কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিত

নিজস্ব প্রতিবেদক ● কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষকের হাতে একই বিভাগের অপর এক শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে সাধারণ ডায়েরি নেয়নি থানা। লাঞ্ছনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার উপাচার্যের সাথে দেখা করেছেন শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দসহ শিক্ষকরা। রবিবার লাঞ্ছনার উপযুক্ত বিচারের আবেদন করে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। গত ১৬ ডিসেম্বর ইংরেজি বিভাগের ইভনিং মাস্টার্স (ইএমএ) প্রোগ্রামের প্রশ্ন মডারেশনের স্থান নিয়ে এ ঘটনা ঘটে।

ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আবুল হায়াতকে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সভাপতি এম.এম শরীফুল করীম লাঞ্ছিত করেন ও মারতে উদ্যত হন। শরীফুল করীম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য এবং কলা অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করছেন। লাঞ্ছনার শিকার শিক্ষক মো: আবুল হায়াত ও স্মারকলিপি সূত্রে জানা যায়, ১৬ ডিসেম্বর ইংরেজি বিভাগের পূর্বনির্ধারিত সান্ধ্যকালীন কোর্সের প্রশ্ন মডারেশনের জন্য বিভাগে উপস্থিত হন। এ প্রোগ্রামের ডিরেক্টর এবং ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ হারুন প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী প্রোগ্রাম ডিরেক্টরের কক্ষে (নিজ কক্ষে) প্রশ্ন মডারেশনের সভা আহবান করেন। কিন্তু মডারেশনের সদস্য এম.এম শরীফুল করীম প্রোগ্রাম পরিচালকের কক্ষে মডারেশনের সভায় অংশ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। তার কক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে দাবি করেন। অপর সদস্য নাদিয়া সারোয়ার প্রশ্ন মডারেশনের গুরুত্ব এবং গোপনীয়তার স্বার্থে তাকে প্রোগ্রাম ডিরেক্টরের কক্ষে যেতে অনুরোধ করেন।

পরে ভুক্তভোগী শিক্ষক মোঃ আবুল হায়াত প্রোগ্রাম ডিরেক্টরের কক্ষে সভায় অংশ নিতে এম,এম শরীফুল করীম অনুরোধ করলে তিনি রেগে বলেন, ‘তুমি বলার কে? আমার কক্ষেই সভা হবে।’ আবুল হায়াত নিয়মের কথা বললে শরীফুল করীম ক্ষিপ্ত হয়ে দ্রুত চেয়ার থেকে উঠে ‘তুমি চেন, আমি কে? ফাজিল, বদমাশ, বেয়াদব, শালা’ বলে উচ্চারণ করেন ও তেড়ে আসেন। ‘ইংরেজি বিভাগে হাজার বছর ধরে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করবো এবং আমি যা ইচ্ছা তাই করবো বলে শরীফুল করীম। এক পর্যায়ে তিনি গালিগালাজ করতে করতে আবুল হায়াতকে মারতে উদ্যত হন। অভিযোগের বিষয়ে এম. এম. শরীফুল করীম বলেন, ‘ঘটনার পিছনে তো দীর্ঘদিনের কারণ অবশ্যই আছে। এ অভিযোগের বিরুদ্ধে আমিও লিখিত দিয়েছি।’ এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আলী আশরাফ বলেন, ‘এটা পত্রিকায় লেখার বিষয় না। অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি নিয়ে যথাযথভাবে কাজ করা হবে।’

The post কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিত appeared first on Comillar Barta™.



from Comillar Barta™ http://ift.tt/2hG2TGT

December 21, 2016 at 11:18AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top