মুম্বাই, ১৩ জানুয়ারি- তিনি কোনও প্রতিযোগিতায় নেই। কিন্তু হটনেসে, তাঁর আশেপাশে খুব বেশি কেউ নেই! আদিত্য রায় কপূর বক্স অফিসের নিরিখে হয়তো খানিক পিছিয়েই। তবে বলিউডের ফার্স্ট ব্র্যাকেটে জায়গা করে নিতে বেশি দেরি হয়নি তাঁর। রণবীর কপূরের বেস্ট ফ্রেন্ড তিনি। শ্রদ্ধা কপূরের এক্স বয়ফ্রেন্ড। ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে তাঁর ইক্যুয়েশন নিয়ে সব সময় চর্চা! সবকিছু নিয়েই বেশ খোলামেলা তিনি। লুকোছাপা করতে হলে সাক্ষাৎকার দিতেন কেন! ওকে জানুর গল্পটা যে ধরনের রোম্যান্স নিয়ে, আপনি তাতে বিশ্বাসী? আমি কিন্তু কমিটমেন্ট ফোবিক নই। গোটা জীবনে প্রচুর প্রেম করেছি, দীর্ঘ সম্পর্কও ছিল বেশ কয়েকটা। সেগুলো টেকেনি। কিন্তু তার মানে এই নয়, যে আমার বিয়ে করার ইচ্ছে নেই বা বিয়েতে বিশ্বাস করি না। কত লোকেই তো বিয়ে করে। জিনিসটা যদি স্বতঃসিদ্ধ না হতো, এত লোকে মানত কেন বলুন তো প্রতিষ্ঠানটাকে? তবে আমার কোনও তাড়াহুড়ো নেই। এখন প্রস্তুতও নই বিয়ে করার জন্য। এমন কাউকে পাইনি, যে মনে হবে এর সঙ্গেই ঘর করা যায়! সে রকম কাউকে পেলে তখন ভেবে দেখা যাবে। শুনে তো মনে হচ্ছে, ছবিটা করতে গিয়ে রোম্যান্সের ব্যাপারে আপনার ধারণা বদলে গিয়েছে খানিকটা? ধুর! ধারণা কেন বদলাতে যাবে? অভিনেতা হিসেবে প্রতিটা চরিত্রের সঙ্গে আইডেন্টিফাই করতে পারাটা জরুরি। কিছু দিনই হল এমন চরিত্র করা শুরু করেছি, যেগুলো আমার চেয়ে বেশ আলাদা। ফিতুর, দাওয়াত-এ-ইশ্ক বা আশিকি টুতে ওই চরিত্রগুলোই ফোরফ্রন্টে, আমি নই। জিনিসটা কঠিন, কারণ চরিত্র যতই তোমার চেয়ে আলাদা হোক, তোমাকে চার্মিং হতেই হবে! এবং চার্মিং হওয়াটা যার যার ব্যক্তিত্ব অনুসারেই হওয়া যায়। ওকে জানুর ক্ষেত্রে আমাকে সেটাই করতে হয়েছে। নিজের ২৪-২৫ বছরের মাইন্ডসেটটাকে ব্যবহার করতে হয়েছে। যখন প্রেম করছি মানেই বিয়ে করতে হবে, এরকম বাধ্যবাধকতা ছিল না। প্রতিটা দিন মজায় কাটানো যেত! শ্রদ্ধা কপূর আর আপনাকে নিয়ে কানাঘুষো চলতেই থাকে। কাজ করার ক্ষেত্রে এগুলো অসুবিধে তৈরি করে? এই ব্যাপারটার মধ্যে দিয়ে আমরা অনেকদিন ধরেই যাচ্ছি। নতুন নয় এটা। শ্রদ্ধা বা আমার, দুজনেরই সয়ে গিয়েছে এখন। কেরিয়ারের প্রথম দিকে ভাবতাম, কী পায় লোকে এগুলো লিখে বা আলোচনা করে! আমাদের নিজেদের সমীকরণটা কেমন, সেটা নিজেদের কাছে তো পরিষ্কার! লোকে কী বলল না বলল, তাতে কী যায় আসে! আশিকি টুএর সময় থেকেই তো বলছি, আমরা বন্ধু। লোকে শুনেছে সে কথা? তাহলে এখনই বা এত কৈফিয়ত দেব কেন? আচ্ছা, বাড়ি থেকে বিয়ের চাপ আসে না? একেবারেই না। আমার পরিবার খুব ভাল করেই জানে, যে আমি যখন মন থেকে প্রস্তুত হব, তখনই বিয়েটা করব। তার আগে কারও চাপে বা জোরাজুরিতে নয়। যদিও মা মাঝে মাঝেই আমার বিয়ে নিয়ে পাঁচকথা বলতে থাকেন। কিন্তু সেটা তো সব মা-ই করেন। তাতে আমার কোনও চাপ হয় না! আপনি কি সত্যিই সিঙ্গল? এই প্রশ্নটার যা-ই উত্তর দিই না কেন, গত তিন বছর ধরে সেটাই আমার সাক্ষাৎকারের হেডলাইন হয়ে যায়! আয়্যাম সিঙ্গল, আয়্যাম নট ইন লাভ, উই আর জাস্ট ফ্রেন্ডস! এগুলো দেখতে দেখতে আর শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি। তাই সত্যি কথাটা হল, আয়্যাম চিলিং। একেবারে নতুন উত্তর। তাছাড়া এটার মানে হল, এই মুহূর্তে সম্পর্কে যাওয়া নিয়ে একেবারেই সিরিয়াসলি ভাবছি না। তার মানেই যে আমি আসলে সিঙ্গল, এটাও পরিষ্কার হল! কফি উইথ কর্ণে পরিণীতি চোপড়া বলেছেন, কোনওদিন কোনও অভিনেতাকে ডেট করবেন না। আপনি? আই বিলিভ ইন, নেভার সে নেভার! এরকম কিছু আমার কোনওদিন মনে হয়নি, যে অভিনেত্রীদের ডেট করব না। কারও সঙ্গে যদি কানেক্ট করতে পারি, তাহলে কেন ভালবাসা আসবে না বলুন? তার জন্য একটা মানুষের পেশার কথা বিবেচনা করতে হবে কেন? পরিণীতি কোন জায়গা থেকে কথাটা বলেছে, সেটা আমি বুঝেছি। দুজন ফিল্ম অভিনেতা যদি একটা সম্পর্কে যাওয়ার কথা ভাবেন, সেক্ষেত্রে দুজনেরই সময়ের ব্যাপারটা ঘেঁটে যায়। একে অপরের সঙ্গে মানিয়ে চলা তখন অসম্ভব বলে মনে হয়! সম্পর্কটা আর ওয়ার্ক করে না। তা বলে আমি কখনও এই ব্যাপারটা করব না, এটা নয়। দুবছর পর জীবন কোন জায়গায় যায়, কেউ বলতে পারে? ওই শোতেই রণবীর সিংহ বলেছিলেন, লাভমেকিং সিন করলে তিনি টার্নড অন হয়ে যান। আপনারও এরকম হয় নাকি? ওই এপিসোডটা আমি দেখিনি, ফলে রণবীর ঠিক কী বলেছে আমার জানা নেই। কিন্তু ও কি সত্যিই এই দাবিটা করেছে? কারণ, একটা লাভমেকিং সিন করার সময় ব্যাপারটা যে কতটা টেকনিক্যাল এবং রোবটিক হয়ে যায়, সাধারণ মানুষের কোনও ধারণাই নেই। নাকটা ওদিকে বাঁকাও, কাঁধটা সোজা রাখো, মুখটা বেশি ফাঁক কোরো না দশটা লোক সেট ঘিরে নানা রকম ইনস্ট্রাকশন দিতে থাকে। ওতে স্বতঃস্ফূর্ত কিচ্ছু নেই! টার্নড অন হওয়ার সুযোগ কম। নিজে বেশ কয়েকটা করেছি, ফলে আমার কাছে ধারণাটা খুব স্পষ্ট! কিন্তু রণবীর তো আবার মেথ়ড অ্যাক্টর। ওর হয়তো ওর মধ্যেই যা হওয়ার হয়ে যায় (জোর হাসি)! রণবীর কপূর আপনার বেস্টফ্রেন্ড। ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে আপনার আবার দারুণ র্যাপো। ওঁদের ব্রেকআপ হয়ে যাওয়ার পর কি ব্যাপারটা অস্বস্তিদায়ক হয়েছে? এটা নিয়ে আমার কথা বলার কোনও মানে হয় না। ওদের সম্পর্ক নিয়ে এমনিতেই অনেক কথা হয়েছে। আমার যেটুকু বলার, সেটা হল ওরা দুজনেই আমার ভাল বন্ধু। ওদের পরস্পরের মধ্যে যা-ই হয়ে থাকুক না কেন, তার আঁচ আমাদের বন্ধুত্বে পড়েনি। আমি কখনওই ওদের মধ্যে কোনও কিছু আরও জটিল করতে যাইনি। মাই ইক্যুয়েশনস উইথ দেম আর ভেরি সিম্পলিফায়েড। আর/১২:১৪/১৩ জানুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2jo6CqZ
January 13, 2017 at 06:47AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top