কানাডায় বাঙালি লেখক সম্মেলন অনুষ্টিত হয়েছে

b

সিবিএনএ (টরন্টো) কানাডা থেকে।। টরন্টো এবং পাশ্ববর্তী শহরগুলোর লেখক এবং সাহিত্যপ্রেমীদের সমন্বয়ে গত ৩ ডিসেম্বর বেঙ্গলি লিটারারি রিসোর্স সেন্টারের (বিএলআরসি) উদ্যোগে উদযাপিত হয় ‘বাঙালি লেখক সম্মেলন’। ড. রাখাল সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন টরন্টো পোয়েট লরিয়েট অ্যান মাইকেলস, মুক্তচিন্তক আকবর হোসেন, কবি অশোক চক্রবর্তী এবং টরন্টোর ইস্ট অ্যান্ড আর্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিন্ডি রোজবুম।

টরন্টো পোয়েট লরিয়েট তাঁর বক্তৃতায় উল্লেখ করেন, টরন্টো শহরের ১৫০টি ভাষার মধ্যে বাংলা অন্যতম, যা সামাজিক সংহতি এবং সাংস্কৃতিক বহুমুখীনতার জন্য উল্লেখযোগ্য। তিনি আরো বলেন, সাহিত্য আমাদের আশা-ভরসা, ভাষা আমাদের শক্তি। ভাষা এবং সাহিত্য মিলে একটি সৃজনশীল সমাজ গঠনে সহায়তা করে, যে সাহিত্য আবার সেই সমাজ থেকে সৃষ্টি হয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আমাদের প্রত্যাশিত সমাজে লেখকদের ভূমিকা সর্বদাই আরো গুরুত্বপূর্ণ হবে। তিনি বিএলআরসি-র উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, এ ধরনের চমকপ্রদ উদ্যোগ আগে কখনো হয়নি এবং এই আয়োজন আমাদের শহরকে আরো সৃষ্টিশীল ও স্পন্দনময় করে তুলবে।

রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী নন্দিতা গোমসের পরিচালনায় এই অনুষ্ঠানে ‘বিএলআরসির সাহিত্য পত্রিকা’র উদ্বোধনী সংখ্যার উন্মোচন করা হয়। এতে কানাডাবাসী সাতষট্টি জন বাঙালি লেখকের বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় রচিত গল্প-কবিতা-প্রবন্ধ ও অন্যান্য লেখা ছাপানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে পেন কানাডার সভাপতি র‌্যান্ডি বয়াগোডার অনুপস্থিতিতে তাঁর পাঠানো শুভেচ্ছাবার্তা পাঠ করেন সূচনা দাস বাঁধন।

উদ্বোধনী পর্বে বিএলআরসি-র নির্বাহী পরিচালক এবং পত্রিকার প্রধান সম্পাদক সুব্রত কুমার দাস সংগঠনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিয়ে আলোকপাত করেন। তিনি জানান এখন থেকে প্রতি বছর টরন্টোতে বাঙালি লেখক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে এবং সম্মেলন উপলক্ষে পত্রিকাটির নতুন সংখ্যা প্রকাশিত হবে। পরবর্তী সম্মেলন হবে গ্রীষ্মকালে। কানাডাবাসী সকল বাঙালি লেখককে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে লেখা দেবার জন্যে তিনি আহ্বান জানান।

উদ্বোধন ছাড়াও অনুষ্ঠানটি তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। পর্ব তিনটি পরিচালনা করেন চয়ন দাস, শেখর গোমেজ ও রেজা অনিরূদ্ধ। আলোচনায় অংশগ্রহণকারী লেখকদের মধ্যে ছিলেন আকবর হোসেন, ফরিদ আহমেদ, মামুনুর রশীদ, হাসান মাহমুদ, শুজা রশীদ, সখা নির্বাণা, সব্যসাচী নাগ, রোকসানা লেইস এবং সুজিত কুসুম পাল। জানা অজানা নানান প্রশ্নের মাধ্যমে কথোপকথন চলে লেখকদের সঙ্গে। আলোচনার বিষয়ের মধ্যে ছিল প্রথম বই প্রকাশের অনুভূতি, প্রবাসে বসবাস করে বাংলা ভাষায় লেখালেখি করার সীমাবদ্ধতা, লেখকদের অনুপ্রেরণার উৎস ইত্যাদি। স্বরচিত লেখা থেকে পাঠ পর্বে অংশ নেন অখিল সাহা, ঋতুশ্রী ঘোষ, জামানা হাসিনা, জাহানারা বুলা, ননীগোপাল দেবনাথ, মানজু মান আরা, মেহরাব রহমান, রোজানা নাসরিন, যুথিকা বড়ুয়া, রেজা সাত্তার এবং সুরাইয়া কিবরিয়া উর্মী।

উল্লেখ করা যেতে পারে যে, প্রবাসী বাঙ্গালি লেখকদের ভাবনা ও রচনা কানাডার বাঙালি-অবাঙালি কমিউনিটির পাঠকদের কাছে পৌঁছনোর উদ্দেশ্যেই বিএলআরসি-র সৃষ্টি।



from মধ্যপ্রাচ্য ও দূরপ্রাচ্য – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2h1eHAB

December 07, 2016 at 10:39AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top