বান্দরবান প্রতিনিধি:
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি বলেছেন, অস্ত্র কোনো সমস্যার সমাধান নয়। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে। পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য। চার খন্ডে বিভক্ত চুক্তিতে ৭২টি ধারা রয়েছে। যারমধ্যে ৪৮টি শতভাগ বাস্তবায়িত হয়েছে। আর ১৫টি ধারা আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে। এছাড়াও বাকি ৯টি ধারা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত যেমন হয়েছে, তেমনটি চুক্তির শতভাগ বাস্তবায়নও করা হবে। কিন্তু ধৈয্য ধারণ করতে হবে। চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি বলে মিথ্যাচার করার যুক্তিকতা নেই। অস্ত্র আন্দোলন ছেড়ে উন্নয়নের পথে ফিরে আসুন। আজ শুক্রবার দুপুরে বান্দরবানের স্থানীয় রাজারমাঠে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে পার্বত্য শান্তি চুক্তির ১৯ বর্ষপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ঘ খন্ডের ১৭ (ক) ধারা অনুসারে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ২৩৮টি সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছে। চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৩৩টি বিভাগের মধ্যে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নিকট ৩০টি এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের কাছে ২৮টি বিভাগ হস্তান্তর করা হয়েছে। অবশিষ্ট বিভাগগুলো হস্তান্তরের প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর ভারত থেকে প্রত্যাগত এ পর্যন্ত ১২ হাজার ২২৩টি পরিবারকে পূর্ণবাসন করা হয়েছে। তাদেরকে সরকার প্রতিবছর ১৫, ৫১৪.২৬৯ মে.টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ করে থাকে। প্রতিমাসে প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষকে ২১.৭০ কেজি চাল এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক মানুষকে ১০.৮৫ কেজি চাল প্রদান করা হচ্ছে।
এদিকে তারআগে স্থানীয় রাজারমাঠে বেলুন উড়িয়ে চুক্তির ১৯তম বর্ষপূর্তির কর্মসূচীর উদ্ধোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি। এছাড়াও সেনাবাহিনীর উদ্যোগে গরীব অসহায় সহস্রাধিক মানুষদের বিনামুল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরে প্রতিমন্ত্রী সেনা রিজিয়নের উদ্যোগে জেলা সদরের সহস্রাধিক গরীব দুস্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র এবং দশটি বিদ্যালয়ের ৫শ ছাত্রছাত্রীকে শিক্ষা সামগ্রি বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বান্দরবান ৬৯ সেনা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রীগেডিয়ার জেনারেল যুবায়ের সালেহীন, সেনাবাহিনীর সদর জোন কমান্ডার গোলাম মহিউদ্দিন হাওলাদার, পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, জেলা পুলিশ সুপার সনজিব কুমার রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হারুনুর রশীদ, জেলা সিভিল সার্জন উদয় শংকর চাকমা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রসঙ্গত: ১৯৯৭ সালের আজকের এদিনে ২রা ডিসেম্বর পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অক্লান্ত প্রচেষ্ঠায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সভাপতি জ্যেতিরেন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা প্রকাশ সন্তু লারমা’র আন্তরিকতায় জেএসএস এবং সরকারের মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
from আমাদের চট্টগ্রাম – NewsChittagong24.Com http://ift.tt/2guXgdP
December 02, 2016 at 09:01PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন