জার্মানির বার্লিন শহরে ক্রিসমাস মার্কেটে জনতার উপর লরি চালিয়ে ১২ জনকে হত্যার ঘটনায় হামলাকারীকে এখনো খুঁজছে জার্মান পুলিশ।
হামলার পরপরই অভিবাসন প্রত্যাশী পাকিস্তানের এক তরুণকে সন্দেহবশত আটকের পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
বছর খানেক আগে সে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে জার্মানিতে ঢুকেছিল।জার্মান পুলিশ বলছে হামলার সাথে তার সম্পৃক্ততার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পুলিশ ধারণা করছে হামলার সাথে একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে।
মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী যদিও এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। যদিও কোন নিরপেক্ষ সূত্রের বরাত দিয়ে এই দাবি যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এরই মধ্যে বলেছেন, হামলাকারীকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত কেউ বিশ্রাম নেবে না।
বার্লিনের মেয়র জানিয়েছেন, এ লোক সমাগমের এলাকায় এ ধরনের হামলা যাতে আর ঘটতে না পারে সেজন্য নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেছেন , “এ ধরনের পরিস্থিতিতে নিজের চোখ খোলা রাখা এবং সতর্ক থাকা ভালো। কিন্তু আপনারা পাবলিক প্লেসে নিরাপদে চলাফেরা করতে পারেন। আতঙ্কিত হবার কোন কারণ নেই।”
জার্মানির ফেডারেল প্রসিকিউটর পিটার ফ্রাঙ্ক জানিয়েছেন, হামলার ধরণ এবং লক্ষ্যবস্তু দেখে মনে হচ্ছে এটি ‘ইসলামী চরমপন্থার’ সাথে সম্পৃক্ত।
লরিটির প্রকৃত চালক পোল্যান্ডের একজন নাগরিক। তার মৃতদেহ লরিটির চালকের আসনের পাশেই পড়ে ছিল। তার দেহে গুলি এবং ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। কিন্তু তার সাথে কোন আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়নি।
ওদিকে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল বলছেন, হামলাকারী যদি শরণার্থী কেউ হয় তবে তা মেনে নেয়াটা খুব কষ্টকর হবে।
তিনি দোষী ব্যক্তিদের কঠোর সাজা দেয়ার কথা বলেছেন।
মিসেস মের্কেলের জন্য এই ঘটনাটি একটি বড় রাজনৈতিক আঘাত হয়ে দেখা দিয়েছে এই কারণে যে তিনি অভিবাসীদের জন্য জার্মানির দরোজা খুলে রাখার পক্ষপাতী।
from মধ্যপ্রাচ্য ও দূরপ্রাচ্য – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2hc9REf
December 21, 2016 at 07:06PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন