উত্তরবঙ্গ সংবাদ পোর্টাল, মালদাঃ স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের অন্তর্গত ‘লোটা কাড়ো’ প্রকল্প শুরু হয়েছে ইংরেজবাজারের বাড়িতে বাড়িতে। শৌচাগার নির্মাণ এবং সচেতনতা প্রচারের পরেও গ্রামীণ মানুষ এখনও অভ্যাসবশত খোলা মাঠে শৌচকর্ম করতে যাচ্ছেন। কখনও দল গড়ে, তা কখনও ভোরের আলো ফোটার আগেই প্রত্যন্ত গ্রামগুলির মাঠে ময়দানে হানা দিয়েও সেই অভ্যাস সম্পূর্ণ রোখা যায়নি। তাই এবার বাধ্য হয়ে ইংরেজবাজারে চালু হয়েছে ‘লোটা কাড়ো’ প্রকল্প।
কিন্তু কী এই প্রকল্প? জানা গিয়েছে, বিভিন্ন গ্রামে সপ্তাহে অন্তত দুইদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই হানা দিচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। খোলা মাঠে লোটা হাতে শৌচকর্ম করতে যাওয়া মানুষদের হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, লোটা ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু তা নিয়ে যেতে হবে পঞ্চায়েত থেকে। বাড়িতে শৌচালয় আছে কিনা আর থাকলেও কেন খোলা মাঠে শৌচকর্ম করতে যাচ্ছেন, তার উত্তর দিতে হবে পঞ্চায়েতকে। তাছাড়াও এই পদ্ধতিতে শৌচকর্ম করলে কী বিপদ হতে পারে তাও জানিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। বিনোদপুর, শোভানগর গ্রামপঞ্চায়েতগুলিতে ইতিমধ্যেই জমে গিয়েছে হাজারো লোটা। ফেরত নিতে আসার নামগন্ধ নেই। ফলে লোটা রাখা নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন মানুষজন।
আরও জানা গিয়েছে, বাড়িতে শৌচালয় থাকা সত্ত্বেও খোলা মাঠে শৌচকর্ম করতে গিয়েছেন এমন চারজন মানুষকে ইতিমধ্যেই ধরেছেন প্রশাসনিক কর্তারা। তাদের মাথাপিছু ৫০০ টাকা জরিমানা জমা করেছেন স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছে।
এই প্রসঙ্গে ইংরেজবাজারের বিডিও দেবর্ষি মুখোপাধ্যায় সাংবাদিকদের জানান, প্রতিদিনই অভিযান চালিয়ে বেশকিছু লোটা বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে।
from Uttarbanga Sambad http://ift.tt/2k8DseX
January 20, 2017 at 09:02PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন