রাগীব আলী ও তার ছেলের উপস্থিতিতে ৭ সাক্ষীকে পুনরায় জেরা

1স্টাফ রিপোর্টার :: ভূমি ন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জাল করে সিলেটে তারাপুর চা-বাগানের হাজার কোটি টাকা মূল্যের দেবোত্তর সম্পত্তি দখলের মামলায় শিল্পপতি রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের উপস্থিতিতে সাতজন সাক্ষীকে পুনরায় জেরা করা হয়েছে। রোববার দুপুরে সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম সাঈদুজ্জামান হিরোর আদালতে সাক্ষীদের পুনরায় জেরা করা হয়। সাক্ষীরা হলেন তৎকালীন উপ-সচিব শাহ মো. ইমাদুল হক, সিলেটের তৎকালীন জেলা প্রশাসক এসএম ফয়সল আলম, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারী শাহনাজ পারভিন, মো. শফিকুল ইসলাম ও শরিফ উদ্দিন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দেওয়ান আবুল হোসেন এবং পুলিশ পরিদর্শক অরবিন্দ দত্ত। এর আগে আসামিরা পলাতক থাকা অবস্থায় মোট ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছিল। শিল্পপতি রাগীব আলীর ছেলে আবদুল হাই গ্রেফতার হলে গত ১৫ নভেম্বর পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবীরা। এ ছাড়া কারাগারে আটক রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের জামিন চেয়ে করা আবেদন করা হয়। আদালত জামিন বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৭ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছেন। আসামি পক্ষে সাক্ষীদের জেরা করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এরশাদুল হক ও অ্যাডভোকেট মঈনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে জেরায় অংশ নেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, এপিপি অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান ও অ্যাডভোকেট জসিমউদ্দিন। আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ জানান, আসামি পক্ষের পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণের আবেদনের প্রেক্ষিতে রাগীব আলীর ও ছেলে আবদুল হাইয়ের উপস্থিতে সাত সাক্ষীকে পুনরায় জেরা করা হয়েছে।  আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০০৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সংসদীয় স্থায়ী কমিটির নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। প্রথম দফায় পুলিশ তদন্ত করে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে নিষ্পত্তি করে। গত ১৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ তারাপুর চা-বাগান পুনরুদ্ধারের রায় দেন। উচ্চ আদালতের ওই রায়ে ১৭টি নির্দেশনার মধ্যে এ মামলাটি পুনরায় তদন্ত করার নির্দেশ দেয়া হলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুনরায় তদন্ত করে রাগীব আলী ও ছেলে আবদুল হাইকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে। গত ১০ আগস্ট দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে ওই দিনই রাগীব আলী ও আবদুর হাই পালিয়ে ভারতে চলে যান। প্রায় তিন মাস পর গত ১৩ নভেম্বর আবদুল হাই ভারতের করিমগঞ্জ থেকে সিলেটের জকিগঞ্জ হয়ে ফিরলে জকিগঞ্জ ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। রাতে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়। এরপর  গত ২৪ নভেম্বর ভারতের করিমগঞ্জে সে দেশের ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে আটক হন রাগীব আলী। পরে ওই দিন দুপুরে বিয়ানীবাজারের সুতারকান্দি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয় রাগীব আলীকে। ওই দিন বিকেলে আদালতে আনা হয় তাকে। সন্ধ্যায় রাগীব আলীকে কারাগারে  পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2gQ5Amn

December 04, 2016 at 09:46PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top