সিলেটে যাঁরা সদস্য নির্বাচিত হলেন

নুরুল হক শিপু :: উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে জমে ওঠেছিল সদস্য প্রার্থীদের প্রচারণায়। কিন্তু শেষ সময়ে ৫টি ওয়ার্ডের নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় উৎবের এ নির্বাচনে কিছুটা ভাটা পড়ে। তবে সদস্য পদে অনুষ্ঠিত ১০টি ওয়ার্ডে ১০ জন এবং ৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৫ জন নারী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সিলেটের জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন তাঁদের নাম ঘোষণা করেন।
সংরক্ষিত ৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডে জহুরা রওশন জেবীন বিজয়ী হয়েছেন। বই প্রতীকে তাঁর প্রাপ্ত ভোট হচ্ছে ৮০টি। তাঁর নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী হেলেন আহমদ ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ৬৭ ভোট।
সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ডে তামান্না আক্তার হেনা মাইক প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১৪১ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রার্থী তসলিমা বেগম হরিণ প্রতীকে পেয়েছেন ৭৪ ভোট।
সংরক্ষিত ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সুষমা সুলতানা রুহি দোয়াত-কলম প্রতীকে ১৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রহিমা বেগম রব্বানী হরিণ প্রতীকে পেয়েছেন ৯০ ভোট।
সংরক্ষিত ৪ নম্বর ওয়ার্ডে হাসিনা বেগম ফুটবল প্রতীক নিয়ে ১২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাজিরা বেগম হরিণ প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১০৬টি।
সংরক্ষিত ৫ নম্বর ওয়ার্ডে সাজনা সুলতানা হক চৌধুরী ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৮৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনিরা বেগম হরিণ প্রতীকে পেয়েছেন ৭৪ ভোট।
সাধারণ সদস্য পদে ২ নম্বর ওয়ার্ডে দু’জন প্রার্থীর ভোট সমান হওয়ায় লটারির মাধ্যমে একজনকে নির্বাচিত করা হয়। এই ওয়ার্ডে মো. মতিউর রহমান হাতি প্রতীকে ১৭ এবং গোলাম কিবরিয়া হিরা মিয়া টিউবওয়েল প্রতীতে পান ১৭ ভোট। পরে লটারি করে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন মো. মতিউর রহমান।
৪ নম্বর ওয়ার্ডে মো. মুহিবুল হক তারা প্রতীক নিয়ে ৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামসুল হক আফতাব টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৮ ভোট।
৫ নম্বর ওয়ার্ডে মো. শাহপরাণ তালা প্রতীক নিয়ে ৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন দুজন। তাঁরা হলেন, মো. জামাল উদ্দিন (হাতি) ও সুভাষ চন্দ্র পাল (টিউবওয়েল)। তাঁদের দুজনেরই প্রাপ্ত ভোট ১২টি করে।
৬ নম্বর ওয়ার্ডে আটোরিকশা প্রতীকে ৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. জয়নাল আবদীন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাজিম উদ্দিন তালা প্রতীকে ২৪ ভোট পেয়েছেন।
৭ নম্বর ওয়ার্ডে হাতি প্রতীক নিয়ে ৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন লোকন মিয়া। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ এমএ কাইয়ুম টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ৩০ ভোট।
১০ নম্বর ওয়ার্ডে স্যায়িদ আহমদ সুহেদ ক্রিকেট ব্যাট প্রতীক নিয়ে ৩৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল হানিফ খান বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে ২০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।
১১ নম্বর ওয়ার্ডে এম. মুজিবুর রহমান মুজিব ঘুড়ি প্রতীকে ২২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ হাছিন আহমদ মিন্টু বেহালা প্রতীকে ১৯ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
১২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. নজরুল ইসলাম ক্রিকেট ব্যাট প্রতীকে ২৪ ভোট এবং শামীম আহমদ তালুকদার বেহালা প্রতীকে ২৪ পাওয়ায় লটারি করা হয়। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হন মো. নজরুল ইসলাম।
মোহাম্মদ শামীম আহমদ বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে ৫১ ভোট পেয়ে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু জাফর মো. রায়হান টিউবওয়েল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২৫টি।
মো. আছলাম উদ্দিন ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে ২৬ ভোট পেয়ে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিরাজুল ইসলাম টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ১৬ ভোট।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2isLJdN

December 29, 2016 at 10:25AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top