চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃতি সন্তান এক সময়ের তুখড় ছাত্রনেতা বাংলাদেশের অন্যতম বিচারপতি বজলার রহমান ছানা আর নেই। তিনি রোববার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জনপ্রিয় এই সাবেক ছাত্রনেতার মৃত্যুর সংবাদ চাঁপাইনবাবগঞ্জে এসে পৌছলে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাঁর দীর্ঘদীনের রাজনৈতিক সহকর্মী, অনুসারী ও আইনপেশার সঙ্গেযুক্ত শুভান্যুধায়ীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিভিন্ন সংগঠন ও নানান শ্রেণী পেশার মানুষ।
১৯৫৫ সালের ১২ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের গোয়ালপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন বজলার রহমান ছানা। তাঁর পিতা ইউনুস বিশ্বাস এবং মাতা বাদেনুর নেসা। তিনি ১৯৭০ সালে নবাবগঞ্জ হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি এবং ১৯৭২ সালে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন। মেধাবী ছাত্র বজলার রহমান ছানা ১৯৭৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে আইন অনুষদ ও সমাজ বিজ্ঞানে বিভাগ থেকে ¯œকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন।
স্কুল ছাত্রাবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছানা স্বল্প সময়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। ৮০ দশশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতাদের পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ান। ১৯৮০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দিতা করেন এবং সিনেট সদস্য নির্বাচিত হন। পঁচাত্তর পরবর্তী সামরিক শাসনামলে ১৯৭৮ ও ১৯৭৯-৮০ সালে কারাবরণ করেন। ১৯৮৩ সালের বিশেষ সামরিক শাসনামলে সামরিক আদালতে তিনি যাবজ্জীবন কারাদ- প্রাপ্ত হন তিনি। তবে, মামলাটি পরবর্তীতে প্রত্যাহার করা হয়।
তিনি ১৯৮৫ সাল থেকে প্রায় ১৫ বছর ঢাকার ধানমন্ডি ল’কলেজে আইনের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ সালে ঢাকার জজ কোর্ট এবং ১৯৮৭ সালে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোটে আইন পেশায় যোগদান করেন। ১৯৯৬ সালে সহকারী এটর্নি জেনারেল এবং ১৯৯৯ সালে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হন। বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্টে তিনি প্রচুর সাংবিধানিক ও গুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনা করেছেন।
মৃত্যুর আগে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোট, হাইকোর্ট বিভাগের একজন সম্মানিত বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রয়াত এই বিচারপতি বেশ কিছুদিন ধরে দূরারোগ্য ব্যধিতে ভুগছিলেন।
তার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে তার প্রথম নামাজে জানাজ অনুষ্ঠিত হবে। পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিয়ে এসে শহরের খালঘাট গোরস্থানে নামাজে জানাজা শেষে তাঁকে দাফন করা হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০১-০১-১৬
১৯৫৫ সালের ১২ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের গোয়ালপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন বজলার রহমান ছানা। তাঁর পিতা ইউনুস বিশ্বাস এবং মাতা বাদেনুর নেসা। তিনি ১৯৭০ সালে নবাবগঞ্জ হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি এবং ১৯৭২ সালে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন। মেধাবী ছাত্র বজলার রহমান ছানা ১৯৭৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে আইন অনুষদ ও সমাজ বিজ্ঞানে বিভাগ থেকে ¯œকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন।
স্কুল ছাত্রাবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছানা স্বল্প সময়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। ৮০ দশশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতাদের পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ান। ১৯৮০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দিতা করেন এবং সিনেট সদস্য নির্বাচিত হন। পঁচাত্তর পরবর্তী সামরিক শাসনামলে ১৯৭৮ ও ১৯৭৯-৮০ সালে কারাবরণ করেন। ১৯৮৩ সালের বিশেষ সামরিক শাসনামলে সামরিক আদালতে তিনি যাবজ্জীবন কারাদ- প্রাপ্ত হন তিনি। তবে, মামলাটি পরবর্তীতে প্রত্যাহার করা হয়।
তিনি ১৯৮৫ সাল থেকে প্রায় ১৫ বছর ঢাকার ধানমন্ডি ল’কলেজে আইনের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ সালে ঢাকার জজ কোর্ট এবং ১৯৮৭ সালে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোটে আইন পেশায় যোগদান করেন। ১৯৯৬ সালে সহকারী এটর্নি জেনারেল এবং ১৯৯৯ সালে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হন। বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্টে তিনি প্রচুর সাংবিধানিক ও গুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনা করেছেন।
মৃত্যুর আগে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোট, হাইকোর্ট বিভাগের একজন সম্মানিত বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রয়াত এই বিচারপতি বেশ কিছুদিন ধরে দূরারোগ্য ব্যধিতে ভুগছিলেন।
তার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে তার প্রথম নামাজে জানাজ অনুষ্ঠিত হবে। পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিয়ে এসে শহরের খালঘাট গোরস্থানে নামাজে জানাজা শেষে তাঁকে দাফন করা হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০১-০১-১৬
from Chapainawabganjnews http://ift.tt/2iThrQP
January 01, 2017 at 10:00PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন