মাউন্ট মঙ্গানুই, ০৬ জানুয়ারি- মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভাল। ছবির মত সুন্দর শহরের বুকে এই মাঠে সুন্দর ক্রিকেটই প্রত্যাশা করেছিলেন মাঠে আসা কয়েকশ বাঙ্গালি দর্শক। মাশরাফিদের কাছ থেকে একটি জয়ে প্রত্যাশায় তারা ছিলেন অধির অপেক্ষায়। কিন্তু টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেয়ার পর কিউই ব্যাটসম্যান কলিন মুনরো আর টম ব্রুসের ব্যাটে ধীরে ধীরে ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে থাকে বাংলাদেশ। স্বাগতিকরা ১৯৫ রান তুলে ফেলার পরই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায় কী ফল হতে যাচ্ছে এই ম্যাচের। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ চরম ব্যাটিং ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে অলআউট ১৪৮ রানে। হেরে গেলো ৪৭ রানের বড় ব্যবধানে। ম্যাচ শেষে বে ওভালের প্রেস কনফারেন্সে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফির কাছে প্রশ্ন উঠলো, আবারও কী তাহলে ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণেই এই হার? বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক এ বিষয়টাতে একটু দ্বিতম পোষণ করলেন। বোলিংয়েই অনেক বেশি পিছিয়ে পড়েছেন বলে মনে করেন তিনি, না তা ঠিক বলা যায় না। আমরা আরেকটু বুদ্ধি খাটিয়ে বল করলে, ইয়র্কার ছুঁড়লে এবং বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আনতে পারলে হয়তো এর চেয়ে কিছু রান কম হতো। ২০০র কাছাকাছি হতো না। ১৯৫ রান দেখেও নাকি ঘাবড়ে যাননি মাশরাফি। হালও ছেড়ে দেননি। বরং আশায় ছিলেন মাউন্ট মঙ্গানুই বলে। যেখানে হর-হামেশা ১৮০-১৯০ রান হয়ে যায়। সেখানে মাশরাফির মত অধিনায়ক কেন হাল ছাড়বেন? সবশেষে সেই ব্যাটিং ব্যর্থতাই ডুবিয়ে দিলো তার সেই আশা এবং স্বপ্নকে। মাশরাফি বলেন, তারপরও আমরা হাল ছাড়িনি, বরং আশায় ছিলাম এই মাঠে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে গড়পড়তা ১৮০ রান ওঠে। অতীতে এতবড় রান চেজের অনেক নজির আছে এখানে। তাই খানিক আশায় ছিলাম আমরা। যদিও শুরুটা আশাব্যঞ্জক হয়নি। তারপরও সৌম্য-সাব্বির আশার সঞ্চার করেছিল। একটা সময় মনে হচ্ছিল আমাদের জয়ের সম্ভাবনা আছে। কারণ দুজনই তখন খুব ভালোভাবে সেট হয়ে গিয়েছিল এবং হাতখুলে মারতে পারছিল; কিন্তু এক দমকা বাতাসেই সব লণ্ডভণ্ডের মত উড়ে গেলো। সৌম্য-সাব্বির খুব অল্প ব্যবধানে ফিরে গেলে, আমরা ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে যাই। মাশরাফির কাছে আরেকটি তীর্যক প্রশ্ন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দিয়েছেন ২৮ রান। সাকিবও তার আগের ওভারে দিয়েছেন ১৫ রান। দুই ওভারে এই ৪৩ রানই কী তবে বাংলাদেশকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিল? মাশরাফি কৌশলী উত্তর দিলেন। তিনি বললেন, এটা এভাবে বলা যায় না। বলা উচিৎও না। ওদের সেট ব্যাটসম্যান ছিল উইকেটে। এ কারণে হাতখুলে মেরেছে এবং তা ব্যাটে লেগেও গেছে। তাই হয়তো সাকিব আর মাহমুদউল্লাহর দুই ওভারে অনেক রান হযেছে। তবে আমি ওই রানকে অস্বাভাবিক বেশি মনে করি না। এই মাঠে হরহামেশাই ১৮০ কিংবা তার বেশি রান ওঠে। আর/১৭:১৪/০৬ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2iXzIgx
January 06, 2017 at 11:11PM
এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ...
তিন দলের ওয়ানডে টুর্নামেন্টের সূচি প্রকাশ
07 Oct 20200টিঢাকা, ০৭ অক্টোবর- শ্রীলংকা সফর না হওয়ায় ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। দেশের মূল ক্...আরও পড়ুন »
বার্তামেউয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট!
07 Oct 20200টিবার্সেলোনার বোর্ড নির্বাচন আগামী মার্চে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ওই সময়ই ঠিক হওয়ার কথা জোসেপ মারিও বার্তা...আরও পড়ুন »
বেতন কাটা নিয়ে বার্সার আলোচনা শুরু
07 Oct 20200টিকরোনার কারণে গত মার্চ থেকে কমাস ফুটবল বন্ধ ছিল। এ সময় বড় ক্লাবসহ বিশ্বের অধিকাংশ ক্লাবই ফুটবলারদের ব...আরও পড়ুন »
অস্ট্রেলিয়া-ভারত গোলাপি বলের টেস্ট চূড়ান্ত
07 Oct 20200টিক্যানবেরা, ০৭ অক্টোবর- এ বছরের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের চার টেস্টের সিরিজ দিবারাত্রির ম্যাচ দিয়...আরও পড়ুন »
নারীর প্রতি মনোভাব বদলের ডাক মাশরাফীর
07 Oct 20200টিঢাকা, ৭ অক্টোবর- উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে নারীর প্রতি সহিংসতার হার। সিলেটে এমসি কলেজসহ নোয়াখালীর বেগমগঞ্...আরও পড়ুন »
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.