মালয়েশিয়া যাচ্ছে ৯ হাজার কর্মী

hজিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে ৯ হাজার কর্মী যাচ্ছে মালয়েশিয়া। ইতোমধ্যে ওই দেশ থেকে এসব শ্রমিকের সত্যায়িত চাহিদাপত্র পাওয়া গেছে।
জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস’র (বায়রা) মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন আজ বাসসকে জানান, এরমধ্যে প্লানটেশন, ফ্যাক্টরি ও সার্ভিস সেক্টরের জন্য জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো থেকে নিয়োগের অনুমতিও পাওয়া গেছে।
তিনি জানান, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে ২ শ’ কর্মী নিয়ে মালয়েশিয়াগামী প্রথম ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে। বিষয়টি এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানির এই প্রথম ফ্লাইটটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি।
সূত্র জানায়, মালয়েশিয়া সরকারের চাহিদাপত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অনুকূলে যে চাহিদাপত্র ইস্যু হয়েছে তাতে তিন বছর কাজের সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে কর্মীরা টানা ১০ বছর পর্যন্ত চাকরির পারমিট নবায়ন করতে পারবেন। কর্মীদের দৈনিক কর্মঘণ্টা হবে ৮ ঘণ্টা। কেউ চাইলে ওভারটাইম করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া সরকারের শ্রম আইন প্রযোজ্য হবে। কর্মীদের মাসিক বেতন চুক্তিপত্রে যা উল্লেখ থাকবে তাই দেয়া হবে। এর কম হবে না। কর্মীদের বেতন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে। কোনো কোম্পানি যদি কর্মীদের বেতন-ভাতা কম দিতে চায়, তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বার্তা চলে যাবে দুই দেশের কর্তৃপক্ষের কাছে।
বায়রার মহাসচিব জানান, তিন দফায় আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে প্রায় ৫শ’ কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠানো হবে। এর মধ্যে প্রথম ফ্লাইটে যাবেন ২ শ’ জন কর্মী, দ্বিতীয় ফ্লাইটে যাবেন ১ শ’ জন এবং তৃতীয় ফ্লাইটে যাবেন ২ শ’ জন কর্মী। ইতোমধ্যে এসব কর্মীর নিয়োগকর্তার মাধ্যমে বাছাই ও মেডিকেল সম্পন্ন হয়েছে।
গত ১২ জানুয়ারি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে সব ধরনের কারিগরি প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে মালয়েশিয়া। বাংলাদেশও কর্মী পাঠাতে প্রস্তুতির বিষয়টি জানিয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১৬ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার চিঠির জবাব দিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মালয়েশিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
এর আগে ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে কর্মী পাঠানোর সুযোগ রেখে উভয় দেশের মধ্যে ‘জিটুজি প্লাস’ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির পরের দিনই মালয়েশিয়া সরকার বিদেশী কর্মী নেয়া বন্ধ ঘোষণা করে। কয়েক মাস আগে বিদেশী কর্মী না নেয়ার ঘোষণাটি প্রত্যাহারের পর জিটুজি প্লাস চুক্তির আলোকে কর্মী নিয়োগের বিষয়টি আবারো সামনে চলে আসে। প্লান্টেশন, এগ্রিকালচার, ম্যানুফাকচারিং, কনস্ট্রাকশনসহ মোট পাঁচটি খাতে বিপুলসংখ্যক কর্মী নেয়ার ঘোষণা দেয় মালয়েশিয়া সরকার।



from প্রবাস – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2lIXvo1

February 26, 2017 at 05:44PM
26 Feb 2017

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top