মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ (সিলেট ) প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথে উপজেলা সদরের প্রানকেন্দ্র অবস্থিত ‘হাজী মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ’র সামনে জমাট বাঁধা ময়লা-আবর্জনার স্তুপ অতিষ্ঠ করে তুলেছে শিক্ষার্থী এলাকাবাসীকে। বালিকা বিদ্যালয়ের কয়েকশ গজ দূরে রয়েছে একটি মাদরাসা ও উপজেলা পরিষদ। ময়লা-আবর্জনার স্তুপের দূর্গন্ধে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোর পাঠ কার্যক্রম। চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারী ও উপজেলার পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের।
উপজেলা পরিষদ সড়ক ও বিশ্বনাথ-রামপাশা সড়কের এবং উপজেলা পরিষদের ডাকবাংলার মধ্যেবর্তি স্থানে নতুন বাজার এলাকার ব্যবসায়ী ও বাসা-বাড়ির ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ এস্থানে ময়লা-আবর্জনার এমন স্তুুপ হয়েছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় দিন দিন সরকারি খোলাস্থানে এভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হলেও তা রোধে গ্রহণ করা হয়নি কোনো প্রদক্ষেপ। ফলে বর্তমানে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারী-শিক্ষার্থী’সহ উপজেলাবাসীকে। উপজেলা অডোটেরিয়ামের জন্য প্রস্তাবিত এস্থানে ফেলা ময়লা-আবর্জনার ¯ুÍপের দূর্গন্ধে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পরিবেশ। অনেক সময় পথচারীদের অনেকেই এসব স্থানে মূলমত্র ত্যাগ করে থাকেন। অথচ এর আশে পাশে রয়েছে একাধিক ব্যাংক-বীমা, এনজিও, সহস্রধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাস-সিএনজি-লাইটেস স্ট্যান্ডও।
ময়লা-আবর্জনা ও মাটি ফেলে এবং ৪-৫ ফুট দৈর্ঘ্যরে একটি ড্রেইন নির্মাণ করে ইতিমধ্যে ভরাট করা হয়েছে প্রায় ১২০ ফুট দৈর্ঘ্যরে ‘রাজার খাল’। ময়লার স্তুপের পাশ দিয়ে বাধ্যহয়েই প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ উপজেলার কয়েক হাজার মানুষকে চলাফেরা করতে হয়। জনগুরুত্বে কথা বিবেচনা করে দ্রুত এস্থান থেকে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ সরানো দাবি করেছেন উপজেলাবাসী।
ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য একটি নির্দিস্ট স্থান নির্ধারণ না করার কারণে এবং উপজেলার কোথাও ডাসবিন না থাকার কারণে যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। ময়লা-আবর্জনার স্তুপ থেকে ছড়াচ্ছে রোগ-জীবানু।
পথচারী কামাল মিয়া বলেন, নানান প্রয়োজনে প্রতিদিন সড়কটির পাশ দিয়ে অনেক বারই যাতায়াত করতে হয়। দূর্গন্ধের কারণে নাকে-মুখে রুমাল দিয়ে যাতায়াত করি। চলাচলের জন্য বিকল্প কোনো সড়ক না থাকার কারণে বাধ্য হয়েই এলাকাবাসীকে আবজর্নার স্তুপের পাশ দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
শিক্ষার্থী আমিনা বেগম, শিপা বেগম ও শিক্ষার্থী রহিম মিয়া, কামাল হোসেন বলেন, দিন দিন ময়লা-আবর্জনার স্তুপের দূর্গন্ধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে পরিবেশ নষ্ঠ হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্জনেও ব্যঘাত ঘটছে। দ্রুত এস্থান থেকে এসব বর্জ্য অপসারণ করে এস্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে হবে।
বিশ্বনাথ নতুন বাজার বণিক সমিতির সভাপতি শামীম আহমদ বলেন, বাজারের কোথাও ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্দিস্ট কোন স্থান না থাকার কারণে ব্যবসায়ী বাধ্য হয়েই এখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন। একটি স্থান নিধারণ করা হলে ব্যবসায়ীরা সেখানে আর ময়লা আবর্জনা ফেলবেন না।
হাজী মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ’র অধ্যক্ষ নেহারুন নেছা বলেন, ময়লা-আবর্জনা স্তুুপের দূর্গন্ধে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ করছে পাঠদান কার্যক্রম। দ্রুত এস্থান থেকে বর্জ্য অপসারণ না করা হলে মারাতœক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে শিক্ষার্থীদের মানসিকতার। পরিবেশ দুষণ থেকে মুক্তি পেতে হলে বাজারের একাধিক স্থানে ডাষ্টবিন নির্মান করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অমিতাভ পরাগ তালুকদার বলেন, বিষয়টি নিয়ে মাসিক সমন্বয় সভা আলোচনা হয়েছে। তবে খুব শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2jZNVsT
January 18, 2017 at 09:04PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন