বিশ্বনাথ ( সিলেট ) প্রতিনিধি :: সিলেটের ওসমানীনগরে শ্বশুর বাড়িতে সাইফুল ইসলাম (২২) বিষপানে আত্মহত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী ও শাশুড়িসহ ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে সাইফুলের পরিবার। গতকাল শনিবার রাতে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলাটি (নং-১৪) দায়ের করেন সাইফুলের বড় ভাই আজিজুল ইসলাম। রবিবার পুলিশের হাতে আটক সাইফুলের স্ত্রী রাশিদা বেগম ও শাশুড়ী ছায়া বেগমকে উক্ত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার উপজেলা উমরপুর ইউপির আবদুল্লাপুর গ্রামের মজিদ উল্যার পুত্র সাইফুল ইসলামের লাশ একই উপজেলার সাদীপুর ইউপির রহমতপুর চর গ্রামে শশুর নেছাওর আলীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। প্রাথমিক তথ্য জানা যায় সাইফুল বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। লাশ উদ্ধারকালে পুলিশ সাইফুলের স্ত্রী ও শাশুড়ীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সাইফুলের রাশিদা মধ্যে দীর্ঘদিন মন দেওয়া নেওয়ার পর তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর সংসার ভালই চলছিল। একপর্যায়ে রাশিদার প্রতি সাইফুলের পরকীয়ার সন্দেহ হলে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে একাধিকবার সালিশ হয়। এ কারণে গত কিছুদিন পূর্বে রাশিদা তার বাবার বাড়িতে চলে যায়।
গত শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ সালিশ ব্যক্তিরা সাইফুলের উপস্থিতিতে রাশিদার বাবার বাড়িতে বসে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে সাইফুল তার বাড়িতে চলে যায়। ঐদিন শশুরবাড়ির লোকজন সাইফুলকে আবারও তাদের বাড়িতে ডেকে আনলে রাতে সে আর বাড়ি ফিরেনি। পরদিন শনিবার সকালে সাইফুল মারা গেছে মর্মে খবর জানতে পারে সাইফুলের পরিবার।
নিহত সাইফুলের বড় ভাই আজিজুল ইসলাম বলেন, তার ভাইয়ের স্ত্রী রাশিদার সঙ্গে বেশ কয়েক জনের পরকীয়া রয়েছে। একারণে সাইফুলের সাথে রাশিদার বনিবনা হচ্ছিল না। শুক্রবার রাতে সাইফুলকে তার শশুর বাড়ির লোকজন ফোন করে ডেকে নেয়। পরদিন সকালে সাইফুল মারা গেছে বলে জানালে পুলিশকে সাথে করে নিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসি।
ওসমানীনগর থানার ওসি আবদুল আউয়াল চৌধুরী বলেন, আটককৃতদের আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2lE8BbA
February 12, 2017 at 06:55PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.