মুম্বাই, ০৮ জানুয়ারি- বর্তমানে বলিউডের একটি আলোচিত নাম শ্রদ্ধা কাপুর। আগামী ১৩ জানুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে তার ওকে জানুছবিটি। এতে তিনি অভিনয় করেছেন প্রাক্তন প্রেমিক আদিত্য রায় কাপুরের সঙ্গে। ছবির জন্য কম, বেশি আলোচিত হচ্ছেন ফারহান আখতারের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে। কদিন আগে খবরে প্রকাশ পায়, ফারহানের সঙ্গে একই ছাদের নিচে বাস করছিলেন শ্রদ্ধা। সেখান থেকে নাকি তার বাবা শক্তি কাপুর জোর করে ধরে নিয়ে আসেন। যদিও সবটাকেই গুজব বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন নায়িকা। ওকে জানুর পর দাউদ ইব্রাহিমের বোন হাসিনা পার্কারের চরিত্রে দেখা যাবে শ্রদ্ধাকে। সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন এ অভিনেত্রী। সেখানে কথা বললেন প্রেম, লিভ-ইন, বিয়ে সম্পর্কিত নিজের ধারণা নিয়ে। টাইমস অব ইন্ডিয়া পত্রিকার সেই সাক্ষাৎকার প্রিয়.কমের পাঠকদের জন্য অনুবাদ করা হলো: মনে হচ্ছে নতুন বছরের সংকল্পে বিশ্বাসী নন আপনি... শ্রদ্ধা: অবশ্যই না। আমার কাছে প্রতিটি দিনই স্পেশাল। যখন আপনি একটি নতুন বছরে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন, এখানে অবশ্যই অনেক ব্যাপার আছে যা নিয়ে আপনি উচ্ছ্বসিত। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি থাকে ভালোকিছুর আশা। তবে হ্যাঁ, আমার মধ্যেও নতুন বছর নিয়ে আশা রয়েছে। আদিত্য রয় কাপুরের সঙ্গে আপনার আশিকি ২ দারুণ সাফল্য পায়। দর্শক আপনাদের রসায়ন পছন্দ করেছিল। সেই হিসেবে ওকে জানু নিয়ে প্রত্যাশা অনেক বেশি... শ্রদ্ধা: অনেকেই ছবিটি নিয়ে আশাবাদী। তবে ব্যাপারটি আমাকে ভাবায় না। দর্শক ছবিটির ট্রেলার ও গান পছন্দ করেছে। এটাই ইতিবাচক ফলাফল ছবিটিকে ঘিরে। এ ছাড়াও অনেকেই আছেন, যারা আমাকে আর আদিত্যকে পর্দায় দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন। অতীতে আপনার সঙ্গে আদিত্যর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে কাজ করতে অস্বস্তি লাগেনি? শ্রদ্ধা: আদিত্য আমার খুবই ভালো বন্ধু। সিনেমার বাইরেও সেই বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে। এর আগে তার সঙ্গে আশিকি ২ করেছিলাম, ফলে আমাদের মধ্যে গল্প করার পুরনো বিষয়ও অনেক। যদিও ওই ছবিতেও নাচ-গানের অবকাশ ছিল যথেষ্ট। তবে ওকে জানু অনেক হালকা মেজাজের। ফলে মজা করার খোরাকও পেয়ে গিয়েছিলাম ভালোই। ফারহান আখতারের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। খবরে প্রকাশ, আপনার বাবা শক্তি কাপুর ও খালা পদ্মিনী কোলাপুরি আপনাকে ফিরিয়ে আনেন। এই কারণে পারিবারিক অশান্তিতে আছেন বলে শোনা যাচ্ছে। শ্রদ্ধা: আমি একটি আর্টিকেল দেখেছি, যেখানে এসব ব্যাপার নিয়ে নানা মুখরোচক কথা লিখা হয়েছে। শুরুর দিকে বিষয়টি আমাকে আনন্দ দিত। এই ব্যাপারটি নিয়ে মাথা ঘামাতাম না, কারণ এতে কোন সত্যতা নেই। আমার মনে হয়, মিথ্যা খবর রটানোর আগে মিডিয়ার অনেক বেশি দায়িত্ব নেয়া উচিত। কারো ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে রসালো গসিপ করার আগে এটা মনে রাখতে হবে, তারকারাও কিন্তু মানুষ। এর জন্য আমি তো বটেই, আমার বাড়ির লোককেও নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বলিউডে আপনার শুরুটা সহজ ছিল না। প্রথম দুটি ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। তখন থেকে এখন আপনার ঝুলিতে