নিজস্ব প্রতিবেদক ● দলের বৃহত্তর স্বার্থে তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই পক্ষ একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে। শনিবার উপজেলার বাতাকান্দি সরকার সাহেব আলী আবুল হোসেন মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের ছয়জন নেতা উপস্থিত হয়ে এই অঙ্গীকার করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের দুটি কমিটি রয়েছে। একটি কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের একাংশের সভাপতি পারভেজ হোসেন সরকার। অন্য অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আরেক অংশের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত আলী। দীর্ঘদিন দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষসহ নানা ঘটনা ঘটে। এতে করে পরস্পরের মধ্যে বিরোধ বাড়ে। গতকাল শনিবার উপজেলার বাতাকান্দি সরকার সাহেব আলী আবুল হোসেন মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের ছয়জন নেতা একই মঞ্চে হাজির হন। এতে হানাহানি ও সব ভেদাভেদ ভুলে কুমিল্লার তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি কমিটিকে (শওকত) মেনে নেওয়ার অঙ্গীকার করেন অপর পক্ষের নেতারা। এ সময় উপস্থিত দলীয় নেতা-কর্মী ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত নেতা-কর্মীরা হাততালি দিয়ে তাঁদের উষ্ণ অভিনন্দন জানান।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের অন্তত পাঁচজন নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২ মার্চ পারভেজ হোসেন সরকারকে সভাপতি, দেওয়ান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে সাধারণ সম্পাদক ও মো. নূর নবীকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি কমিটির অনুমোদন দেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল আউয়াল সরকার। এর কয়েক দিন পর কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল আউয়াল সরকার ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকারের যৌথ স্বাক্ষরে অনুমোদন দেওয়া হয় আরেকটি কমিটি। এতে শওকত আলীকে সভাপতি, মহসিন ভূঁইয়াকে সাধারণ সম্পাদক ও শাহিনুল ইসলাম ওরফে সোহেল শিকদারকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। গত প্রায় দুই বছরে উভয় কমিটির অনুসারীরা তিতাসের বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ ও হানাহানিতে লিপ্ত হন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের উদ্যোগ নেন পারভেজ হোসেন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের নেতা পারভেজ হোসেন বলেন, ‘দলের বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্য করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা শওকত ভাইয়ের কমিটিকে মেনে নিয়েছি। আগামীতে আর কোনো হানাহানি চাই না। এলাকায় প্রচার রয়েছে, কুমিল্লা-২ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। তাঁর সঙ্গে মোকাবিলা করতে হলে আওয়ামী লীগকে এক হতে হবে। তাই সব ভেদাভেদ ভুলে বিষয়টি আমি মেনে নিয়েছি।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শওকত আলী বলেন, ‘পারভেজ আমাদের সমর্থন করেছে। এখন আর আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। আগামী দিনে আমরা একসঙ্গে দলকে গড়ব।’
বেলা ১১টায় তিতাস উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের নেতা পারভেজ হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠান হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কুমিল্লা-২ (হোমনা ও তিতাস) আসনের জাতীয় পার্টির সাংসদ আমির হোসেন ভূঁইয়া।
The post এক হল তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগ appeared first on Comillar Barta™.
from Comillar Barta™ http://ift.tt/2k57cKU
January 29, 2017 at 12:34PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন