করাচি, ০৫ ডিসেম্বর- পাকিস্তানের করাচি নগরীর রিজেন্ট প্লাজা হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তা ছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪৫ জন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন দুইজন পাকিস্তানি ক্রিকেটারও। এরা হলেন - অলরাউন্ডার ইয়াসিম মুর্তজা ও লেগ স্পিনার কেরামত আলী। পাকিস্তানের ঘরোয়া লিগের দল ইউনাইটেড ব্যাংক লিমিটেডের (ইউবিএল) হয়ে খেলেন এ দুজন ক্রিকেটার। কায়েদ-ই-আজম ট্রফির অষ্টম রাউন্ডে অংশ নিতে ইয়াসিম-মুর্তজাসহ পুরো দলই রিজেন্ট প্লাজা হোটেলের চতুর্থ তলায় অবস্থান করছিল। রাত সাড়ে তিনটার দিকে লাগা এই ভয়াবহ আগুন থেকে নিজেদের বাঁচাতে গিয়েই পায়ে চোট পান ইয়াসিম ও কেরামত। আগুন লাগার পর হুড়োহুড়িতে পড়ে গিয়ে গোড়ালি হাড় ভেঙে যায় ইয়াসিমের। আর কেরামতের হাত ভেঙ্গে যায়। তবে দলের বাকি ক্রিকেটাররা সুস্থই আছেন। এ প্রসঙ্গে ইউবিএলের ক্রীড়া বিভাগের প্রধান নাদিম খান বলেন, হোটেলের চতুর্থ তলায় রাত ৩টা ৩০ মিনিটে ক্রিকেটাররা আগুন ও ধোঁয়া আঁচ করতে পেরে জেগে ওঠে। ইয়াসিম আতঙ্কে জানালা দিয়ে লাফ দিলে তার গোড়ালি ভেঙে যায়। কেরামত হাত ভাঙলেও বাকি খেলোয়াড়দের চোট অবশ্য গুরুতর নয়। তাদের নিরাপদ অবস্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। খেলোয়াড়েরা খুব ভয় পেয়েছে। আগুন লাগার পর ইউবিএলের খেলোয়াড়রা নাদিম খানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরবর্তীতে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে খেলোয়াড়দের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যান তিনি। সেই সঙ্গে ক্রীড়া বিভাগের প্রধান পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) নিকট সোমবারের খেলা স্থগিত করার জন্য অনুরোধ জানান। তার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতেই ইউবিএলের সঙ্গে হাবিব ব্যাংকের এদিনের খেলা স্থগিত করা হয়েছে। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের সময় পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য শোয়েব মাকসুদ, হাম্মাদ আযম ও সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার উমর আমিন হোটেল রিজেন্ট প্লাজায় ছিলেন। তবে অগ্নিকাণ্ডে তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি। নিরাপদেই হোটেল থেকে বেরিয়ে আসেন তারা। আর/১৭:১৪/০৫ ডিসেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2gYMA5A
December 06, 2016 at 05:29AM
05 Dec 2016

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top