আয়করের রক্তচক্ষুতে হদিশ মিলছে গোপনে রাখা বহু জমির

শিলিগুড়ি, ১৫ ডিসেম্বরঃ আয়কর ফাঁকি দিতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় কেনা জমির তথ্য গোপন রেখে মুশকিলে পড়েছেন অনেকেই। জমির হিসেব দেখাতে অনেকেই এখন আইনজীবীর কাছে ছুটছেন পড়িমরি করে। এর জন্য যা মূল্য দেবার প্রয়োজন সেটাও দিতে প্রস্তুত। কারণ জমি রেজিস্ট্রি করার সময় জমির মূল্য যদি ৫ লক্ষ টাকার বেশী হলে যেকোনো জমির মালিকের প্যানকার্ড জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। যদি কারোর প্যানকার্ড না থাকে সেক্ষেত্রে তাঁকে ৬০ নম্বর ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হয়। কিন্তু অনেকেই এর সুযোগ নিয়ে প্যনকার্ড থাকতেও না দেখিয়ে কর ফাঁকি দেওয়ার পথ বেছে নেন।

প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে নোট বাতিলের পর থেকে অনেকেরই অ্যাকাউন্টে মোটা অঙ্কের টাকা জমা পড়েছে। এদিকেও রয়েছে আয়কর দপ্তরের কড়া নজর। ইতিমধ্যেই আয়ের উত্স জানতে শিলিগুড়িতে ২৫ জনের কাছে নেটিশ পাঠিয়েছে আয়কর দপ্তর। এই নোটিশ পাঠানের কথা চাউর হতেই যারা আয়কর দেননি বা অঘোষিত সম্পত্তির মালিক, তাঁরাও ছুটছেন উকিলের কাছে ফাইল বানাতে।

আয়কর দপ্তর থেকে যদি সম্পত্তির হিসেব খোঁজা হয় এবং যদি দেখা যায় যে জমি রেজিস্ট্রির সময় তথ্য গোপন করা হয়েছে তবে আয়করদাতার করের ওপর ২০০ শতাংশ জরিমানা ও ৭ বছরের জেল হতে পারে।

আয়কর আইনজীবীদের বক্তব্য, ‘বহু আয়করদাতা এতদিন গোপন রাখা জমির কাগজপত্র নিয়ে আমাদের কাছে হাজির হচ্ছেন সেই সম্পত্তি ফাইলে দেখানোর জন্য। এতে আয়করও জমা পড়েছে অনেক।’



from Uttarbanga Sambad http://ift.tt/2gREi0R

December 16, 2016 at 02:07PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top