টরন্টো, ২৩ জানুয়ারি- ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামী মাহফুজুল বারী আর নেই। সোমবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। (ইন্না লিল্লাহে....রাজিউন)। টরন্টোতে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী মাহফুজুল বারী গত ডিসেম্বর মাসে সস্ত্রীক বাংলাদেশে বেড়াতে গিয়েছিলেন। গ্রামের বাড়ি রামগতিতে যাবার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। সেখানে শরীর খারাপ হওয়ায় স্থানীয় চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। গত রোববার তাকে হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচারও হয়। তবে এর এক ঘণ্টা পরেই তিনি মারা যান। মাহফুজুল বারীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার এক শোক বাণীতে তিনি এ শোক জানান। পাশাপাশি ৭৫ পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের সাবেক এই কেন্দ্রীয় নেতার অবদানের কথা কৃতজ্ঞতা ভরে স্মরণ করেন। মাহফুজুল বারী ১৯৩৮ সালের সেপ্টেম্বরে নোয়াখালীর রামগতিতে জন্মগ্রহণ করেন। পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে থাকাকালে শহীদ সোহরাওয়ার্দীর বাসায় তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে দেখা করেন এবং গোপনে আন্দোলনের জন্য কাজ করতে থাকেন। ১৯৬৬ সালে করাচীর ড্রিক রোডস্থ এয়ার ব্যাজ থেকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ২২ নম্বর আসামি হিসেবে তাঁকে গ্রেফতারের পর নির্মম নির্যাতন করা হয়। ১৯৬৯ সালে তিনি জেল থেকে মুক্তি লাভ করেন। বঙ্গবন্ধুর স্নেহভাজন বারী ১৯৭১ সালে ২ নং সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে গোয়েন্দায় নিয়োজিত হয়ে খবরাখবর এবং তথ্যাদি আদান প্রদান করেন। স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু তাঁকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে নিয়ে আসেন। বঙ্গবন্ধু নিহত হবার পর ১৯৭৫ এর নভেম্বরে তিনি দেশ ত্যাগ করে প্রথমে ভারত তারপর যুক্তরাষ্ট্র হয়ে কানাডায় অভিবাসী হন। ২০১৫ সালে সময় প্রকাশন তাঁর লেখা অভিযুক্তের বয়ানে আগরতলা মামলা বইটি প্রকাশ করে। মাহফুজুল বারীর মৃত্যুতে কানাডা প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে। তাঁর মৃত্যুতে দেশেবিদেশে পরিবারসহ গোটা কমিউনিটি শোকাহত। শোক প্রকাশ করেন- ঈশাত আরা মেরুনা, সুশীতল চৌধুরি, আকতার হোসেন, আবুল বাশার, তানজির আলম, ফয়জুল করিম, মুক্তিপ্রসাদ, সঙ্গীতা মুখার্জি, স্বপ্না দাশ, গোপা চৌধুরি, মুস্তফা চৌধুরি, দেলোয়ার এলাহী, সৌরভ বড়ুয়া, সেলিম জুবেরি, মেহরাব রহমান, রফিক ভূঁইয়া, গাজী আব্দুল্লাহেল বাকী, তুষার গায়েন, গোপেন দেব, সুব্রত নন্দী প্রমুখ। মাহফুজুল বারী স্ত্রী এবং তিন ছেলে এবং দুই মেয়ে রেখে যান। তারা সবাই টরেন্টোতে বসবাস করেন।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2jcyoVZ
January 25, 2017 at 03:39PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন