মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মানসিক স্থিতিশীলতা নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের তিনজন অধ্যাপক। মনোবিদ্যার এই অধ্যাপকরা বিষয়টি জানিয়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছে চিঠিও লিখেছেন।
হাভার্ড মেডিকেল স্কুল এবং ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার এই তিন মনোবিদ বারাক ওবামাকে লেখা চিঠিতে বলেছেন, আসছে জানুয়ারি মাসে ক্ষমতা গ্রহণের আগে ট্রাম্পের পূর্ণ শারীরিক ও স্নায়ুবিক মনোরোগের মূল্যায়ন বা পরীক্ষা করা দরকার। তাঁরা বলছেন, এত সমালোচনার পরও ট্রাম্প যেভাবে অতিসংবেদনশীলতা ও আড়ম্বর দেখাচ্ছেন সেটাই তাঁদের আশঙ্কার কারণ।
হাফিংটন পোস্টে এই চিঠিটি প্রকাশিত হয়েছে। অধ্যাপক জুডিথ হারম্যান, নানেট গারটেল ও ডি মোশবাচের সা করা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘একজন জনপ্রতিনিধি যাঁকে আমরা ব্যক্তিগতভাবে চিনি না তাঁর পরীক্ষার করার বিষয়টি আমাদের পেশাগত নীতির মধ্যে পড়ে না। তবে বিভিন্ন সময়ে তাঁর মানসিক অস্থিরতার লক্ষণ প্রকাশিত হওয়া এবং বাস্তবতা ও কল্পনার জগতের মধ্যে পার্থক্য করতে না পারার কারণে হোয়াইট হাউসের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানের দায়িত্ব নেওয়ার সক্ষমতা আছে কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।’
এর আগে গত আগস্ট মানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচারব্যবস্থা এবং মেজাজের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনে অক্ষম বলে মন্তব্য করেছিলেন বারাক ওবামা।
এ ছাড়া গত জুন মাসে আটলান্টিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একজন মনোবিজ্ঞানী দাবি করেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প আত্মপ্রেম, আড়ম্বর এবং ভিন্নমতসম্পন্ন ব্যক্তি।
রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ী এই ধনাঢ্য ব্যক্তি প্রায়ই মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারে বিভিন্ন ধরনের আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেন। বিশেষ করে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বিদের উদ্দেশ্য করে নানা বক্তব্য দেন তিন। অনেক সময় যা দীর্ঘদিন ধরে লালিত পররাষ্ট্র নীতিকেও লঙ্ঘণ করেন।
from যুক্তরাজ্য ও ইউরোপ – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2gSCyBb
December 19, 2016 at 08:22PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.