মুম্বাই, ২৮ জানুয়ারি- সুলতান ছবিতে সলমন খান নিজের হাতে অরিজিৎ সিংহের গান বাদ দিয়ে দিয়েছিলেন। সেই নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। এবার একইরকম ঘটনার শিকার হলেন শ্রেয়া ঘোষালও। শ্রেয়া ঘোষাল। এই মুহূর্তে বলিউডে বাঙালিদের গর্ব। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বলিউডে বছরে ৯৯ শতাংশ ছবিতেই গান গেয়ে আসছেন শ্রেয়া। একটা সময় তাঁর এবং সুনীধি চৌহানের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইটা চলত। কিন্তু, এই মুহূর্তে বছর ৩০-এর শ্রেয়াকেই এক নম্বর মহিলা প্লে-ব্যাক সিঙ্গার হিসাবে ধরা হয়। অথচ, সেই শ্রেয়ার গানই বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠল। গত বছর থেকে বলিউডে নামী শিল্পীদের দিয়ে গান গাইয়েও পরে তা বাদ দেওয়ার একটা রেওয়াজ সামনে এসেছে। এর আগে একটু কম নামী শিল্পীরা এই ধরনের অভিযোগ করলেও কেউ কোনওদিনই তা কানে তোলেননি। গত বছর সুলতান ছবিতে অরিজিৎ সিংহের গান বাদ দেওয়া নিয়ে তুমুল হইচই হয়। ফেসবুকে অরিজিৎ নিজেই বিষয়টি নিয়ে সরব হওয়ায় জল আরও ঘোলা হয়। কারণ, এই গান বাদ দেওয়ার পিছনে যিনি ছিলেন তিনি হলেন সলমন খান। শ্রেয়া ঘোষালের গান বাদ যাওয়ার জন্য যাঁকে দায়ী করা হচ্ছে তিনি হলেন শাহরুখ খান। তাঁর রইস ছবিতে শ্রেয়ার গাওয়া গানটি বাদ দেওয়া হয়েছে। অরিজিৎ-এর মতো শ্রেয়া বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেননি এবং এই নিয়ে কোথাও কোনও আলোচনাও করেননি। বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করে দিয়েছেন শ্রেয়ার এক ফ্যান অর্ণব। অর্ণব টুইটার অ্যাকাউন্টে এই নিয়ে পোস্ট করেছেন। প্রতিবাদ জানিয়েছেন রইস ছবি থেকে শ্রেয়ার গান বাদ পড়া নিয়ে। শ্রেয়ার সঙ্গীত জীবনে সর্বপ্রথম বলিউড প্লেব্যাক ছিল সঞ্জয়লিলা বনশালীর দেবদাস ছবিতে। শ্রেয়া তখন টিভিএস সারেগামাপা-র জয়ী গায়িকা। সেইসঙ্গে বাংলায় দুটি অ্যালবামও করেছেন। এই সময় সঞ্জয়লিলা বনশালীর দেবদাস-এ একাধিক গানে প্লেব্যাকের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। শ্রেয়ার বয়স তখন ১৬ পার হয়নি। দেবদাসের নায়ক ছিলেন শাহরুখ। সেই ছবিতে কবিতা কৃষ্ণমূর্তিদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গান গেয়েছিলেন ষোড়শী শ্রেয়া। বলতে গেলে শাহরুখ, মাধুরী, ঐশ্বর্যা অভিনীত দেবদাস-এর সাফল্যের পিছনে ছিল শ্রেয়ার গাওয়া দুরন্ত গান। কিন্তু, আজ শ্রেয়া যখন খ্যাতির শিখরে তখন সেই শাহরুখ খান নিজের প্রোডাকশনেরই ছবি রইস থেকে শ্রেয়ার গান বাদ দিলেন। শ্রেয়ার ফ্যান অর্ণবের করা টুইটি এখন ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। শেষমুহূর্তে আসরে নেমেছেন খোদ শ্রেয়া। পাল্টা টুইট করে তিনি অর্ণবকে সান্ত্বনা দিয়েছেন। রিটুইট করে শ্রেয়া লিখেছেন মন খারাপ না করতে। একজন শিল্পী যেমন অনেক দরদ দিয়ে গান গায়, তেমনি একজন পরিচালককেও অনেককিছু খেয়াল রাখতে হয়। ছবির স্বার্থে অনেক সময়ই অনেক কিছু বাদ দিতে হয়। কী রাখা যাবে কি রাখা যাবে না তা পোস্ট প্রোডাকশনের পরেই বলা সম্ভব হয় বলে লিখেছেন শ্রেয়া। আর/১০:১৪/২৮ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2jpCev7
January 29, 2017 at 04:20AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন