মুম্বাই, ০৩ জানুয়ারি- কিশোরী বয়সেই পার্শ্ববর্তী একটি স্কুলের এক বাস্কেটবল খেলোয়াড়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। মাত্র ষোলো বছর বয়সেই হারান নিজের কুমারিত্ব। বহু পুরুষের বুকে কামনার আগুন জ্বালিয়েছেন তিনি। হলিউডের নীল ছবি হোক, কিংবা বলিউডের মূলধারার ছবি সর্বত্রই সানি লিওন যেন লাস্যের রূপমূর্তি। কিন্তু আজ যিনি তাঁর দর্শককুলকে এভাবে কামমোহিত করে রাখছেন, তিনিই এককালে আর পাঁচটা মেয়ের মতো সাধারণ একটা জীবন চেয়েছিলেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল নার্স হয়ে অসুস্থ মানুষের, বিশেষত শিশুদের সেবায় নিয়োজিত করবেন নিজেকে। ১৯৮১ সালে আমেরিকার ওন্টারিওতে জন্ম সানির। সানির পিতৃদত্ত নাম অবশ্য সানি লিওন নয়। তাঁর প্রকৃত নাম করণজিৎ কৌর বোহরা। ছোটবেলায় বেশ দুরন্ত ছিলেন সানি। ভালবাসতেন পাড়ার রাস্তায় বন্ধুদের সঙ্গে হকি খেলতে। তাঁর বাবা-মা তাঁকে ভর্তি করান একটি ক্যাথোলিক স্কুলে। ধর্মীয় ঘেরাটোপে থাকলে মেয়ে সুরক্ষিত থাকবে, এমনটাই ভেবেছিলেন সানির বাবা-মা। কিন্তু কোনও অনুশাসনে বাঁধা পড়ার মেয়ে ছিলেন না সানি। কিশোরী বয়সেই পার্শ্ববর্তী একটি স্কুলের এক বাস্কেটবল খেলোয়াড়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। মাত্র ষোলো বছর বয়সেই হারান নিজের কুমারিত্ব। পরবর্তীকালে একটি ইন্টারভিউতে সানি নিজেই এই তথ্য জানিয়েছিলেন। তখনও পর্যন্ত পর্ন সিনেমায় নামার কোনও পরিকল্পনাই ছিল না সানির। পড়াশোনা শেষ করার পরে কিছুদিন সানি একটি জার্মান বেকারিতে কাজ করেন, তারপর কাজ করেন জিফি লিউব নামের নামজাদা অটোমোটিভ কোম্পানিতে। কিছুদিন ছিলেন একটি ট্যাক্স এবং রিটায়ারমেন্ট ফার্মেও। সানির চোখে তখন নার্স হওয়ার স্বপ্ন। সেই মতো অরে়ঞ্জ কাউন্টির একটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে পে়ডিয়াট্রিক নার্স হওয়ার ট্রেনিং নিতে শুরু করেন সানি। কিন্তু বিধাতা বোধ হয় অন্যভাবে লিখে রেখেছিলেন সানির ভাগ্য। যখন নার্স জন্য পড়াশোনা করছেন সানি, তখনই তাঁর এক বান্ধবী, যিনি ছিলেন এগ্জোটিক ডান্সার, সানির আলাপ করিয়ে দেন বিখ্যাত প্রাপ্তবয়স্ক ম্যাগাজিন পেন্টহাউজ-এর এক ফোটোগ্রাফারের সঙ্গে। কিছুদিনের মধ্যেই পেন্টহাউজ-এর তরফে সানির কাছে প্রস্তাব আসে পেন্টহাউজের প্রচ্ছদের জন্য ন্যুড ফোটোশ্যুটের। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ছিল না সানির পক্ষে। তাঁর পরিবার ছিল অত্যন্ত রক্ষণশীল। সানির মনে দ্বিধা ছিল। কিন্তু দ্বিধাকে জয় করতে সাহায্য করে প্রস্তাবিত টাকার অঙ্ক়টা। নগ্ন হয়ে ছবি তোলানোর বিনিময়ে বিপুল অঙ্কের টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ম্যাগাজিনের তরফে। পরবর্তীকালে সানি নিজেই জানান, অত মোটা টাকার লোভ সামলাতে পারেননি তিনি। এই সময়েই নিজের পোশাকি নাম পরিবর্তন করেন করণজিৎ। তিনি নিজের নাম নির্বাচন করেন সানি। আর পদবী লিওন স্থির করে দেন পেন্টহাউজ ম্যাগাজিনের তৎকালীন মালিক বব গুচিওনি। এরপর আর অন্য দিকে তাকাতে হয়নি সানিকে। পর্ন জগতেই তাঁর ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায়। ২০০৩ সালে তিনি পেন্টহাউজ পেট অফ দি ইয়ার নির্বাচিত হন। বেশ কয়েকবছর পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে চুটিয়ে কাজ করার পরে ২০১৩ সালে তিনি পর্ন ফিল্ম থেকে নিজের অবসর ঘোষণা করেন। তার বছর দুয়েক আগেই বিগ বস-এ আসার সুবাদে বলিউডের সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র স্থাপিত হয়ে গিয়েছিল। ২০১২ সালে জিসম টু সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে অভিষেকও ঘটে যায় তাঁর। আজ সানি নিজের পর্ন স্টার পরিচয় মুছে ফেলেছেন। এখন তিনি বলিউডের মূলধারার নায়িকা। নার্স হওয়া হয়নি তাঁর। কিন্তু তিনি অর্জন করেছেন খ্যাতি-প্রতিপত্তি। বহু মানুষের ভালবাসাও পেয়েছেন সানি। আশা করা যায়, ভালই রয়েছেন আজকের সানি লিওন। আর/১০:১৪/০৩ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2hLtWwR
January 04, 2017 at 01:24AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন