জলপাইগুড়ি, ২৭ ডিসেম্বরঃ জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলায় যক্ষার প্রকোপ নিয়ে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিন বছরে এই দুই জেলায় যক্ষায় আক্রান্ত হয়ে ১১৭ জন মারা গিয়েছেন। যক্ষায় আক্রান্ত প্রায় তিন হাজার বাসিন্দার চলছে চিকিত্সা। দুই জেলাতেই চা বাগানগুলিতে যক্ষা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম, মাদারিহাট, কালচিনি ব্লকেও যক্ষা ছড়িয়েছে অনেকটাই। শুধু চা বাগানই নয়, পার্শ্ববর্তী গ্রাম ও শহরগুলিতেও এর প্রকোপে বাড়ছে বলে জানা গিয়েছে। জলপাইগুড়ির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার জানান, চা বাগিচার যক্ষা আক্রান্ত প্রতিটি রোগীর জন্য বিনামূল্যে চিকিত্সা ও ওষুধের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
যক্ষার প্রকোপের কথা মাথায় রেখে জলপাইগুড়ির রানি অশ্রুমতি টিবি হাসপাতাল ও আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে একটি করে আধুনিক মেশিন দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুই জেলায় ৪৪ টি কফ পরীক্ষা কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে ২৭ টি জলপাইগুড়ি ও ১৭ টি আলিপুরদুয়ারে রয়েছে। দুই জেলায় যক্ষা নিবারণী কর্মসূচির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জলপাইগুড়ির যক্ষা নিবারণী অফিসার ডঃ গৌতম সরকার বলেন,‘চা বাগানের শ্রমিকদের বাসস্থানগুলিতে বেশিরভাগই স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নেই। এছাড়া মদে আসক্ত হওয়ার জের শ্রমিকরা বেশি করে যক্ষায় আক্রান্ত হচ্ছেন। দুই জেলাতেই যক্ষা রোগী চিহ্নিত করে ধারাবাহিকভাবে উপযুক্ত চিকিত্সা চালানো হচ্ছে।’
from Uttarbanga Sambad http://ift.tt/2ig3sHQ
December 28, 2016 at 01:32PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন