জনসংখ্যার বৃহৎ অংশ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে

tসিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কিশোরগঞ্জ এবং নেত্রকোনা জেলার প্রায় চার হাজার ৪৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত হাওড় অঞ্চলে বছরের ৬ থেকে ৭ মাস পানিতে প্লাবিত থাকে। এ অঞ্চলের অধিকাংশ স্থানেই শুধু শীতকালে ফসল চাষ হয়। বর্ষাকালে অধিকাংশ কৃষকের সীমিত পরিসরে মাছ ধরা ছাড়া আর কোনো কাজ থাকে না। হাওড় এলাকায় নিয়মিত আয়ের সুযোগের অভাবে সেখানকার জনগোষ্ঠি দারিদ্র্যের দুষ্ট চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। যার কারণে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর বৃহৎ অংশ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে বলে মন্তব্য করেছেন পিকেএসএফ ও বিশিষ্টজনেররা।

বাংলাদেশের হাওড় অঞ্চলে বসবাসরত জনগোষ্ঠির টেকসই উন্নয়ন শীর্ষক পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত গতকাল সংস্থার নিজস্ব দফতরে সেমিনারে বক্তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন। পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল করিমের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্থার চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। বক্তব্য রাখেন, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) এক্সিকিউটিভ ভাইস-চেয়ারম্যান অমলেন্দু মুখার্জী, পিকেএসএফের ডিএমডি ড. মো. জসিম উদ্দিন। এছাড়া, হাওড় এলাকায় কর্মরত বিভিন্ন সংস্থাসহ পিকেএসএফ-এর নির্বাচিত ৪০টি সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ইকবাল আহাম্মদ এবং ‘সমৃদ্ধি’ কর্মসূচির অভিজ্ঞতার ওপর মোঃ পল্লী বিকাশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক হাসান আলী, নির্বাহী পরিচালক দু’টি উপস্থাপনা প্রদান করেন।

ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কাক্সিক্ষত সাফল্য অর্জনে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে জাতীয়-স্থানীয় সকল পর্যায়ে যথাযথ সমন্বয় আবশ্যক। সবাইকে মিলে হাওড় এলাকার জন্য উপযুক্ত, বাস্তবায়নযোগ্য, সুনির্দিষ্ট, দীর্ঘমেয়াদী ও টেকসই কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।

অমলেন্দু মুখার্জী বলেন, হাওড় অঞ্চলকে বাদ দিয়ে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি সম্ভব নয়। সুতরাং, হাওড়বাসীর দারিদ্র্য নিরসনে পিকেএসএফ প্রকল্প গ্রহণ করলে সরকারের পক্ষ থেকে যাবতীয় সহযোগিতা প্রদান করা হবে।”

আবদুল করিম বলেন, দেশের মোট জনগোষ্ঠির যে বৃহৎ অংশ এখনও দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করছে, তাদের মধ্যে হাওড়বাসীরা অন্যতম। অত্যন্ত দূর্গম, প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়া সত্বেও হাওড় এলাকায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠির ভাগ্য উন্নয়নে বিভিন্ন সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে পিকেএসএফ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আজকের এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা জানতে পারবো ইতিমধ্যে বাস্তবায়িত কর্মকান্ডসমূহের মাধ্যমে অর্জিত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে ভবিষ্যতে আমরা আরও কার্যকরভাবে হাওড়বাসীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করতে পারবো।



from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2ksgbo7

February 14, 2017 at 04:42PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top