আলিপুরদুয়ার, ৭ ডিসেম্বরঃ সিগন্যাল আইসোলেশন সিস্টেমের জন্যই ভয়াবহ সংঘর্ষের হাত থেকে রক্ষা পেল আপ ক্যাপিটাল এক্সপ্রেস এবং আপ রাজধানী এক্সপ্রেস। মঙ্গলবার রাতে শামুকতলা রোড স্টেশনের কাছে আপ ক্যাপিটাল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন সহ দুটি বগির লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনার পর এমনটাই মনে করছেন রেল কর্তৃপক্ষের একাংশ । উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গুয়াহাটিগামী আপ ক্যাপিটাল এক্সপ্রেস মঙ্গলবার রাত ৯টা ৫ মিনিটে শামুকতলা রোড স্টেশনে পৌঁছায়। পিছনেই ছিল এনজেপি-নিউ কোচবিহার-নিউ আলিপুরদুয়ার রুটে আসা আপ ১২৪২৪ রাজধানী এক্সপ্রেস। রাজধানী এক্সপ্রেসকে শামুকতলা রোড স্টেশনের ৫ নম্বর লাইন দিয়ে নিয়ে যাবার জন্য ক্যাপিটাল এক্সপ্রেসকে ৪ নম্বর লাইনে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই লাইনে লাল সিগন্যাল অগ্রাহ্য করেই ক্যাপিটাল এক্সপ্রেসের চালক ট্রেনটি চালিয়ে দেওয়ায় সেটি ডেড লাইনে চলে যায় এবং ইঞ্জিন সহ দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। রেললাইনে পয়েন্ট অফ ক্রসিং – এ সিগন্যাল আইসোলেশন ব্যবস্থার জন্যেই ক্যাপিটাল এক্সপ্রেস লুপ লাইন ছেড়ে মেন লাইনে উঠতে পারেনি বলে রেল দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। এই পদ্ধতি কার্যকর না হলে পিছন থেকে দ্রুতগতিতে ছুটে আসা আপ রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে ক্যাপিটাল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ সংঘর্ষ হতে পারত বলে মনে করছেন একাধিক রেলকর্তা । মঙ্গলবার রাতের দুর্ঘটনার পরেই গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। কীভাবে সিগন্যালকে উপেক্ষা করে ক্যাপিটাল এক্সপ্রেসের চালক ও সহচালক ট্রেনটিকে মেন লাইনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রেল মহলে । বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বুধবার আলিপুরদুয়ারে আসেন কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস)-এর এনএফ সার্কেলের আধিকারিক শৈলেশকুমার পাঠক। আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম সঞ্জীব কিশোর দুর্ঘটনার পরে জানিয়েছেন, স্টেশন ইয়ার্ডের ডেড এন্ড এসে ক্যাপিটাল এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন ধাক্কা মেরেছে এবং তা লাইনচ্যুত হয়ে নদীতে গিয়ে পড়েছে। এই ডেড লাইনে ট্রেনটির আসবার কথা নয়। এটা কেন এবং কীভাবে হল তা তদন্তের পরেই জানা যাবে।
এদিকে, দুর্ঘটনার পরই ক্যাপিটাল এক্সপ্রেসের চালক ও সহকারী চালককে বরাখাস্ত করা হয়েছে।
from Uttarbanga Sambad http://ift.tt/2gbF99a
December 08, 2016 at 01:08AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন