যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত বাংলাদেশি তরুণী শায়রা নূর লামিছার লাশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে এসে পৌঁছেছে।
এক সপ্তাহ পর ড্রাগন এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজে করে শনিবার গভীর রাতে হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে তার লাশ এসে পৌঁছায়।
সেখান থেকে উত্তরায় লামিছার বাড়িতে মরদেহ পৌঁছলে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তার মৃত্যুতে দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশন।
যুক্তরাস্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় স্থানীয় সময় গত রোববার বিকেলে প্রত্যন্ত এক পাহাড়ী এলাকায় একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়, সেই বিমানের পেছনের সিটে বসে বিমান পরিচালনা পর্যবেক্ষণ করছিলেন লামিছা। দুর্ঘটনায় লামিছা নিহত হলেও অন্য দুই আরোহীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে দমকল বাহিনী।
লামিসার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যই বিমানের পাইলট। তার বাবা জাকির হোসেনও বাংলাদেশ বিমানের ক্যাপ্টেন। ছোটবেলা থেকেই পারিবারিকভাবেই নিজের মনের মধ্যে আকাশ ছোয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন লামিছা। সেজন্যেই আমেরিকান এভিয়েশন একাডেমিতে ভর্তি হয়ে পাইলট হওয়ার প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন তিনি।
লামিছার চাচাতো ভাই ক্যাপ্টেন আব্বাস বলেন, লামিছা এখন আর আমাদের সঙ্গে নাই এবং কাউকে কিছু বলার মতো আমাদের কাছে ভাষা নেই। শুধু বলবো যেখানেই থাকুন, লামিছার জন্যে দোয়া করুন।
পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ক্যাপ্টেন সাজ্জাদ বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা এবং বাংলাদেশের জন্য বিরাট এক ক্ষতি।
বাদ জোহর উত্তরা তিন নম্বর সেক্টর জামে মসজিদে লামিছার নামাজে জানাযা শেষে ১২ নম্বর সেক্টরের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
from প্রবাস – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2maHMvk
February 19, 2017 at 11:50AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন