নয়াদিল্লী, ১১ জানুয়ারি- স্কুটি চালানো অবধি না-হয় ঠিক আছে। কিন্তু, কোনও মেয়েকে, তাও আবার একজন ভারতীয় কখনও স্টান্ট রাইডার হিসেবে কল্পনা করতে পেরেছেন? আসুন আপনার সঙ্গে আনম হাশিমের আলাপ করিয়ে দেওয়া যাক। বছর একুশের এই যুবতী ভারতের সবচেয়ে কমবয়সি মহিলা স্টান্ট বাইক রাইডার। ইয়ং মহিলা বাইক রাইডার হিসেবে জন্মু থেকে খারদুং লা টপ- বিশ্বের সর্বোচ্চ এই গাড়ি চলার রাস্তা, যা প্রায় ২১০০ কিলোমিটার, নিজের স্কুটি নিয়ে দুবার অতিক্রম করে ইন্ডিয়ান বুক অব রেকর্ডসে নাম তুলে ফেলেন আনম হাশিম। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২০। দ্বিতীয়বারে খারদুং লা পাস যাওয়ার সময় তাঁর সঙ্গী ছিলেন আরও ১০ মহিলা বাইকার। টিভিএস স্কুটি জেস্ট হিমালয়ান হাইস সেসন ২-এর অংশ হিসেবেই ছিল এই বাইকযাত্রা। তখনও প্রোফেশনাল হয়ে ওঠেননি।, এখন সেই আনম হাশিমই প্রোফেশনাল স্টান্ট রাইডার। বয়স তখন ১৮, মেয়ে আনম যখন স্টান্ট হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন, বাবা এক কথায় রাজি হয়ে যান। এই যুবতীর সরল স্বীকারোক্তি, শুরু থেকে বাবা সমর্থন না জুগিয়ে গেলে, আজ এই জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব হতো না। আনমের কথা, টু হুইলার নিয়ে আমার ছোট থেকে একটা খ্যাপামি ছিল। স্কুলে যাওয়ার সময় যখন দেখতাম ছেলেরা বাইক নিয়ে রাস্তায় স্টান্ট করছে, শিহরিত হতাম। নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করতাম আমি কেন পারব না? এর পর একদিন বাবাকে বলেই ফেললাম, এই স্পোর্টসটাকে আমি প্রোফেশনালি নিতে চাই বাবা সমর্থন করলেও, মা যে আজও এ স্টান্টের বিরোধী তা নিজের মুখে জানালেন এই সাহসিনী। তাঁর কথায়, যে শুনেছে, সেই বলেছে স্টান্ট রাইডিং পুরুষদের জন্য। যে কারণে মা-বাবাকে রাজি করানো শুরুতে অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। শেষমেষ বাবা সম্মতি দিলেও মা কিন্তু নিজের অবস্থান থেকে সরেননি। সব বাধাবিপত্তিকে নস্যাৎ করে তা-ও তিন বছর হয়ে গেল স্টান্ট রাইডিং করছেন এই তরুণী। এখন শিখছেন আর্ট অব ডার্ট বাইকিং। জানালেন, অদূর ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক স্টান্ট রাইডিং চ্যাম্পিয়ানশিপে যোগ দেওয়াই তাঁর লক্ষ্য। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2iEJTWK
January 11, 2017 at 10:25PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top