ঢাকা, ২৫ ডিসেম্বর- প্রথম ফ্রেমেই স্বামীর লাশ নিয়ে বসে আছেন ত্রিশোর্ধ্ব রুবি। ছোট্ট ছ-সাত বছরের দাম্পত্য জীবনের ফুলস্টপে দাঁড়িয়ে তাঁর কোনও অনুভূতি হচ্ছে না। এমনকী ঘৃণাও নয়। ছয় বছরের সন্তানও সেই সম্পর্কে কোনও ছাপ আঁকতে পারছে না। প্রেম থেকে প্রেমহীন হয়ে যাওয়া একটা সম্পর্ক। যেখানে কবি স্বামীর মৃত্যুর পরও রুবির কোনও বেদনাবোধ কাজ করছে না। জীবিত থাকতেই কবির মৃত্যু ঘটেছে রুবির কাছে। ফলে কবির শারীরিক মৃত্যু তাঁকে নতুন কোনও হারানোর বোধে আচ্ছন্ন করছে না। আর এমন প্রেমহীনতার গল্প নিয়েই তাসমিয়াহ্ আফরিম মৌ-এর ১৫ মিনিটের ফিল্ম কবি স্বামীর মৃত্যুর পর আমার জবানবন্দি। জানলা খুলে দিল নারীর চোখে দেখা আর একটি ডিসকোর্সের। মূলত রুবির অনুভূতিহীনতার মনস্তাত্বিক বিশ্লেষণই মৌ-এর এই শর্ট ফিল্ম। ছবির ট্যাগ লাইনেই আছে, মৃত্যু মানুষকে কাছে টেনে আনে। কিন্তু এমন কাউকে কি কাছে টানতে পারে যে কাছেই ছিল? এই ছবি মুম্বাইয়ের ১৫তম থার্ড আই এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভালে জুরি স্পেশ্যাল মেনশন পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এ নিয়ে চারটি ফেস্টিভ্যালে দুটি পুরস্কার জিতে নিল ছবিটি। মৌ বললেন, ভাল লাগছে এই জন্য যে, মুক্তির প্রথম মাসেই নামকরা চারটে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণ এবং তার দুটো থেকেই পুরস্কার প্রাপ্তি। আর দেশে বিদেশে দুজায়গাতেই এই ফিল্মের সমাদর প্রমাণ করছে আমরা কানেক্ট করতে পেরেছি দর্শকের সাথে এবং চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের সাথেও। ছবিতে রুবি চরিত্রের দিলরুবা হোসেন শুধু এক্সপ্রেশনেই চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছেন। একটা সিকোয়েন্সে তিনি জলে ভেসেছেন, অথচ সাঁতার শেখেননি। পুরো টিমটাই ছিল অসাধারণ, বলছেন দিলরুবা। আর দিলরুবার নেপথ্য কন্ঠ শিল্পী জ্যোতিকা জ্যোতির কাছে ছবিটিতে একই সঙ্গে শূন্যতা ও মুক্তি হাত ধরাধরি করে হেঁটেছে। তবে এই মুক্তিতে আনন্দ নেই। আছে স্বস্তি! গত ২২ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ের দাদর-এ রবীন্দ্র নাট্যমন্দিরে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। চলতি মাসেই বাংলাদেশের ১৪তম আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসবে তারেক শাহারিয়ার বেস্ট শর্টফিল্ম পুরস্কার পেয়েছে এটি। গত ৩০ নভেম্বর ফ্রান্সের ৩৪তম ত্যুস কুউস ইন্টারন্যাশনাল শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভালে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। এ ছাড়াও পোল্যান্ডের জুবর অফকা ইন্টারন্যাশনাল শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভালে এ মাসেই অংশ নেয় এ স্বল্পদৈর্ঘের ছবিটি। এর আগে ২০১৪ সালে মৌয়ের নির্মিত তথ্যচিত্র টোকাই ২০১২ চিনের গুয়াংজু ইন্টারন্যাশনাল ডকুমেন্টারি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পেয়েছিল। কবি স্বামীর মৃত্যুর পর আমার জবানবন্দির প্রযোজক রুবাইয়াত হোসেন। এর সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন ইমরানুল ইসলাম, সম্পাদনা করেছেন সুজন মাহমুদ, সংগীত পরিচালনায় এসকে শান। অভিনয় করেছেন দিলরুবা হোসেন দোয়েল, আলি আহসান প্রমুখ।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2hjWTTC
December 25, 2016 at 04:45PM
এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ...
তুর্কি সিরিজ আরতুগ্রুলে মজেছেন ভারতের মুসলিমরা
07 Oct 20200টিমুসলিম বিশ্বে দারুণভাবে সাড়া ফেলে তুরস্কের টিভি সিরিজ দিরিলিস: আরতুগ্রুল। এখন কাশ্মীরসহ ভারতের মুসলি...আরও পড়ুন »
আবারো ভাইরাল শাহরুখকন্যার ছবি
07 Oct 20200টিমুম্বাই, ৭ অক্টোবর- উষ্ণতায় ভরা চোখ ঝলসানো ছবি শেয়ার করে ফের ভাইরাল হলেন বলিউড বাদশাহর কন্যা সুহানা ...আরও পড়ুন »
এবার সুশান্ত-ভক্তের আত্মহত্যার হুমকি
07 Oct 20200টিমুম্বাই, ০৭ অক্টোবর- বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর প্রায় চারমাস পার হলেও এখন পর্যন্ত তা...আরও পড়ুন »
প্রায় একমাস পর জামিন পেলেন রিয়া চক্রবর্তী
07 Oct 20200টিমুম্বাই, ০৭ অক্টোবর- ৯ দিন জেলে কাটিয়ে অবশেষে জামিন পেলেন সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্...আরও পড়ুন »
কাজলের বাগদান সম্পন্ন, বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন ৩০ অক্টোবর
07 Oct 20200টিমুম্বাই, ৭ অক্টোবর- তামিল, তেলেগু ও হিন্দি ছবির জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল আগারওয়ালের বিয়ের গুঞ্জন শোনা ...আরও পড়ুন »
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.