কলকাতা, ০২ ডিসেম্বর- বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিভিন্ন টোল প্লাজায় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি ছিল, রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গে সেনা নামিয়েছে। যতক্ষণ না সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে, ততক্ষণ তিনি নবান্নেই থাকবেন বলে জানিয়ে দেন। সেনাবাহিনীকে সরানো তো হয়ইনি, বরং প্রতীরক্ষামন্ত্রী ও সেনাকর্তারা জানিয়ে দেন যে, এটা একটি নিয়মিত সমীক্ষার কাজ। মালবাহী গাড়ি কোথায়, কোন সময়ে, কত চলছে তার পরিসংখ্যান তৈরি করাই এই সমীক্ষার লক্ষ্য। এর সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলার কোনও যোগ নেই। সমস্ত চিঠি প্রকাশ করে সেনাবাহিনী দাবি করে, এই কাজ রাজ্য সরকার ও পুলিশকে জানিয়েই করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সারা রাত নবান্নেই কাটান। শুক্রবার সারাদিনের পর, সন্ধে নাগাদ নবান্ন ছাড়ার আগেও মুখ্যমন্ত্রী নিজের অবস্থানেই অনড় থাকেন। তিনি বলেন, কোনও অনুমতি নিয়ে করা হয়নি এই সেনা মোতায়েন। আমি কোনওদিন এরকম কিংকর্তব্যবিমূঢ় দিশাহীন দাম্ভিকতা কখনও দেখিনি। যা বলা হচ্ছে, তা সর্বৈব মিথ্যে। ভুল প্রচার করা হচ্ছে। এটা সাজানো গল্প। কোনও জায়গায় জানানো হয়নি এটা। তিনি হুমকি দেন, নবান্ন-র ২০০ মিটার-এর মধ্যে আর্মি পাঠিয়ে দিয়েছে। এগুলো কাম্য নয়। এরা যদি সেনা না তোলে, আমরা আইনত ব্যবস্থা নেব। মমতা আরও দাবি করেন, সেনাবাহিনীকে দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হচ্ছে। কারণ নোট বাতিল নিয়ে আমরা মানুষের দুর্ভোগের কথা বলছি। ধমকে চমকে চক্রান্ত করে আমাদের থামানো যাবে না। কোটি কোটি কালো টাকা রয়েছে বিদেশের ব্যাঙ্কে। সেগুলো কোথায়? কালো টাকা যাদের রয়েছে, লাভ তো তাদেরই হয়েছে। চা বাগানের শ্রমিকরা, মজুররা মাইনে পাচ্ছেন না। একটা অর্থনৈতিক মরুভূমি তৈরি হয়েছে। এই আন্দোলন বাড়বে, কমবে না। ইতিমধ্যেই ৮৪ জন মারা গিয়েছে এই ঘোষণার পর থেকে। আর কতজন মারা যাবে, মোদীবাবুকে প্রশ্ন করতে পারেন? আজ যখন সন্ধ্যা ছটা নাগাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন ছাড়ছেন তখন তিনি নিজেই বলেন, এখনও ৩-৪ জায়গায় সেনা রয়েছে। সংসদে মিথ্যে তথ্য দেওয়া হয়েছে। কাল সকালবেলা আমরা কাজে এসেছিলাম। দুদিন পরপর অফিস করছি। আর্মি যতক্ষণ না যাবে, আমরা যাব না, কথা দিয়েছিলাম। আমরা কথা রেখেছি। সেনাবাহিনীর তরফে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, পূর্ব পরিকল্পনা মতো শুক্রবার মাঝরাত পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় এই সমীক্ষা তারা চালিয়ে যাবে।



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2gQfO6k
December 03, 2016 at 04:01AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top