কলকাতা, ১৫ ফেব্রুয়ারি- সদ্য হনিমুন সেরে ফিরেছেন কনীনিকা ও সুরজিৎ হরি। হনিমুনের অভিজ্ঞতার কথা তো জানালেনই, পাশাপাশি শেয়ার করলেন ছোটবেলার অনেক স্মৃতি। বিয়ের পরে প্রথম ভ্যালেন্টাইনস ডে। কী প্ল্যান কনীনিকার? জিজ্ঞাসা করতেই বললেন, কোনও প্ল্যানিং নেই। সারপ্রাইজ কিছু থাকতে পারে কিন্তু সেভাবে কিছু এক্সপেক্টেশনও নেই। তবে গত বছর এই সময়টায় আমি যখন বম্বেতে ছিলাম তখন ও একটা সারপ্রাইজ ভিজিট দিয়েছিল। আমরা দারুণ সেলিব্রেট করেছিলাম। এবারেরটা জানি না কী হবে। এতদিন গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ড ছিলাম তাই ব্যাপারটা অন্য রকম ছিল কিন্তু এখন তো আর সেরকম নয় তাই ঠিক কী হবে জানি না। কনীনিকা বলছেন বটে কী হবে জানি না কিন্তু কদিন আগেই চকোলেট ডে-তে দারুণ একটা সারপ্রাইজ পেয়েছেন সেদিন কাজ-টাজ করে ক্লান্ত ছিলাম। ঘুমোতে যাব তার আগে হঠাৎ করেই রাত্রি সাড়ে এগারোটার সময় এত বড় একটা চকোলেট দিয়ে বলল এটা খাও। আমি আবার সেদিন ডিনার স্কিপ করেছিলাম। বললাম রাত-দুপুরে কেন চকোলেট খেতে যাব? না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। পরের দিন সকালে উঠে দেখলাম একটা চিরকুটে লিখে রেখে গিয়েছে, কাল চকোলেট ডে ছিল। অসম্ভব রোম্যান্টিক মানুষ সুরজিৎ সেটা এই ছোট্ট ঘটনা থেকেই বোঝা যায়। দুজনে আবার সদ্য হনিমুন সেরে ফিরেছেন। সেই অভিজ্ঞতার কথাও শেয়ার করলেন কনীনিকা আমি তো খুব বেড়াতে ভালবাসি, প্রচুর বেড়িয়েছি কিন্তু ট্রমসো ওয়াজ আ ম্যাজিকাল এক্সপেরিয়েন্স। চারদিকটা এত সুন্দর যে মানুষকে বদলে দেয়। এত সুন্দর ঘোরা আমি আগে কখনও ঘুরিনি। এর আগে পুজোর সময় আমরা বেড়াতে গিয়েছিলাম ছেলেকে নিয়ে কিন্তু এটা একদম অন্যরকম, একে অপরকে জানা। এতদিন শ্যুটিংয়ে এই ধরনের দৃশ্যে অভিনয় করেছি কিন্তু বাস্তবে এমন সিচুয়েশন ঠিক কী ঘটে, সেটা এতদিন পরে রিয়্যালাইজ করলাম। এ তো গেল না হয় এখনকার কথা কিন্তু কনীনিকার জীবনে প্রথম ক্রাশ কে ছিলেন? বললেন, আমার প্রথম ক্রাশ ছিল আমার বাবা। আমার বাবা খুব হ্যান্ডসাম ছিল, মাও খুব সুন্দরী ছিল। অফিস যাওয়ার আগে মাকে কিস করত বাবা। আমার দেখে খুব ভাল লাগত। ওটা আমার ফার্স্ট ইনফ্যাচুয়েশন আমার এখনও মনে আছে। আমাদের সময় সরস্বতী পুজোটাই আসল ছিল। কিন্তু আমি আসলে ছেলেদের নিয়ে ঠিক ভাবতামই না। আমি ছোট থেকে থিয়েটার করেছি, ছেলেদের সঙ্গে মিশেছি কিন্তু আমার আলাদা করে কোনও ইন্টারেস্ট গ্রো করেনি। সারা জীবন নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম। আমি কোনওদিন কারও সঙ্গে ফ্লার্ট করিনি আর আমাকেও কেউ কখনও কিছু বলেনি কারণ আমার মনে হয় আমাকে অনেকেই ভয় পেত। কিন্তু কনীনিকার জীবনের একটা অদ্ভুত ঘটনার কথা আজও ভুলতে পারেননি পুজোর সময় আমার পাড়ায় যেখানে আড্ডা দিতাম, একটি ছেলে আর তার বন্ধু এসে দাঁড়াত। সেই ছেলেটি সারা পুজোটা দাঁড়িয়ে থাকত, আমাকে দেখত। তখন ক্লাস এইটে পড়ি। সে কিন্তু টানা তিন-চার বছর আমার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকত। আমার বাবা-মাও বুঝতে পেরেছিল। আমি বরং প্রথমটা কিছুই খেয়াল করিনি। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার, কখনও সে কথা বলেনি। আমি তার নামও জানি না। আর/১৭:১৪/১৫ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2kS7ln0
February 15, 2017 at 11:49PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন