উত্তরবঙ্গ সংবাদ পোর্টালঃ চেন্নাই থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শহর অরোভিল। জনসংখ্যা আড়াই হাজারের কাছাকাছি। ৪২টি দেশের বাসিন্দা এখানে বসবাস করেন, যার অন্ত ৩০ শতাংশ ভারতীয়। সুযোগসুবিধার বিচারে পৃথিবীর অনেক শহরকেই টেক্কা দিতে পারে অরোভিল। স্কুল, হাসপাতাল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত- আধুনিক জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় পরিসেবা মজুত রয়েছে। সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র নিয়মনীতি মেনে পরিচালিত হয় এই শহর, যার ফলে অরোভিল টাকাপয়সার কোনও প্রচলনই নেই।
১৯৬৮ সালে ইউনেস্কোর সহযোগিতায় শ্রী অরোবিন্দ সোসাইটির ‘মা’ মীরা আলফানসা এই শহর প্রতিষ্ঠা করেন। রজার অ্যাঙ্গার নামে এক ব্রিটিশ আর্কিটেক্ট এই শহরের পরিকল্পনা করেছিলেন। ব্রহ্মাণ্ডের গঠনকে মাথায় রেখে সেই ধাঁচে এই শহরকে গড়ে তোলেন অ্যাঙ্গার এবং শহরের মাঝখানে স্থাপন করেন একটি মাতৃমন্দির। বর্তমানে এই মাতৃমন্দিরে শহরের মানুষজন সমবেত হন ধ্যান করার জন্য।
কিন্তু কিভাবে চলে অরোভিলের বাসিন্দাদের জীবন? আসলে প্রাচীন বিনিময় প্রথাতেই চলে এই শহর। এখানে থাকা-খাওয়ার জন্য কোনো টাকা পয়সার প্রয়োজন হয়না। শুধুমাত্র সাধ্যমত ‘সেবা’ দিয়ে প্রত্যেকে শহরের উন্নয়নে নিজস্ব অবদান রাখেন। ‘সেবা’ বলতে মূলত তেল, সাবান, ধূপকাঠি তৈরি সহ অন্যান্য কুটির শিল্পে হাত লাগানো। এভাবে উত্পাদিত দ্রব্য অরোভিল সংস্থা দেসের অন্যান্য অংশে বিক্রির বন্দোবস্ত করে। তার থেকে যা আয় হয়, তা শহরের বাসিন্দাদের জীবন নির্বাহ এবং শহরের উন্নয়নের কাজে লাগানো হয়। কেন্দ্রীয় সরকার এই শহরকে এবং এর অভিনব অর্থব্যবস্থাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। নিচেদের শ্রমের বিনিময়ে অরোভিল সংস্থার পক্ষ থেকে সামান্য কিছু বেতনও পান নাগরিকরা। কিন্তু সেই উপার্জিত অর্থ অরোভিলের চৌহদ্দির মধ্যে খরচ করার প্রয়োজন হয়না।
from Uttarbanga Sambad http://ift.tt/2jHl2oL
January 20, 2017 at 11:06PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন