্য পদের নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিতাভ পরাগ তালুকদার বলেন, অন্য পদের ভোটগ্রহন শান্তিপূর্ণভাবে চলছে।
জেলা সিনিয়র নির্বাচনী কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম বলেন, এ ওয়ার্ডে উচ্চ আদালতে আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার এক প্রার্থীর বিপরীতে আপিল করেছে নির্বাচন কমিশন। আপিলের শুনানী হবে আগামী ৫ জানুয়ারি। ফলে সাধারণ সদস্য পদের ভোট স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে বাকি পদের জন্য ভোট গ্রহণ অনুষ্টিত হয়েছে।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2ignsdH
December 28, 2016 at 12:13PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন