পোষ্টারে ছেয়ে গেছে বিশ্বনাথ!

15749467_1222537547825775_380180242_n

মোঃ আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: আসন্ন জেলা পরিষদের নির্বাচন আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ড থেকে পুরুষ সদস্য পদে ৮জন বিভিন্ন প্রতকি নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহন করছেন। ইতিমধ্যে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আর প্রার্থীরা প্রতীক পাওয়ার পরপরই উপজেলা সদরেরস্থ ও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পোষ্টার লাগানোর প্রতিযোগিতা শুরু করেন। উপজেলা সদরে ছেয়ে গেছে পোষ্টার। তবে শনিবার বিকেল বেলায় এ নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র উপজেলা সদরের রামসুন্দর অগ্রগামী উচ্চ মডেল বিদ্যালয়ে প্রার্থীদের পোষ্টারে সয়লাব হয়ে রয়েছে।

জানা গেছে, বিভিন্ন প্রার্থীরা আগেভাগেই সিলেটের বিভিন্ন ছাপাখানার সঙ্গে যোগাযোগ করে পোস্টার-লিফলেটের কাজ অনেকটাই এগিয়ে রেখেছিলেন। প্রতীক পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটা ছাপাখানায় জানিয়ে দেয়া হয়। ওই রাতের মধ্যেই পোস্টার-লিফলেট হাতে পেয়ে যান অনেকেই। সকাল থেকেই শুরু হয় উপজেলার সর্বত্রই পোস্টার আর লিফলেট বিতরণ। এসব প্রার্থীর মধ্যে বেশিরভাগ প্রার্থীদের পোষ্টার বিভিন্ন জায়গায় সাটানো হয়েছে। উপজেলা সদর এখন পোষ্টার-ব্যানারে সয়লাব রয়েছে। পোষ্টারে নগরীতে পরিনত হয়েছে উপজেলা সদর। নির্বাচনের প্রার্থীরা বিভিন্ন জায়গায় গণসংযোগ,মতবিনিময় সভা অব্যাহত রেখেছেন।

নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে বিশ্বনাথে প্রার্থীদের প্রচারণায় ব্যস্ততা বেড়েছে। নির্ঘুম প্রচারণা ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। কাক ডাকা ভোর থেকে ভোটারদের কাছে ছুটে বেড়াচ্ছেন। আগামী ২৮শে ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ডে সদস্য পদে লড়ছেন ৮ জন প্রার্থী। গত ১২ ডিসেম্বর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ৮ ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদের ১’শ ৪ জন জনপ্রতিনিধি ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন । উপজেলা পরিষদে ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।

সিলেট জেলা পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশ্বনাথ উপজেলার ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর নির্বাচনী প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ ওয়ার্ডে এখন প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারনা তুঙ্গে।  বসে নেই জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য প্রার্থীরাও।
জেলা পরিষদের নির্বাচনে শুধুমাত্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রতিটি ওয়ার্ডের একজন করে সদস্য নির্বাচিত করবেন। কিন্তু এ নির্বাচনকে ঘিরে ৯নং ওয়ার্ডের অর্ন্তভুক্ত বিশ্বনাথে ৮টি ইউনিয়নে সর্বত্র নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। ৯নং ওয়ার্ড থেকে সদস্য পদে ৮জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কদর বেড়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সদস্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থক ও শুভাকাংখিরা প্রতিদিন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্ত হয়ে উন্নয়নের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে ভোট চাচ্ছেন।

এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে কালো টাকার ছড়াছড়িও শুরু হয়েছে বলে অভিযোগও রয়েছে। এ নির্বাচনে দুইজন সাংবাদিক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশগ্রহন করছেন।  প্রতীক পাওয়ার পর প্রার্থীদের পোস্টারে উপজেলা শহর এবং বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদের আশপাশ এলাকা একাকার হয়ে গেছে। জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও পুরোধমে প্রচারনা চালাচ্ছেন।

জেলা পরিষদের নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ড বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি, খাজাঞ্চি, বিশ্বনাথ, অলংকারি, দৌলতপুর, দেওকলস, রামপাশা, দশঘর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এ ওয়ার্ডে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিদ্বতা করছেন, উপজেলার দেওকলস ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম মতছিন (তালা প্রতিক), সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর একান্ত সচিব মঈনুল হক (হাতি প্রতিক), আ.লীগ নেতা কিনু মিয়া (অটোরিকশা প্রতিক), বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু (ঘুড়ি প্রতিক), পাক্ষিক বিশ্বনাথ বার্তা সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন সাজুল (টিউবওয়েল প্রতিক), সমাজসেবক সহল আল রাজি চৌধুরী (বৈদ্যতিক পাখা প্রতিক), যুবলীগ নেতা আবুল কাহার (ক্রিকেট ব্যাট প্রতিক), বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক শামছুল ইসলাম (টিফিন ক্যারিয়ার প্রতিক)

জেলা পরিষদের নির্বাচনে এ ওয়ার্ডে আ.লীগ ও বিএনপি  সমর্থিত প্রায় অর্ধশতাধিক উপরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। তাদের ভোট যে প্রার্থী বেশি পাবেন সদস্য পদে তিনি নির্বাচিত হবেন ধারন করছেন এলাকাবাসী।



from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2i5lt9l

December 25, 2016 at 08:11PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top