মুম্বাই, ২৯ ডিসেম্বর- চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম মানে বেঙ্গালুরু। এই স্টেডিয়ামে ভারত একের পর এক ম্যাজিক দেখিয়েছে। ১৯৯৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই চিন্নাস্বামীতেই। বিরাট কোহলি ও অনুষ্কা শর্মা নাকি দিন তিনেকের মধ্যেই স্থির করে ফেলবেন তাঁদের বিয়ের দিন ক্ষণ। এই দুই তারকাকে নিয়ে বিস্তর কালি খরচ হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। কখনও তাঁদের সম্পর্ক ভাঙা নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে। আবার কখনও তাঁদের সম্পর্ক জোড়া লেগেছে বলে শোনা গিয়েছে। জীবনের এমন সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে অনুষ্কা নস্ট্যালজিয়ায় আক্রান্ত। পিছিয়ে গেলেন সেই কবেকার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম মানে বেঙ্গালুরু। এই স্টেডিয়ামে ভারত একের পর এক ম্যাজিক দেখিয়েছে। ১৯৯৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই চিন্নাস্বামীতেই। সে বার অজয় জাদেজা স্লগ ওভারে ব্যাট করতে নেমে ওয়াকার ইউনিসের বোলিং-এ প্রবল মেরেছিলেন। আমির সোহেল ভারতের পেসার ভেঙ্কটেশ প্রসাদের উদ্দেশে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন। তার পরের বলেই প্রসাদ উড়িয়ে দিয়েছিলেন সোহেলের উইকেট। পাকিস্তানকে নিকেশ করে দিয়ে ভারত সে বারের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল। সেই চিন্নাস্বামীতে একবার গিয়েছিলেন অনুষ্কা ও তাঁর ভাই। তখনও অনুষ্কা এখনকার অনুষ্কা হননি। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পা রেখে তো অবাক অনুষ্কা। দেখেন, একটা শ্যুটিংয়ের কাজে সেখানে হাজির হয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়ও। অনুষ্কার ভাই দ্রাবিড়কে দেখে আর স্থির থাকতে পারেননি। দ্য ওয়াল-এর সই নেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। কিন্তু অনুষ্কার ভাই খুবই লাজুক স্বভাবের ছেলে। কিছুতেই সই নওয়ার জন্য অগ্রসর হচ্ছিলেন না। ইতস্তত করছিলেন। অনুষ্কা তা বুঝতে পেরে এগিয়ে যান। স্মৃতিরোমন্থন করে অনুষ্কা বলছিলেন, আমার আবার ভয়ডর ব্যাপরাটা কমই ছিল। তাঁর ভাইয়ের হাতে ছিল পেন ও ডায়েরি। অনুষ্কা ভাইয়ের হাত থেকে তা কেড়ে নিয়ে সটান চলে গেলেন দ্রাবিড়ের কাছে। চেয়ে বসলেন দ্রাবিড়ের সই। দ্রাবিড় অনুষ্কার হাত থেকে পেনটা নিয়ে সই দিলেন। কিন্তু পেনটা তখনই ফেরত দেননি অনুষ্কাকে। অনুষ্কার মতোই আরও কয়েক জন দ্রাবিড়ের সইয়ের আশায় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। দ্রাবিড় কারোকে নিরাশ করার বান্দা নন। তিনি অনুষ্কার হাত থেকে নেওয়া পেন দিয়েই বাকিদের সই দিতে থাকেন। অনুষ্কা বেশ কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন সেখানে। পরে নিজেই এগিয়ে গিয়ে দ্রাবিড়ের কাছ থেকে পেনটা চেয়ে নেন। সেই দিনের এই অভিজ্ঞতা এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি বলেছেন অনুষ্কা। তার পরেই নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি তিনি। সশব্দে হেসে ওঠেন বলিউডের জনপ্রিয় এই তারকা। সেই সাক্ষাৎকারে দ্রাবিড় প্রসঙ্গে অনুষ্কা বলেন, দ্রাবিড় খুব ভদ্র ক্রিকেটার। দ্রাবিড়ের সেই দিনের কথা মনে আছে কিনা জানা নেই। অনুষ্কার এই সাক্ষাৎকার শুনে থাকলে হয়তো ফিরে যাবেন সেই দিনের চিন্নাস্বামীতে। মনে করার চেষ্টা করবেন সেদিনের ঘটনা। আর/১০:১৪/২৯ ডিসেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2iiaOsh
December 30, 2016 at 05:55AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন