চীনের সঙ্গে এবার টুইট যুদ্ধে জড়ালেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক – এবার চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন সদ্য নির্বাচিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে সামরিক যুদ্ধ নয়, বেজিংয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের যুদ্ধ জড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে। রবিবার চীনের বিরুদ্ধে বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া ও বেআইনিভাবে আর্থিক কর্তৃত্ব বজায় রাখার অভিযোগে একের পর টুইট-বোমা ছুঁড়েছেন ট্রাম্প।

টুইটে ট্রাম্প বলেছেন, চীন যদি তাদের মুদ্রার মান কমানো কিংবা বড় ধরনের সামরিক কমপ্লেক্স বানাতে চায়। আর তখন যদি এসব বিষ আমাদের সম্মতি আছে কি না জানতে চায়, তাহলে আমার মনে হয় উত্তর না বোধক হবে।

শুক্রবার (২ডিসেম্বর) ১৯৭৯ সাল থেকে চলে আসা মার্কিন নীতি লঙ্ঘন করে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘এক চীন নীতি’-র প্রতি সমর্থন জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭৯ সালে তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। তবে মার্কিন প্রশাসন তাইওয়ানের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্ক বজায় রাখে।

রবিবার(৪ ডিসেম্বর) ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ‘চায়না ডেইলি’তে প্রকাশিত এক সম্পাদকীয় ভাষ্যে এক প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, ‘এটা আদতে তার (ট্রাম্পের) অন্তবর্তী দলের অনভিজ্ঞতা ছাড়া আর কিছুই না।’ এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করায় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের তীব্র সমালোচনা করে চীন। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং হি সাইয়ের ফোন করাকে ‘পাতি কর্মকাণ্ড’ বলে উল্লেখ করেন।

একটি শিক্ষা বিষয়ক ফোরামে রাখা বক্তব্যে ওয়াং বলেন, এখানে কেবল তাইওয়ানের পক্ষ থেকেই পাতি কর্মকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। আর এর ফলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ‘এক চীন নীতি’-র কোনও পরিবর্তন হবে না। আমি বিশ্বাস করি, আপন এর ফলে বহুদিন ধরে চলে আসা মার্কিন সরকারের ‘এক চীন নীতি’-র কোনও পরিবর্তন আসবে না। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে।
ওই ফোরামে ওয়াং জানান, ট্রাম্প নির্বাচনে জয়ী হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাকে ফোন করে অভিনন্দন জানান। তখন ট্রাম্প চীনকে ‘মহান দেশ’ বলেও প্রশংসা করেন বলে ওয়াং উল্লেখ করেন। ওয়াং আরও বলেন, ট্রাম্প ও শি জিনপিং-এর কথায় চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও উন্নতির আভাস পাওয়া যায়।

ট্রাম্পের অন্তর্বর্তীকালীন উপদেষ্টা কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, শুক্রবার এক টেলিফোন সংলাপে যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্ক শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ট্রাম্প ও ইং-ওয়েন।

এর আগে এক টুইটার বার্তায় ট্রাম্প জানিয়েছেন, নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই তাকে অভিনন্দন জানাতে ফোন করেছিলেন। কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ব্যক্তির জন্য তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি কথা বলাটা খুবই বিরল।



from যুক্তরাজ্য ও ইউরোপ – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2gHyHKP

December 05, 2016 at 09:30PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top