কোন ফ্লপ সিনেমা নেই... শ্রদ্ধা: শুরুর দিকে আমি অনেক কঠিন সময় পার করেছি। যখন পরপর দুটো ছবি ফ্লপ হয়, তখন সময়টা খারাপ থাকে। তখন আমি নিজের সবচাইতে সেরা কাজ করার চেষ্টায় ছিলাম। একটি সময় মনে হয়েছে, হাল ছেড়ে দেই! তখন আমার বয়স কম ছিল। যুদ্ধ করার মতো সময় পার করা আমার জন্য সহজ ছিল না। আমি আমার পরিবারের কাছে কৃতজ্ঞ। সেসময় তারাই আমাকে প্রেরণা জুগিয়েছেন। শুধু বাবা মা-ই নন, অনেকেই তখন আমাকে সাহায্য করেছেন আমার স্বপ্নের জায়গায় পৌঁছাতে। ওকে জানুর ব্যাপারে কিছু বলুন। শ্রদ্ধা: এই ছবিটিতে কাজ করে আমি খুব মজা পেয়েছি। চরিত্রের নাম তারা। সে আর্কিটেক্ট। একটা আর্কিটেকচার ফার্মে ইনটার্ন করে। তারা ক্যারিয়ারের দিকে খুবই মনোযোগী। তার একটা স্বপ্ন হল, প্যারিসে গিয়ে উচ্চ শিক্ষা নেয়া। এই স্বপ্নের সঙ্গে একেবারেই আপস করতে চায় না আধুনিক, স্বাধীনচেতা, সাহসী মেয়েটি। তারা কিন্তু রোমান্টিকও। এমন নয়, যে ইমোশনের ছিটেফোঁটা নেই। কিন্তু বিয়ে যে করবে না, এ ব্যাপারে সে একেবারে নিশ্চিত। নিজের সঙ্গে মিল পেয়েছেন তারার? শ্রদ্ধা: তারা কিন্তু কারও মতো নয়। ওর নিজস্ব কিছু ভাবনাচিন্তা আছে। আমাদের মতো কম বয়সীরা যেমন হয়। ওর মতামতের কয়েকটা দিক হয়তো আমার-আপনার সঙ্গে মিলে যাবে। কিন্তু চরিত্রটার মধ্যে এক্সপ্লোর করারও অনেক কিছু আছে। ওকে জানু ছবিতে লিভ-ইন ব্যাপারটা আছে। যখন মনের মতো কাউকে পাবেন, লিভ-ইন করতে চাইবেন? শ্রদ্ধা: আমি তো লিভ-ইন করছিই। তবে সেটি আমার পরিবারের সঙ্গে। কারণ আমি আমার পরিবারের সঙ্গে অনেক বেশি একাত্ম। এবং তাদের সঙ্গে থাকার কথা ভেবেই স্বচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমার পক্ষে কঠিন হবে তাদের ছেড়ে অন্য কারও সঙ্গে থাকা শুরু করাটা। যখন লিভ-ইনের সময় আসবে, আমাকে বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও অন্য কারও সঙ্গে থাকতে হবে তখনই ভাবব ব্যাপারটা করব কিনা। যারা ব্যাপারটার সঙ্গে স্বচ্ছন্দ, যারা একে অপরের সঙ্গে থেকে সুখী, তাদের কথা আলাদা। সামনে আসছে হাফ গার্লফ্রেন্ড। কমার্শিয়াল ছবিতেই থাকবেন শুধু? হায়দারএর মতো ছবি আর করবেন না? বা ধরুন উড়তা পাঞ্জাব? শ্রদ্ধা: আমি আরেকটা ছবিও করছি। হাসিনা। দাউদ ইব্রাহিমের বোনকে নিয়ে ছবি। অপূর্ব লাখিয়ার পরিচালনা। ছবিটা সেই অর্থে কমার্শিয়াল। তবে এতে অন্যরকম বিষয় অনুভব করবেন দর্শক। চিরচেনা নাচ গানের বাইরের একটি ছবি। উল্লেখ্য, শ্রদ্ধা কাপুর ২০১০ সালে টিন পার্টি নামের একটি ছবিতে সংক্ষিপ্ত ভূমিকায় প্রথম অভিনয় করেন। এবং পরবর্তীতে ২০১১ সালে লাভ কা দ্য এন্ড সিনেমায় প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেন। আশিকি ২ শ্রদ্ধাকে প্রথম পরিচিতি দেয় বলিউডে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। এক ভিলেন ছবির সাফল্যের পর হায়দার ছবির মাধ্যমে সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ান তিনি। এই ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার মনোনয়ন লাভ করেন শ্রদ্ধা। এরপর এবিসিডি ২তে অভিনয় করেন তিনি। মুক্তির অপেক্ষায় আছে ওকে জানু। এই বছরেই হাফ গার্লফ্রেন্ড নিয়ে হাজির হবেন শ্রদ্ধা। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া আর/১২:১৪/০৮ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2iPLcCY
January 08, 2017 at 06:16AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন