কলকাতা, ২৫ ডিসেম্বর- ভারতে গ্রেপ্তার সন্দেহভাজন আইএস সমর্থক ও জেএমবি সদস্য মোহাম্মদ মুসা কলকাতার মাদার হাউসে হামলার ছক কষেছিল বলে জানিয়েছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)। পার্ক স্ট্রিট ও শিয়ালদা রেল স্টেশনের মাঝে আচার্য জগদীশ চন্দ্র বোস সড়কের অবস্থিত এই বাড়ি যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র। প্রয়াত মাদার তেরিজার দাতব্য প্রতিষ্ঠান এটার পরিচালনায় রয়েছে। এনআইএর এক কর্মকর্তা বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে হামলার প্রতিশোধ হিসেবে আমেরিকান, ব্রিটিশ, রুশ ও ইউরোপীয় পর্যটকদের হত্যা করতে চেয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার লাভপুরে বেড়ে উঠা মুসাকে চলতি বছর ৪ জুলাই বর্ধমান রেল স্টেশনে একটি ট্রেন থেকে ছুরিসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে কলকাতার হাই সিকিউরিটি আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে রাখা হয়েছে। জিজ্ঞাবাদে তদন্ত কর্মকর্তাদের মুসা বলেছে, আইএস নেতৃত্বের কাছে মাদার হাউসের মতো বড় ধরনের হামলার জন্য সাহস ও সক্ষমতার প্রমাণ দিতে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল তার। হত্যাকাণ্ডের চিত্র ধারণের জন্য একটি ক্যামেরাও গ্রেপ্তারের সময় তার সঙ্গে ছিল। জুলাইয়ের শুরুতে ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলা ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে মুসার যোগাযোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি কলকাতায় তাকে জেরা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই ও বাংলাদেশের র্যাীবের গোয়েন্দারা। এনআইএ কর্মকর্তারা বলছেন, মুসা মোবাইল অ্যাপ টেলিগ্রামের মাধ্যমে আবু সুলাইমান নামে এক আইএস সদস্যের সঙ্গে কলকাতায় হামলার বিষয়ে আলোচনা করতো। এই আবু সুলাইমানকে ঢাকা হামলার একজন হোতা মনে করা হয়। পশ্চিমবঙ্গম, তামিল নাডু ও কর্ণাটক রাজ্যে পুলিশ চেষ্টার পরও সুলাইমানকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এগুলোর কোনো একটি রাজ্যে তিনি লুকিয়ে রেখেছেন বলে ধারণা করা হয়। এনআইএ কর্মকর্তারা বলেন, মুসা ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন সদস্য সাফি ওমরসহ আইএস ও জেএমবি জঙ্গিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখতেন। মুসার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযুক্ত করা হলেও এবছরই কলকাতায় গ্রেপ্তার সন্দেহভাজন ছয় জেএমবি সদস্যকে জাল পরিচয়পত্র ও অবৈধভাবে বিদেশি মুদ্রা বহনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এদের মধ্যেব আবুল হোসেন ফারুক ওরফে ইনাম জেএমবির পশ্চিমবঙ্গ শাখার প্রধান। আর মাওলানা ইউসুফ ওরফে আবু খেতাব তার প্রধান সহযোগী এবং পশ্চিমবঙ্গে সংগঠনের সমন্বয়নের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। বর্ধমান বিস্ফোরণের ঘটনায় তাকে ধরিয়ে দিতে ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছিল এনআইএ। এছাড়া জাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ রুবেল, শাহিদুল ইসলাম ও আবদুল কালাম খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। কালামকে ধরিয়ে দিতে তিন লাখ এবং রুবেলের জন্যল এক লাখ রুপি পুরস্কারের ঘোষণা ছিল। আর/১৭:১৪/২৫ ডিসেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2hehipD
December 25, 2016 at 11:40PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন