জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট-সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলার শুনানিকালে আদালতে হট্টগোল হয়েছে। এ জন্য এক আইনজীবী আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট-সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে খালেদা জিয়ার অসমাপ্ত বক্তব্য উপস্থাপনের তারিখ ধার্য ছিল। একই সঙ্গে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায়ও আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য ছিল।
তবে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এ মামলায় নতুন করে একজনের সাক্ষ্য নেওয়ার আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর করেন। ফলে এ মামলায় আজ আত্মপক্ষ সমর্থন হয়নি।
পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসাসংলগ্ন মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৩-এর অস্থায়ী এজলাসে এই দুই মামলার বিচারকাজ চলছে।
সকাল থেকে শুনানি হওয়ার পর বেলা ১টা ৪০ মিনিটে আদালত বিরতিতে যান। বেলা আড়াইটার দিকে বিচারক এজলাসে আসার পর বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা হট্টগোল শুরু করেন। তারা খালেদা জিয়া অসুস্থ, তিনি দুপুরের খাবার খেতে পারেননি, নামাজও পড়তে পারেননি, ওষুধ খেতে পারেননি— এসব কথা বলতে থাকেন। একপর্যায়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবী হোসেন আলী খান হাসান টেবিল চাপড়াতে থাকেন। বিষয়টি আদালত লক্ষ্য করেন এবং ওই আইনজীবীকে ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। পরে বিএনপিপন্থী জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয় ও ওই আইনজীবী নিঃশর্ত ক্ষমা চান।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হন। এর পর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট-সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে খালেদা জিয়া অসমাপ্ত বক্তব্য দেন। এ সময় তার আইনজীবীরা সময় চেয়ে আবেদন করলে আদালত ১২ জানুয়ারি বক্তব্য উপস্থাপনের তারিখ ধার্য করেন।
এরপর শুরু হয় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার শুনানি। এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা ঘটনার অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের তৎকালীন পরিচালক নূর মোহাম্মদের সাক্ষ্য গ্রহণের আবেদন জানান। আদালত বেলা ১টা ৪০ মিনিটে বিরতিতে যান।
বিরতি চলাকালে আদালত কক্ষে খালেদা জিয়াকে চা বিস্কুট খেতে যায়। আর আদালতে উপস্থিত বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের কলা-রুটি দিয়ে দুপুরের খাবার সারতে দেখা যায়।
বেলা আড়াইটার দিকে বিচারক এজলাসে এলে ওই হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। বেলা তিনটার দিকে আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ১২ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেন। এরপর খালেদা জিয়াও আদালত ত্যাগ করেন।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2iLwCyQ
January 05, 2017 at 06:57PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন