ফারুক আল শারাহ ● আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কুমিল্লা জেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে কুমিল্লার রাজনৈতিক অঙ্গন সরগরম। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিএনপি এ নির্বাচনে অংশ না করলেও চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে নৌ-বাহিনীর সাবেক প্রধান রিয়ার এডমিরাল আবু তাহের ও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে কুমিল্লা (দ.) জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন স্বপন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে রিয়ার এডমিরাল আবু তাহেরের বিজয় যেমনি জরুরি তেমনি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচনে অংশ নেয়া সাজ্জাদ হোসেন স্বপনের জন্যও কঠিন চ্যালিঞ্জিং। দু’ প্রার্থীর জন্যই এ নির্বাচন প্রেস্টিজ ইস্যু বলে মনে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সূত্র মতে- বরুড়া উপজেলার আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও নৌ-বাহিনীর সাবেক প্রধান রিয়ার এডমিরাল আবু তাহের দীর্ঘ চাকুরি জনিত কারণে রাজনৈতিক পরিম-লের বাইরে থাকলেও তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। যোগ্যতা বিবেচনায় দলীয় হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তক্রমে তাঁকে কুমিল্লা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে গ্রিন সিগন্যাল দেয়া হয়। তিনি চশমা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি দলের হাইকমান্ডের সাথে যোগাযোগের পাশাপাশি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন।
অপরদিকে, সাজ্জাদ হোসেন স্বপন কুমিল্লার আওয়ামী রাজনীতিতে পরিচিত মুখ। তিনি কুমিল্লা (দ.) জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এরই প্রেক্ষিতে তিনি তফসিল ঘোষণার পূর্ব মুহুর্ত থেকে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। দলীয় মনোনয়ন ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী থাকলেও তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হন। শেষ পর্যন্ত তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেও অনেকে ভেবেছিলেন মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবেন। কিন্তু তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে না করে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্বিতা করছেন। তিনি নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে- কুমিল্লা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী রিয়ার এডমিরাল আবু তাহের ও বিদ্রোহী প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন স্বপনের জন্য প্রেস্টিজ ইস্যু। নিজের ব্যক্তিগত ইমেজ ও দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় রিয়ার এডমিরাল আবু তাহেরের বিজয়ী হওয়া অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে। নির্বাচনের ফলাফলের উপর কুমিল্লার রাজনীতিতে তাঁর অবস্থান নির্ধারিত হতে পারে।
এছাড়াও, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় সাজ্জাদ হোসেন স্বপন বিজয়ী হওয়া অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যথায়, বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্বিতা করায় তাকে জবাবদিহিতার পাশাপাশি রাজনৈতিক ক্যারিয়ার সংকটেও পড়তে পারেন তিনি।
আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী বরুড়া উপজেলার আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও নৌ-বাহিনীর সাবেক প্রধান রিয়ার এডমিরাল আবু তাহের জানান- দলীয় প্রার্থী মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থী। ভোটাররা যে ভোট প্রয়োগ করবেন সে ভোট মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেই দেওয়া হবে। আমি শুধু প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি। নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তিনি জেলার সকল জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করে শেখ হাসিনার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার দৃঢ় আশাবাবদ ব্যক্ত করেছেন।
অপর প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন স্বপন বলেন- এ নির্বাচনে জনপ্রতিনিধিরাই ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। জনপ্রতিনিধিদের সাথে আমার দীর্ঘদিনের সু-সম্পর্ক রয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে বিজয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী বলে জানান। বিজয়ী হলে তিনি জেলা পরিষদের অধীনে কাঙ্খিত উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবেন বলে জানান।
The post কুমিল্লা জেলা পরিষদ নির্বাচনে তাহের-সাজ্জাদ’র প্রেস্টিজ ইস্যু appeared first on Comillar Barta™.
from Comillar Barta™ http://ift.tt/2iae77i
December 21, 2016 at 07:06PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন