মোঃ আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথ-রামপাশা-লামাকাজি সড়কের প্রায় ৯কিলোমিটার সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। প্রায়ই এসব গর্তে মালবাহি ট্রাক আটকে পড়ে। এতে ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারি অন্য যানবাহলগুলো চরম দুর্ভোগ পুহাতে হয়। বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্বনাথ-রামপাশা-লামাকাজি সড়কের রামপাশা ইউনিয়নস্থ দশদল এলাকায় মালবাহি ট্রাক আটকে পড়ে।
জানাগেছে, বিশ্বনাথ-রামপাশা-লামাকাজি অধিবাসীদের যাতাযাতের এই ব্যস্ততম সড়কের অবস্থা দেখলে যে কেউ ভয় পায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছেন উপজেলার মানুষ এর পাশিপাশি ঝুঁকির মধ্যেই চলছে যানবাহন। বিশ্বনাথ-রামপাশা-লামাকাজি সড়কের এমন করুন দশা থাকলেও এটি মেরামত কিংবা দেখার যেন কেউ নেই। সড়কটি ভাঙতে ভাঙতে বড় বড় গর্ত হয়েছে। সড়কের এত বড় বড় গর্ত ও খানা খন্দের কারনে সড়কটিতে যানবাহন চলাচল করছে জীবনের ঝুকিনিয়ে। উপজেলাবাসীর জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি নিয়ে মহাসমস্যায় থাকার পরও কর্তৃপক্ষ দিনের পর দিন সড়কের এমন করুন দশা দেখেও না দেখার বান করে বসে আছেন। তবে এত খারাপ সড়ক হওয়ার পরও থেমে নেই এখনকার বাস, ট্রাক, টেক্সী, অটোরিকশা,টেম্পু, লাইটেস, কার,জীপসহ সকল গাড়ীর চালকদের জীবনের চাকা। তারা প্রতিদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জীবিকার তাগিতে বের হচ্ছেন গাড়ী নিয়ে। সড়কের অবস্থা খারাপ হওয়ার কারনে গাড়ী সড়ক দিয়ে চলাচলের ফলে প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে গাড়ী গুলোর যন্ত্রপাতি। এছাড়া এ সড়ক দিয়ে রোগী নিয়ে চলাচল করতে জনসাধারনকে পোহাতে হচ্ছে নানান দূর্ভোগ। করতে হচ্ছে অনেক হিসেব-নিকাশ। সড়কের এই করুনদশা রোগীদের শারীরিক অবস্থা আরো খারাপ করে দিচ্ছে। রোগী ছাড়াও সুস্থ শরীরের মানুষ জন্যও এই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত চলাচল করলে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ ‘বিশ্বনাথ-রামপাশা-লামাকাজী’ সড়কটি যথাসময়ে সংস্কার কাজ না হওয়ায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। ২০১৫ সালে বিশ্বনাথ থেকে ৩ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার কাজ করা হলেও এখনো রয়ে গেছে এই সড়কের অবশিষ্ট অংশ সংস্কার কাজের বাকি। গত বছর রশিদপুর থেকে সড়কটির প্রথম ছয় কিলোমিটার অংশে সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়, তবে অধিক ক্ষতিগ্রস্থ অংশে কোনো সংস্কার কাজ করা হয়নি। অবশেষে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি প্রেক্ষিতে সড়কের অবশিষ্ট অংশ (রামপাশা থেকে লামাকাজী পর্যন্ত) ৯ কিলোমিটার সংস্কার কাজের জন্য ৭ কোটি টাকা বরাদ্ধ করা হয়েছে।
লামাকাজি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া বলেন, সড়কটির দুরবস্থার কারণে এলাকাবাসীকে পুহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। শিগগিরই সড়ক সংস্কার কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের প্রতি তিনি আহবান জানান।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মনিরুল ইসলাম বলেন, সড়কের অবশিষ্ট অংশে (৯ কিলোমিটার) সংস্কার কাজের জন্য প্রায় ৭ কোটি টাকা বরাদ্ধ হয়েছে। ইতিমধ্যে টেন্ডার রিসিভ হয়েছে। ওয়ার্ক অর্ডার হওয়ার পর খুব শিগগিরই সংস্কার কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি জানান।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2iLlEGl
January 12, 2017 at 10:01PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন