মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প আভাস দিয়েছেন মস্কো যদি আমেরিকানদের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে তাহলে তিনি রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নিতে পারেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় রাশিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার আক্রমণ ও হ্যাকিংএর অভিযোগ ওঠার পর বারাক ওবামা এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন।
মি. ট্রাম্প আগামী ২০শে জানুয়ারি ক্ষমতাসীন হচ্ছেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, তিনি রাশিয়ার ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞাগুলো কিছু সময়ের জন্য বহাল রাখবেন।
তবে তিনি রাশিয়ার সাথে তার ভাষায় ‘এক নতুন সম্পর্কও’ শুরু করতে চান।
বিবিসির সংবাদদাতা লরা বিকার জানাচ্ছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প সব সময়ই মস্কোর সাথে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক নতুন করে ঢেলে সাজানোর ইচ্ছা প্রকাশ করে আসছেন।
তবে রুশ মার্কিন সম্পর্কে একটা নতুন সমস্যা তৈরি হয় সম্প্রতি – যখন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অভিযোগ তোলে যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার চেষ্টা করেছিল।
এর পর ৩৫ জন রুশ কূটনীতিকে ওয়াশিংটন থেকে বহিষ্কার করে প্রেসিডেন্ট ওবামা প্রশাসন। রাশিয়ার দুটি দফতরও বন্ধ করে দেয়া হয়।
তবে ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র কয়েকদিন আগে ভাবী প্রেসিডেন্ট মি ট্রাম্প বলছেন, তিনি এসব পদক্ষেপ বহাল রাখবেন। কিন্তু পরে কোন এক সময় এগুলো তুলে দেবার সম্ভাবনা তিনি বাতিল করে দিচ্ছেন না।
তার কথা হলো, রাশিয়া যদি যুক্তরাষ্ট্রকে ভালো ভালো কাজ করতে সহায়তা করে তাহলে এসব নিষেধাজ্ঞার দরকার পড়বে কেন?
সাক্ষাৎকারটিতে মি ট্রাম্পকে চীনের ব্যাপারে ভবিষ্যৎ মার্কিন নীতি নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। ওয়াশিংটন এখন এক চীন নীতি অনুসরণ করে, এবং তারা তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে না।
এই নীতিতে কি আগামীতে মার্কিন অঙ্গীকার অব্যাহত থাকবে?
এ প্রশ্নের জবাবে মি ট্রাম্প বলেন, এক চীন নীতিসহ সবকিছু নিয়েই আলোচনা হতে পারে।
বিবিসির বিশ্লেষক বলছেন, এটা এমন এক উক্তি যা চীনকে উদ্বিগ্ন করবে।
from যুক্তরাজ্য ও ইউরোপ – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2inWuSd
January 14, 2017 at 08:27PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.