মোঃ আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: হঠাৎ করেই বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়কগুলো থেকে উধাও হয়ে গেছে ব্যাটারিচালিত রিকশা। আইনগত সীমাবদ্ধতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে দাপিয়ে বেড়ালেও বুধবার দুপুর থেকে আড়ালে চলে যায় এসব রিকশা। বুধবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে কয়েকটি রিকশার ব্যাটারী জব্দ ও জরিমানা করা হলেও অনেকটাই ‘আত্মগোপনে’ চলে গেছে অধিকাংশ রিকশা।
জানা গেছে, ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ছিল বিভিন্ন মহলে। ঝুঁকিপূর্ণ এই যানটি বিদ্যুৎ অপচয়ের একটি বড় মাধ্যম। বিশ্বনাথে রাজপথে ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল শুরু হয় বছর তিনেক আগে থেকে। উপজেলা থেকে বিভিন্ন সড়কে নিয়মিত যাত্রীবহনকারী প্রায় কয়েকশত ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা বুধবার দুপুর থেকে উধাও হয়ে যায়। এদিকে বিভিন্ন রাস্তায় চলাচলকারী ব্যাটারী চালিত অটো রিকশাগুলো না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা। কারণ পা দিয়ে চালিত রিকশা সংখ্যা ছিল কম। ব্যাটারী চালিত রিকশা এলাকার আসার পরপরই কমে যায় পায়ের রিকশা।
উপজেলার সড়কসহ বিভিন্ন অভ্যন্তরিন রাস্তায় প্রায় কয়েকশত ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা নিয়মিত যাত্রী পরিবহন করে। বুধবার দুপুরে আকস্মিকভাবে ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে উপজেলা প্রশাসন।
অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে ব্যাটারী চালিত অটো রিকশাগুলো নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যান মালিক ও চালকরা। ফলে দুপুরে রাস্তায় একটি ব্যাটারী চালিত অটো রিকশাও চলাচল করেনি। হঠাৎ করে রাস্তা থেকে রিকশা উধাও হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
উপজেলা ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা মালিক ও শ্রমিক সমিতির সভাপতি মোস্তকা আহমদ খান বলেন, ‘হঠাৎ করে প্রশাসনের এমন অভিযানে রিকশার মালিক ও চালকদের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে। বুধবার দুপুরে কয়েকটি রিকশা আটক করে ব্যাটারী খুলে নিয়ে যায় প্রশাসন। তাই মালিক ও চালকরা সবাই তাদের অটো রিকশাগুলো অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, উপজেলা সদরের কয়েকশত ব্যাটারী চালিত রিকশা বিভিন্ন রাস্তায় যাত্রী পরিবহন করে। প্রশাসনের অভিযানের কারণে রাস্তায় নামতে না পারায় চালকরা বেকার হয়ে পড়েছেন। মালিকরা কিস্তির টাকা পরিশোধ করা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। বেকার চালকদের কথা চিন্তা করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও এলাকার বিশিষ্টজনকে ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলের সুযোগ দেয়ার জন্য তিনি অনুরোধ জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিতাভ পরাগ তালুকদার বলেন, ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলের কোনো বৈধতা নেই। স্থানীয়ভাবে এলাকার বিশিষ্টজনরা মালিক ও চালকদের অনেকদিন থেকে রিকশার বন্ধ করার জন্য আহবান জানিয়ে আসছিলেন। উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধের সিন্ধান গৃহিত হয়। তাই বুধবার অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2hQGmDL
January 04, 2017 at 10:22PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.